অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলাসহ করোনা আক্রান্ত দুজনকে ঢাকায় রেফার্ড
চুয়াডাঙ্গায় করোনা শনাক্তের ২৬৫তম দিনে ১৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় আরও দুজন পজেটিভ
স্টাফ রিপোর্টার: করোনাভাইরাস আক্রান্ত চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলাসহ দুজনকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য গতকাল তাদেরকে ঢাকায় নেয়া হয়। এদিকে গতকাল চুয়াডাঙ্গার ১৪ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল আসে। এতে আরও দুজনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এ দিয়ে জেলায় মোট ১ হাজার ৬শ’ ৭ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত হলেন।
স্বাস্থ্য বিভাগসূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি নমুনা পরীক্ষায় ফলাফলে অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলার করোনা শনাক্ত হয়। তিনি শহরের সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে অর্থাৎ শেখপাড়ার বাসিন্দা এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদীদল বিএনপি’র চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার যুগ্মআহ্বায়ক। তার শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। ক্রমশ তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় গতকাল উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়া হয়েছে। অপরদিকে, চুয়াডাঙ্গার ডিঙ্গেদাহ এলাকার অমল রায় গত সোমবার করোনায় আক্রান্ত হন। তারপর থেকে তিনিও চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন। সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় গতকাল তাকেও ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গায় করোনা শনাক্তের ২৬৫তম দিন গতকাল বুধবার জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ নতুন ৪২জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করেছে। এদিন পূর্বের ১৪ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে আসে। ১২ জনের নেগেটিভ হলেও দুইজনের পজেটিভ হয়েছে। নতুন শনাক্ত রোগীদের একজন আলমডাঙ্গার পাঁচলিয়া গ্রামের একজন এবং দামুড়হুদার মোক্তারপুর গ্রামের একজন। গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আক্রান্তদের মধ্যে ৪জন ছিলেন হাসপাতালে ও বাড়িতে তথা হোম আইসোলেশনে ছিলেন ৪৩ জন ছিলেন।
শীতে নোভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে পারে। এ আশঙ্কায় বিশ্বজুড়ে বাড়তি সতকর্তা অবলম্বন করা হচ্ছে। মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য পুনঃপুনঃ অনুরোধ জানিয়ে আসছে ভাইরাস বিশেষজ্ঞসহ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। প্রায় প্রতিটি দেশে সরকারি বেসরকারিভাবেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। আমাদের দেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতও পরিচালনা করছে প্রশাসন। এরপরও চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরসহ হাট-বাজারে রাস্তা ঘাটে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে দেখা যাচ্ছে না। অথচ চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরসহ জেলার অধিকাংশ এলাকাতেই দু’একজন করে ভয়াবহ ছোঁয়াচে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। ফলে সময় থাকতে সকলে সতর্ক না হলে সমাজের সর্বনাশ হতে পারে।