স্টাফ রিপোর্টার:
চুয়াডাঙ্গায় দশম শ্রেণির ছাত্রের সাথে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্যবিয়ের ঘটনায় বরের মা অভিযুক্ত শিক্ষিকা শামসুন নাহারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১ টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি জানান, বাল্যবিয়ের ঘটনাটি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের পর ব্যাপক সমালোচনা হয়। পরে ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য সদর উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুমা আক্তারকে নির্দেশ দেয়া হয়। সোমবার বিকেলে তিনি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। তদন্তে ঘটনার সত্যতা উঠে আসে। এছাড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভূইয়া ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও আইনানুগ ব্যবস্থানেয়ার জন্য সুপারিশ করেন। সবদিক বিচেবচনা করে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে তার সাময়িক বরখাস্তের আদেশে স্বাক্ষর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভূইয়া জানান, একজন সহকারি শিক্ষক তার ছেলে দশম শ্রেণির ছাত্রের সাথে নিজের স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী বিয়ে দিয়ে কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজ করেছেন। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে গতকাল সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অনুরোধ করা হয়েছে। আজ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে শুনেছি। কিন্তু আদেশ এখনও হাতে পাইনি।
গত ২০ মার্চ সদর উপজেলার ছোটশলুয়া গ্রামের বিলপাড়ার অসোক আলীর মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া শারমিন খাতুনের সাথে বেগমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শামসুন নাহারের ছেলে আব্দুর রহমানের বিয়ে হয়। খোদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা শামসুন নাহার দাঁড়িয়ে থেকে নিজের ছেলের বিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। কয়েকদিন গোপন থাকলেও গতকাল সোমবার বিষয়টি জানাজানি বর শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়। ছেলের বাল্য বিয়ের দেয়ার বিষয়টি স্বীকারও করেন ওই শিক্ষিকা। এ নিয়ে জেলা জুড়ে শুরু হয় নানা সমালোচনা।