উৎসবমুখর পরিবেশে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত সাংবাদিকদের প্রাণের দুই প্রতিষ্ঠান চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব ও বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা ইউনিটের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন ২০২৪-২০২৫ উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে দৈনিক মাথাভাঙ্গার সম্পাদক ও প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সরদার আল আমিনের নেতৃত্বাধীন টিম-১৯ এর দুটি প্যানেলই ঈর্ষণীয় সাফল্য পেয়েছে। দুটি প্রতিষ্ঠানের ১৮টি পদে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১৩টি পদে জয়লাভ করেছেন টিম-১৯ এর সদস্যরা। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলায় নিজস্ব মিলনায়তনে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোট চলাকালে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান লালন, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ চুয়াডাঙ্গার ভাইস চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এম এম শাহজাহান মুকুল, আইনের শিক্ষক তুহিন আহমেদ এবং মেহেরপুর থেকে আসা একদল সাংবাদিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন এবং সার্বিক পরিবেশ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে মোট ১৩টি পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। টিম-১৯এর ফাইজার বিপুল পরিষদ থেকেই ১০জন নির্বাচিত হন। তারা হলেন-সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ, সহ-সাধারণ সম্পাদক ইসলাম রকিব, অর্থ সম্পাদক আতিয়ার রহমান, সাংস্কৃতিক ও প্রকাশনা সম্পাদক জহির রায়হান সোহাগ, ক্রীড়া সম্পাদক সোহেল সজীব, দপ্তর সম্পাদক আবুল হাশেম, এবং কার্যকরী সদস্য শাহ আলম সনি, রফিকুল ইসলাম, শামিম রেজা ও পলাশ উদ্দিন। প্রতিদ্বন্দ্বী কচি-স্বপন পরিষদ থেকে সভাপতি রাজীব হাসান কচি, সহ-সভাপতি রফিক রহমান ও কার্যকরী সদস্য আজাদ মালিতা। অপরদিকে বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা ইউনিট নির্বাচনে মোট ৫টি পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে টিম-১৯ এর আল আমিন-চাঁদ পরিষদ থেকে সভাপতি সরদার আল আমিন, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান চাঁদ ও সহ-সভাপতি খাইরুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিম-মামুন পরিষদ থেকে সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে রেজাউল করিম লিটন ও অর্থ সম্পাদক পদে আলমগীর কবীর শিপলু নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়াও আল আমিন-চাঁদ পরিষদ থেকে সাংস্কৃতিক ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে আনজাম খালেক বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের কার্যকরী সদস্য পদে ফাইজার-বিপুল পরিষদের খাইরুজ্জামান সেতু ও পলাশ উদ্দিন এবং কচি-স্বপন পরিষদের রিফাত রহমান সমান সংখ্যক ২২টি করে ভোট পান। সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের অনুরোধ এবং প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক কমিটির সভাপতি মাহতাব উদ্দিনের পরামর্শে লটারি করে ফল নির্ধারণ হয়। লটারিতে পলাশ উদ্দিন বিজয়ী হন। প্রেসক্লাবের নির্বাচনে সভাপতি পদপ্রার্থী ফাইজার চৌধুরী মাত্র এক ভোটে, সহ-সভাপতি আহাদ আলী মোল্লা ৬ ভোটে এবং সাংবাদিক সমিতির নির্বাচনে সহ-সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী রুহুল আমিন রতন ও অর্থ সম্পাদক উজ্জল মাসুদ ৫ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন। টিম-১৯ এর সমন্বয়ক সরদার আল আমিন ওই চারজন পরাজয়কে নির্বাচনের একটি অংশ হিসেবে মেনে নিতে পারামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমিতি এবং সাংবাদিকদের মানোন্নয়নে সকলকে নিয়ে কাজ করা হবে। কাওকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব নয়।’ এদিকে ফলাফল ঘোষণার পর জেলার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে টিম-১৯ থেকে নির্বাচিত সাংবাদিক নেতৃবৃন্দকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও মিষ্টিমুখ করান। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ চুয়াডাঙ্গার ভাইস চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার নবনির্বাচিতদেরকে নিজহাতে মিষ্টিমুখ করান এবং ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। তিনি, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব ও কর্মরত সাংবাদিকদের মানোন্নয়নে আগামী দিনগুলোতে পাশে থাকবেন বলে জানান। সমবায় নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মাহফুজুর রহমান জোয়ার্দ্দার মিজাইলও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছাসহ বিশেষভাবে আপ্যায়িত করেন। এছাড়াও যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জুবায়ের আহমেদ বলেন, শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব ও চুয়াডাঙ্গা সাংবাদিক সমিতি নেতৃত্ববৃন্দের। নবগঠিত কমিটির সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করছি। স্মার্ট চুয়াডাঙ্গা গড়তে আপনাদের লেখনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.