১৭দিন পর মূলহোতাসহ ছিনতাইকারীচক্রের চার সদস্য গ্রেফতার
চুয়াডাঙ্গা শহরের ডিজিটাল মোড়ের অদূরে দিনেদুপুরে কিশোরের মোবাইল ছিনতাই
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা শহরের ডিজিটাল মোড়ের অদূরে কিশোরের মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনায় চারচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার ৩১ জানুয়ারি দুপুরে ডিজিটাল মোড়ের অদূরে উপজেলা ফুড গোডাউন সড়কে শুভ (১৬) নামে এক কিশোরের মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। পরদিন এ ঘটনা উল্লেখ করে চুয়াডাঙ্গার আঞ্চলিক দৈনিক মাথাভাঙ্গায় ‘চুয়াডাঙ্গা শহরের ডিজিটাল মোড়ের অদূরে দিনে দুপুরে কৌশলে কিশোরের মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপরই সদর থানা পুলিশ নড়েচড়ে বসে। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে দুই অভিযুক্তকে সনাক্ত করে। টানা ১৭দিন পর গতকাল শুক্রবার তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে আলমডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্নস্থান থেকে ঘটনার মূলহোতাসহ চারজনকে গ্রেফতার করে সদর থানা পুলিশ। উদ্ধার করা হয় ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল। এছাড়াও ছিনতাইকৃত মোবাইল ক্রয়কারিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসানুজ্জামান। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলার ঘোষবিলা গ্রামের খন্দকারপাড়ার মৃত স্বাধীনের ছেলে আশিকুর রহমান ওরফে রুপক (৩০), একই উপজেলার জামজামি গ্রামের উত্তরপাড়ার মনোয়ারের ছেলে রাসেল আলী (১৯), গোবিন্দপুর গ্রামের বাবলুর ছেলে লিমন মিয়া (২২) ও আলমডাঙ্গা শহরের কলেজপাড়ার আলী হোসেনের ছেলে সামসুল আরেফিন ওরফে আরিফ (৪০)। সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসানুজ্জামান দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় ছিনতাইয়ের ঘটনার সংবাদ প্রকাশের পর ভুক্তভোগী কিশোরের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত শুনেছি। এরপর ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজের মাধ্যমে আশিকুর রহমান ওরফে রুপক ও রাসেল আলীকে সনাক্ত করা হয়। তাদেরকে গ্রেফতারের কয়েকবার অভিযান চালালেও সম্ভব হয়নি। পরে দুজনের ফেসবুক ও টিকটক আইডির মাধ্যমে মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করা হয়। এরপর তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তিতে চক্রের লিমন আলীকেও গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া ছিনতাইকৃত মোবাইলটি বিক্রয় করেন আলমডাঙ্গা শহরের ওসমানিয়া সুপার মার্কেটের মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকানি আরিফের নিকট। চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এই মামলায় আরিফকেও গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরও বলেন, গত বৃহস্পতিবারও একই কৌশলে চক্রটি এক ব্যক্তির মোবাইল ছিনতাই করেছে বলে অভিযোগ পাই। তাদের নিকট থেকে উদ্ধার করা হয় ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল। গতকালই চারজনকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ৩১ জানুয়ারি দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরের ফার্মপাড়ার হোটেল ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলামের ছেলে শুভ (১৬) বাবার খাবার হোটেলের বাজার দিয়ে সাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলো। ডিজিটাল মোড়ের অদূরে ফুট গোডাউন সড়কে পৌঁছালে অ্যাপাচি মোটরসাইকেলযোগে দুজন যুবক গতিরোধ করে শুভকে। সদর হাসপাতালের মধ্যে মেয়েদের ছবি তোলার অভিযোগ করে শুভ’র মোবাইল জোরপূর্বক নিয়ে হাসপাতালের মধ্যে আসতে বলে। হাসপাতালে গিয়ে তাদের খুজে পাইনি শুভ। এ ঘটনায় পর দিন দৈনিক মাথাভাঙ্গায় একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপরই পুলিশ নড়েচড়ে বসে।