দামুড়হুদা ব্যুরো: দামুড়হুদায় সড়ক দুর্ঘটনায় ননদ ও ভাবির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। রাস্তায় পড়ে থাকা বিকল ট্রাকের সাথে ধাক্কা লেগে ছিটকে পড়ে আলমসাধুর চাকায় পিষ্ট হন তারা। ঘটনাস্থলেই নিহত হন ভাবি তানিয়া খাতুন। হাসপাতালে নেয়ার আধাঘণ্টার মাথায় মৃত্যু হয় ননদ অন্তঃসত্ত্বা রুমানা খাতুনের। গুরুতর আহত হয়েছেন মোটরসাইকেল চালক দেবর মনিরুল। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। গতরাত ৯টার দিকে দামুড়হুদা-চুয়াডাঙ্গা সড়কে কোষাঘাটাস্থ ইটভাটার অদূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এদিকে, দুর্ঘটনা কবলিত আলমসাধুটি থানায় নেয়া হয়েছে। তবে চালককে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ইউপি সদস্য হাতিভাঙ্গা গ্রামের ইব্রাহিম মেম্বার জানান, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার হাতিভাঙ্গা পূর্বপাড়ার জিনারুল ইসলামের স্ত্রী তানিয়া খাতুন দিন চারেক আগে পিতার বাড়ি চুয়াডাঙ্গা শহরের হাসপাতালপাড়ায় বেড়াতে যান। গতকাল বুধবার বিকেলে ভাবিকে আনতে মোটরসাইকেলযোগে চুয়াডাঙ্গায় যান জিনারুলের ছোট ভাই মনিরুল। শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার করানোর উদ্দেশে ছোট বোন অন্তঃসত্ত্বা রুমানাকেও সাথে নিয়ে যান তিনি। রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভাবি ও ছোট বোনকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন মনিরুল। রাত ৯টার দিকে দামুড়হুদা-চুয়াডাঙ্গা সড়কের কোষাঘাটাস্থ ইটভাটার অদূরে পৌঁছুলে সেখানে পড়ে থাকা বিকল ট্রাকের পেছনে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। ট্রাকে ধাক্কা লাগার সাথে সাথে তারা তিনজনই পিচ রাস্তায় আছড়ে পড়ে। এসময় দামুড়হুদা থেকে চুয়াডাঙ্গা অভিমুখে যাওয়া বস্তাভর্তি একটি চলন্ত আলমসাধু তাদের পিষ্ট করে এবং গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায় আলমসাধু চালক। স্থানীয় লোকজন মুমূর্ষু অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে ভাবি তানিয়া খাতুনকে (৩৫) মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আধঘণ্টার ব্যবধানে মারা যান ননদ রুমানা খাতুন (২৩)। আহত মোটরসাইকেল চালক দেবর মনিরুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহীতে রেফার করেন।
ইউপি সদস্য ইব্রাহিম মেম্বার আরও জানান, বছর খানেক আগে দামুড়হুদা উপজেলার সুবলপুর গ্রামের আব্দুস সালামের সাথে বিয়ে হয় নিহত রুমানা খাতুনের। তিনি ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে নিহত ননদ ও ভাবির জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানান তিনি।
দামুড়হুদা মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই জিয়াউর রহমান জানান, দুর্ঘটনা কবলিত আলমসাধুটি থানায় নেয়া হয়েছে। তবে চালককে পাওয়া যায়নি। আলমসাধুতে বেশকিছু খালি বস্তা আছে। চালকের খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।