জীবননগর ব্যুরো: পারিবারিক কলহের জের ধরে ছেলে ধাক্কায় মাটিতে আছড়ে পড়ে নিহত হয়েছেন বৃদ্ধ মা। মা মারা গেছে দেখে ছেলেও এ সময় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে আহত হয়। পুলিশ নিহত সাবেদা খাতুনের (৫৫) মরদেহ উদ্ধার করে ময়তা তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা মর্গে প্রেরণসহ ঘাতক ছেলে জামিরুল ইসলামকে (২৩) গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার গঙ্গাদাসপুরে এ ঘটনা ঘটে।
জীবননগর থানা পুলিশ, হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গঙ্গাদাসপুর পশ্চিমপাড়ার মৃত মন্টু শেখের একমাত্র ছেলে জামিরুল স্ত্রী ও সন্তান এবং মাকে নিয়ে বাড়িতে বসবাস করেন। বাড়িতে তিনি ৫টি গরু পালন করেন। ঈদ উপলক্ষে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে জামিরুল পাশর্^বর্তী গোকুলনগর গ্রামের শ^শুরালয়ে বেড়াতে যান। বেশ কয়েক দিন শ^শুর বাড়ি কাটানোর পর শুক্রবার বাড়ি ফেরেন। এ কয়দিন গরুর যতœ করতে গিয়ে মা হাফিয়ে উঠেন। ছেলে বাড়ি ফিরলে অভিমানী মা এ নিয়ে তার সাথে বচসায় লিপ্ত হয়। দুপুর পর্যন্ত চলা ঝগড়া বিবাদের একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত ছেলে মাকে স্বজোরে ধাক্কা মারে। এক ধাক্কায় মা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হন। প্রতিবেশীরা মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান সাবেদা খাতুন মারা গেছেন। পরিবারের সদস্যরা এসময় হাসপাতাল হতে কৌশলে নিহতে লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরে যায়। খবর পেয়ে জীবননগর থানা পুলিশ গঙ্গাদাসপুরের বাড়ি হতে সাবেদার লাশ উদ্ধারসহ ঘাতক ছেলে জামিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ সদস্য ঐ গ্রামের মোসাবুল ইসলাম লিটন জানান, স্বামীর মৃত্যুর পর সাবেদা খাতুন খুবই কষ্ট করে জামিরুলকে মানুষ করে। মার মারা গেছে দেখে ছেলে জামিরুলও এসময় আত্মহত্যার চেষ্টা করে। কিন্তু প্রতিবেশীদের দ্রুত পদক্ষেপের কারণে সে এ যাত্রাই প্রাণে বেঁচে যায়। জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে প্রেরণসহ ঘাতক ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সাথে আহত জামিরুলকে চিকিৎসার জন্য জীবননগর হাসপাতালে পুলিশি প্রহরায় ভর্তি করা হয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ