ভুল চিকিৎসা ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিতে বাধা দেয়ায় মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি স্বজনদের
আলমডাঙ্গা ব্যুরো: ৮ বছর পর সদ্য ভূমিষ্ঠ প্রথম সন্তানের মৃত্যুর ঘটনায় আলমডাঙ্গার মা ক্লিনিক ভাঙচুর চালিয়েছে ক্ষুব্ধ স্বজনরা। জন্মের দু’দিনের মাথায় গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই নবজাতকের মৃত্যু হয়। এর পরপরই ক্লিনিকে ভাঙচুর চালায় ক্ষুব্ধ স্বজনরা। তারা বলেছেন, ভুল চিকিৎসা প্রদান ও অন্য চিকিৎসকের কাছে নিতে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ বাধা দেয়ায় ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তবে প্রসূতির সিজার অপারেশন কিংবা চিকিৎসায় কোনো ত্রুটি ছিলো না বলে দাবি করেছেন ক্লিনিক মালিক।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার কালিদাসপুর গ্রামের ওল্টু রহমানের প্রসূতি স্ত্রী মনিরা খাতুনের প্রসব বেদনা উঠলে গত রোববার তাকে আলমডাঙ্গার মা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ওই রাতেই ডা. লিফা নারছিস চৈতী প্রসূতির সিজার অপারেশন করেন। পুত্রসন্তান প্রসব করেন প্রসূতি মনিরা খাতুন। পরদিন সোমবার হঠাৎ কান্না শুরু করে নবজাতক। তাকে নেয়া হয় মেহেরপুর সদর হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. হাবিবুর রহমানের আলমডাঙ্গাস্থ চেম্বারে। ডা. হাবিবুর রহমান নবজাতকের চিকিৎসা প্রদান করেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই শিশুর মৃত্যু হয়।
এদিকে, নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে মা ক্লিনিকে হামলা চালায় আত্মীয়-স্বজনরা। তারা ক্লিনিকের থাইগ্লাসের দরজা ভাঙচুর করে। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তারা বলেছেন, মা ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসা ও অন্য চিকিৎসকের নিকট নিয়ে যেতে ক্লিনিকের লোকজনের বাঁধা দেয়ার ফলে শিশুটি মারা গেছে। সময়মতো ভালো চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে পারলে শিশুটি বেঁচে থাকতো।
এ বিষয়ে ক্লিনিক মালিক আনোয়ার হোসেন জালাল বলেন, আমার ক্লিনিকে প্রসূতির অপারেশন কিংবা অপারেশনের পর সেবার কোনো অনিয়ম বা ত্রুটি হয়নি। ভূমিষ্ঠের পর শিশুটি সুস্থ ছিলো। তারপরও ক্লিনিকে হামলা করা হয়েছে।
শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, ওই নবজাতককে যখন আমার কাছে নিয়ে আসা হয় তখন সুস্থ ছিলো। তবে, নিশ্চিতভাবে না জেনে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছুই বলা যাবে না।
দীর্ঘ ৮ বছর পর প্রথম সন্তান ভূমিষ্ঠ ওল্টু রহমান-মনিরা খাতুন দম্পতির। নবজাতকের ভূমিষ্ঠকে কেন্দ্র করে আত্মীয় স্বজনের মাঝে বাঁধভাঙ্গা আনন্দের জোয়ার বয়ে যায়। আকস্মিক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় শোকে হতবিহ্বল হয়ে পড়ে আত্মীয়স্বজনরা।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ