হাসপাতালের রোগী-স্বজনরা বিনামূল্যে পাচ্ছেন ইফতার-সেহরি
ওসি মহসীনের নেতৃত্বে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের প্রশংসিত উদ্যোগ (ভিডিও)
স্টাফ রিপোর্টার: শুধু গরিব অসহায় ব্যক্তিরা নন, পকেটে টাকা থাকা স্বত্ত্বেও সেহরির সময় বিপাকে অনেক বিত্তবান ব্যক্তিও। বিশেষ করে অসুস্থতার কারণে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী বা স্বজনরা এ সমস্যায় পড়েন সবচে’ বেশি। তাদের কথা চিন্তা করে ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ নিয়েছে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ। মূলত ওসি মোহাম্মদ মহসীনের ব্যক্তিগত উদ্যোগেই হাসপাতাল চত্বরে চালু করা হয়েছে একটি ইফতার ও সেহরি শপ। সেখান থেকে বিনামূল্যে ইফতার ও সেহরির খাবার পাবেন হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগী ও স্বজনরা। এ কার্যক্রম চলবে পুরো রমজান মাসব্যাপী।
এদিকে, ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ নেয়ায় সর্ব মহলেই প্রশংসিত হয়েছে সদর থানা পুলিশ জেলা পুলিশ।
গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ফিতা কেটে এ শপের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বিপিএম (সেবা)। এ সময় তিনি বলেন, পুলিশ মানুষের বিপদের প্রকৃত বন্ধু। এখন যেকোনো বিপদেই সাধারণ মানুষ পুলিশকে কাছে পায়। পুলিশের প্রধান কাজ হচ্ছে সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সেই কাজের পাশাপাশি এখন বিভিন্ন ধরনের মানবিক কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ। সদর হাসপাতালে সাধারণত গরিব মানুষরা বেশি চিকিৎসা নিতে আসে। আর বিপদে পরলেই মানুষ হাসপাতালে আসে। এখানে এসে মানুষ চিকিৎসা নেয়া ও ওষুধ কেনা নিয়ে ছুটাছুটি করতে থাকে। এখান থেকে দুস্থ রুগী ও তার সাথে আসা স্বজনররাসহ যে কেউ বিনামূল্যে ইফতার ও সেহরির খাবার পাবে। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহসীনের এ উদ্যোগটা আসলেই প্রশংসনীয় ও খুবই মানবিক।
ইফতার ও সেহরি শপের আয়োজক চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন (পিপিএম বার) বলেন, হাসপাতালে যেমন গরিব কিংবা অসহায় রোগী আসেন, তেমন অনেক বিত্তবানও অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নিতে আসেন। রমজান মাসে রোগীর স্বজনদের অনেকেই রোজা করেন। তারা বিপাকে পড়েন সেহরির খাবার নিয়ে। পকেটে টাকা থাকা স্বত্ত্বেও ওই রাতে খাবার পাওয়া সম্ভব হয় না। তাদের জন্য চিন্তা করে হাসপাতাল চত্বরে ইফতার ও সেহরি শপ বসানো হয়েছে। পুরো রমজান মাসজুড়ে এটা চলমান থাকবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিঙ্গাপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাহেদুজ্জামান টরিক, সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এএসএম ফাতেহ আকরাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান লালন, চুয়াডাঙ্গা সাংবাদিক সমিতির সভাপতি নাজমুল হক স্বপন ও পৌর কাউন্সিলর মাফিজুর রহমান মাফি।