২৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ম্যানেজার মারুফ গ্রেফতার
চুয়াডাঙ্গা শহরের সিটি মার্বেল প্রতিষ্ঠান মালিকের অসুস্থতার সুযোগ
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা শহরের পুরাতন হাসপাতাল সড়কের ‘সিটি মার্বেল’র মালিক গোলাম কিবরিয়ার অসুস্থতাজনিত কারণে দীর্ঘদিন অনুপস্থিতের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ২৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উক্ত প্রতিষ্ঠানেরই ম্যানেজার মারুফ ইসলাম ও তার ভাই ফয়সাল ইসলামসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত সোমবার রাতে ‘সিটি মার্বেল’র মালিক গোলাম কিবরিয়া বাদি হয়ে ম্যানেজার মারুফ ইসলাম ও তার বড় ভাই ফয়সালের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জনের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি মারুফ ইসলামকে গ্রেফতার করে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেফাউল হাসান। মারুফ ইসলাম (২৮) ও ফয়সাল বিশ্বাস (৩৬) চুয়াডাঙ্গা শহরের সিঅ্যান্ডবি পাড়ার মো. বজলুর রহমানের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শহরের সিটি মার্বেল নামক প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন যাবৎ মারুফ ইসলাম ম্যানেজার পদে কর্মরত রয়েছেন। ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক গোলাম কিবরিয়া হার্টের অপারেশন জনিত কারণে ছয় মাস যাবৎ দোকানে যেতে পারেননি। শারিরীকভাবে কিছুটা সুস্থ হলে গত সোমবার সকালে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যান তিনি। পরে ক্যাশ বই ও রশিদ বই চেক করে মালমাল ফেরত বাবদ নগদ ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ৯৪০ টাকা, মেমো ছাড়া মাল বিক্রি বাবদ নগদ ৯ লাখ ৬৭ হাজার ৯১২ টাকাসহ মোট ২৪ লাখ ৫ হাজার ৮৫২ টাকার গড়মিল বুঝতে পারেন গোলাম কিবরিয়া। এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মারুফ ইসলাম তার ভাই ফয়সাল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা ২-৩ জন বিভিন্ন সময় আসামিদের পরস্পর সহযোগিতায় ও পূর্ব পরিকল্পনায় মোট ২৪ লাখ ৫ হাজার ৮৫২ টাকা আত্মসাৎ করে অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন।
এদিকে গত সোমবার রাতে মামলার দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি মারুফ হোসেনকে গ্রেফতার করে। গতকাল দুপুরে তাকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়। ওই সময় আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেফাউল হাসান দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, গত সোমবার রাতে সিটি মার্বেল নামক প্রতিষ্ঠানের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এরপরই মামলার প্রধান আসামি মারুফ ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল দুপুরে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এছাড়াও বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।