হত্যা-সন্ত্রাসের রাজনীতি চিরতরে নির্মূল করার প্রত্যয়
চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণ
স্টাফ রিপোর্টার: বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় শহিদদের শ্রদ্ধাবনত চিত্তে স্মরণ, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ-সাম্প্রদায়িকতা ও হত্যার রাজনীতি চিরতরে নির্মূল করার প্রত্যয় এবং গ্রেনেড হামলার মূল পরিকল্পনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবির মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে রক্তস্নাত ভয়াল-বিভীষিকাময় একুশে আগস্টের ১৮তম বার্ষিকী। দিবসটি উপলক্ষ্যে গতকাল রোবাবর চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরের বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ, মানববন্ধন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের এদিনে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতি বিরোধী’ সমাবেশে এক নারকীয় গ্রেনেড হামলার ঘটনা বাংলাদেশে এক কলঙ্কময় অধ্যায়ের জন্ম দেয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জ্ঞাতসারে তার পুত্র তারেক রহমানের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার উদ্দেশ্যে এ গ্রেনেড হামলা হয়েছে। এ হামলা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার ধারাবাহিকতাতেই পরিচালিত। ১৫ আগস্ট হত্যাকা-ের সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী জিয়া পরিবারই তখন ক্ষমতায় ছিলো। ক্ষমতা নিষ্কণ্টক করতে হাজার হাজার সেনা সদস্যকে হত্যা করে জিয়াউর রহমান এ দেশে হত্যার রাজনীতি শুরু করেন এবং খালেদা জিয়া তা অব্যাহত রাখেন।’ বক্তরা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত নৃশংস সহিংসতার যেসব ঘটনা ঘটেছে, ২১ অগাস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনা তার মধ্যে অন্যতম। ওই হামলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আহত হলেও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী ও মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী বেগম আইভি রহমানসহ আওয়ামী লীগের ২৪জন নেতাকর্মী নিহত এবং ৪০০ জন এর মত আহত হয়েছিলেন। এ সময় বক্তারা একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার সাথে জড়িত হামলাকারীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানানো হয়। একই সাথে ওই হামলার সাথে জড়িত সকল ষড়যন্ত্রকারীদেরও আইনের আওতায় এনে বাংলার ইতিহাসকে কলংঙ্কমুক্ত করারও জোর দাবি জানানো হয়।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগের ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিবিরোধী’ সমাবেশে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ২১ আগষ্টে নিহতদের স্মরণে ও আহতদের সুস্থতায় আলোচনাসভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ। সভায় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন ও অ্যাড. শামসুজ্জোহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান দপ্তর সম্পাদক অ্যাড. আবু তালেব বিশ্বাস, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. তালিম হোসেন, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আরশেদ উদ্দিন আহমেদ চন্দন, কোষাধ্যক্ষ আলী রেজা সজল, উপ-প্রচার সম্পাদক শওকত আলী বিশ্বাস, কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাড. বেলাল হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এবিএম জহুরুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন হেলা, পৌরসভার সকল ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ, জাতীয় শ্রমিক লীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি মো. আফজালুল হক বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক রিপন ম-ল, জেলা কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম চন্দন, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহাজাদী মিলি, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা নুরুন্নাহার কাকলী, পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া সাহাব, জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক গিণি ইসলাম, মহিলা নেত্রী লায়লা শিরিন, সাথী, জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু, যুবলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম আসমান, আব্দুল কাদের, শেখ সেলিম, আব্দুস সালাম লিটন, মোস্তাক, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানিম হাসান তারেক, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বাপ্পী আহমেদ, ফিরোজ জোয়ার্দ্দার, ছাত্রলীগ নেতা রাজু আহমেদ, সোয়েব রিগান, ওয়ালির রকি, আকাশসহ অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। দোয়া পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি মাসুদ উজ্জামান লিটু বিশ্বাস।
এদিকে গতকাল রোববার বিকেলে শহরের কলেজ রোড থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আসাদুল হক বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদের নেতৃত্বে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। শহর প্রদক্ষিণ শেষে শহিদ হাসান চত্বরে এসে মিছিলটি শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে জেলার আওয়ামী, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। মিছিল শেষে শহীদ হাসান চত্বরে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ। জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. শফিকুল ইসলাম শফির পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আইলহাস ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাড. আব্দুল মালেক, জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক সাবেক পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু, জেলা কৃষক লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ দীপন, সদর উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক আব্দুল মতিন দুদু, আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক মতিয়ার রহমান মতি, জেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি আক্তারুজ্জামান, আইন বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল খালেক, দপ্তর সম্পাদক রাকিব আহম্মেদ জনি, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল রানা, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর মাফিজুর রহমান মাফি, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল হালিম ভুলন, পৌর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সামী তাপু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য গাজী ইমদাদুল হক সজল প্রমুখ।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের উদ্যোগে আলোচনাসভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেল ৫টায় জেলা যুবলীগের দলীয় কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জেলা যুবলীগের সদস্য সাজেদুল ইসলাম লাভলুর সভাপতিত্বে জেলা যুবলীগ সদস্য হাফিজুর রহমান হাপুর সঞ্চালনায় অতিথি ছিলেন জেলা যুবলীগ সদস্য আজাদ আলী, আবু বক্কর সিদ্দিক আরিফ, আলমগীর আজম খোকা, যুবলীগ নেতা পিরু মিয়া, শেখ শাহী, মাসুদুর রহমান মাসুম, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল ইমরান শুভ, বিপ্লব হোসেন, হাসানুল ইসলাম পলেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রামীম হাসান সৈকত, তানভীর রেজা টুটুল, চুয়াডাঙ্গা পৌর ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি রানা, সাধারণ সম্পাদক খান জাহান, ৫নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আলিম, সাধারণ সম্পাদক মিঠুন, ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি আসাদ, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব, জামাল খান, সুমন, নাজমুল, সম্রাট, খোকন, আকাশ, কাজল, মোনাজাত, সজিব, সোহাগ, রুবেল, সঞ্জু, জনি, বাচ্চু, জুয়েল, খোকন, সাইদ, মিন্টু, ছাত্রলীগ নেতা, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক শেখ আনোয়ার, আতাউর রহমান বিপুল, মিলন, ইমরান, সুজন প্রমুখ।
অন্যদিকে, চুয়াডাঙ্গা যুব মহিলা লীগ নানা কর্মসূচি পালন করেছে। সভাপতি আফরোজা পারভীনের নেতৃত্বে সকাল সাড়ে ৭টায় যুব মহিলা লীগের গোরস্তানপাড়াস্থ নিজস্ব কার্যালয়ের সামনে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জাতীয় পতাকা, শোক পতাকা ও যুব মহিলা লীগের দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে সকাল ১০টায় এক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ হাসান চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেস করে। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি আফরোজা পারভীন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি পূর্ণিমা হালদার, শিউলী খাতুন, ইভা খাতুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলিজা খাতুন, জাহানারা খাতুন, সাংগঠনিক সম্পাদক চিনি খাতুন, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক চম্পা খাতুন, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড যুব মহিলা লীগের সভাপতি রিমা খাতুন, ২নং ওয়ার্ডের সভাপতি সালেহা খাতুন, ৩নং ওয়ার্ডের সভাপতি জেসমিন খাতুন, সাংঠনিক সম্পাদক ফাহিমা খাতুন, ৪নং ওয়ার্ডের সভাপতি সাবিনা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক বাবিতা খাতুন, ৬নং ওয়ার্ডের সভাপতি রুপালী খাতুন, সাধারণ সম্পাদক শরিফা খাতুন, ৯নং ওয়ার্ডের সভাপতি আরজিনা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক বেবি খাতুন, সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি পারুলা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক কাজলী খাতুন প্রমুখ।
আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, আলমডাঙ্গায় ২১ আগস্ট স্মরণকালের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ১৮তম বার্ষিকী স্মরণে আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে রোববার উপজেলা দলীয় কার্যালয়ে উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের আয়োজনে সন্ধ্যায় আলোচনাসভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনাসভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মুছার সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা, জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য সিরাজুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান ফারুক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক মাসুদ রানা তুহিন, বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু ডালিম, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক সাইফুর রহমান পিন্টু, দপ্তর সম্পাদক মাসুদ সালেহীন উৎপল, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. সালমুন আহমেদ ডন, কলেজ ছাত্রলীগে সভাপতি আশরাফুল হক, পৌর ছাত্রলীগের সম্পাদক নাহিদ হাসান তমাল, সাবেক কলেজ ছাত্রলীগের আহব্বায়ক সোহেল রানা শাহিন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সৈকত খান, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সম্পাদকের মধ্যে সোনা উল্লাহ, রেজাউল হক তবা, সাফায়েত উল্লাহ, যুবলীগ নেতা মিরাজুল ইসলাম রঞ্জু, সেন্টু, লোকমান, সোহেল, খাইরুল, ছাত্রলীগ নেতা টিটন প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ মোহাম্মদ সজীব।
দামুড়হুদা অফিস জানিয়েছে, ২১ আগস্ট নির্মম গ্রেনেড হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দামুড়হুদায় আলোচনাসভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দামুড়হুদা অডিটোরিয়ামে উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজু। প্রধান অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাজি মো. শহিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্মসস্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান এসএএম জাকারিয়া আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাফিক মাস্টার, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল কবীর ইউসুফ, দামুড়হুদা সদর ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী, দামুড়হুদা উপজেলা মহিলা লীগের সভাপতি উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদা খাতুন, কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কাফিল উদ্দীন টুটুল, নাটুদহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সস্পাদক রেজাউল করীম, উপজেলা কৃষক লীগ সভাপতি রফিকুল ইসলাম, দামুড়হুদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হাজি সহিদুল ইসলাম। দামুড়হুদা সদর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড, সিরাজুল ইসলাম, বরকত আলী, জসিম উদ্দীন, শমশের আলী, ইছা মেম্বার, আবুল হাশেম মেম্বার, আলফাজ মল্লিক, নিশান তরফদার, ফয়সাল মেহমুদ, আশাদুল ইসলাম, আবু বকর, মাসুম বিল্লাহ মন্টু, আবুল কাশেম, মোজাফ্ফর হোসেন, মইনুল ইসলাম মিঠু, লিয়াকত মেম্বার, মহাসিন আলী, যুবলীগ নেতা এসএস মহসিন, আব্দুল হালিম ভুট্টু, হযরত আলী, জাহাঙ্গীর হোসেন, হায়দার আলী, হাতেম আলী, ডলার, হাবিবুর রহমান হাবীব, সোহেল, দামুড়হুদা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজু আহম্মেদ রিংকু, হাউলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক রাসেল আহম্মেদ, ছাত্রলীগ নেতা শাহীন মোল্লা, এমএ করীমসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এদিকে, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা হাশেম রেজার নেতৃত্বে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দামুড়দার কুড়–লগাছিস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে কার্পাসডাঙ্গা চিৎলা মোড়, দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড এবং দর্শনা হয়ে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে ফিরে আসে। সেখানে গ্রেনেড হামলায় নিহত শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন নাটুদহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইন্নাল শেখ, আওয়ামী লীগ নেতা কুড়–লগাছি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ক্রীড়া সম্পাদক জসিম উদ্দিন মেম্বার, হাওলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার জহির উদ্দিন মেম্বার, কুড়–লগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৮নং ওয়ার্ডর সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলী জুলু, আ.লীগ নেতা আবু, বক্কর, আলফাজ উদ্দিন মন্টু, সাইদুর রহমান, লাটিম সরদার, ইব্রাহিম, জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা সাহাবুদ্দিন, তারিকুল ইসলাম, পবন, যুবলীগ নেতা সাকিল, সবুজ প্রমুখ। দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ হায়দার আলী।
জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হাজি আলী আজগার টগর। জীবননগর বাসস্ট্যান্ডে মুক্তমঞ্চে বিকেল ৪টার দিকে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উপধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম। জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মো. আব্দুল লতিফ অমলের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম মোর্তূজা, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, জীবননগর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সী নাসির উদ্দীন, উথলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান, আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তার, বাঁকা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কাদের প্রধান, জীবননগর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম, দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আলী মুনছুর বাবু, জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান হাজি মো. হাফিজুর রহমান, কেডিকে ইউপি চেয়ারম্যান মো. খায়রুল বাশার শিপলু, মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খাঁন, জীবননগর পৌর মেয়র মো. রফিকুল ইসলাম, জীবননগর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকি, জীবননগর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম ঈশা, সাধারণ সম্পাদক সোয়াইব আহম্মেদ অঞ্জন, জীবননগর পৌর যুবলীগের সভাপতি শাহ আলম শরিফুল ইসলাম ছোট বাবু ও পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছির আরাফাত আকাশ।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিএনপি-জামায়াতের বর্বোরচিত গ্রেনেড হামলায় নিহত সব শহীদের স্মরণে এ শ্রদ্ধা, আলোচনা সভা ও দোয়ার আয়োজন করা হয়। ২০০৪ সালের এ দিনে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় নিহত হন ২৪ জন। আহত হন আওয়ামী লীগের কয়েকশ’ নেতাকর্মী। গ্রেনেড হামলার ১৮ বছর পূর্তিতে গতকাল রোববার বিকেলে মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদ ও নিহতদের স্মরণে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় (জুমের মাধ্যমে) সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাড. মিয়াজান আলী, অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম, আলহাজ মো. আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক, সাবেক যুগ্মসম্পাদক অ্যাড. ইব্রাহিম শাহীন, পিপি পল্লব ভট্টাচার্য, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মোখলেছুর রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন বুলবুল, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য শামীম আরা হীরা, জেলা যুবলীগের যুগ্মআহ্বায়ক সরফরাজ হোসেন মৃদুল, যুবলীগ নেতা শফি কামাল পলাশ প্রমুখ।
এদিকে মেহেরপুর জেলা যুবলীগের উদ্যোগে ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন সন্ধ্যায় মেহেরপুর পৌরসভা মিলনায়তনে এই আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। মেহেরপুর পৌর সভার মেয়র ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগের যুগ্মআহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশান, মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান প্রমুখ। পরে সেখানে ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে মেহেরপুর গাংনীর বামন্দীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ। গতকাল রোববার বিকেলে বামন্দী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মুকুল। প্রধান অতিথি ছিলেন গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন। অনুষ্ঠানে বিএনপি জামায়াতের প্রতি হুঁশিয়ারি করে সাহিদুজ্জামান খোকন বলেন, আপনারা যদি রাজপথে কোন প্রকার বিশৃংখলা করেন তাহলে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ইউনিট নেতৃবৃন্দ।