স্টাফ রিপোর্টার: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ বছরের মধ্যে নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিএনপির খেলা এখনো দেখেন নাই। বিএনপিকে রাস্তায় নামায়েন না। ড. ইউনুসের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, আপনি ভাল লোক, সম্মানিত ব্যক্তি, দেশে বিদেশে আপনার সম্মান আছে। তাই আপনি এদের পাল্লায় পইড়েন না। ফুলের মালা দিয়ে আপনাকে বরণ করেছি। ফুলের মালা দিয়ে বিদায় করতে চাই। শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারি পঞ্চগড়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা এবং ফ্যাসিবাদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলার দাবিতে পঞ্চগড় জেলা বিএনপি’র উদ্যোগে এক জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। দুদু বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এমনি এমনি প্রেসিডেন্ট হয় নাই। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এমনি এমনি প্রধানমন্ত্রী হয় নাই। গত ১৭ বছর তারেক রহমানের নির্দেশে আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে। তাই এই বছরেই নির্বাচন হবে এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন। তিনি বলেন, পঞ্চগড়ের মাটিতে পা দিয়ে আমার একটা অনুভূতি হয়েছে। আমার মনে হয়েছে পঞ্চগড়ের মাটি ধানের শীষের এলাকা। আগামীতে যে নির্বাচন হবে। কোথায় কি হবে জানিনা তবে এখানে জিতবে ধানের শীষ। এখানে এসে কে কি বলল, বলবে তা মাথায় রাখার দরকার নাই। আবার এক জায়গায় হতে হবে। এই পঞ্চগড়ে বিএনপিকে বিজয় করে আনতে হবে। বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে হবে। বিকল্প নাই। ধানের শীষ বাংলার গৌরবের প্রতীক। সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, মনে রাখতে হবে আমরা শহীদ জিয়ার সৈনিক, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সৈনিক, তারেক রহমানের সৈনিক। আমরা এক আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে মাথা নত করি না। অনেকেই অনেক কথা বলেছে বিএনপি এটা করেছে ওটা করেছে। ১৬/১৭টি বছর বিএনপি আন্দোলন করছে বিএনপির নেতাকর্মীরা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। জেল জুলুমের শিকার হয়েছে। গুমের স্বীকার হয়েছে। ইলিয়াস আলীরা এখনো ফিরে আসে নাই। কারো ভাই,কারো বাবা, কারো স্বামী আহত হয়েছে, নিহত হয়েছে, ঘুম হয়েছে আর তারা মনে করছে এক মাসের মধ্যেই সবকিছু করে ফেলেছে। ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, বিএনপি দিয়ে কথা বলেন? দেশের জন্য যারা জীবন দিয়েছে তাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা আন্দোলন করতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এটার দিকে চোখ যায় না? তিনি বিনা চিকিৎসা মৃত্যুর কাছাকাছি চলে গেছেন তবুও আপোষ করেননি। তখন কইছিলেন আপনারা? গত ১৭ বছর কই ছিলেন আপনারা? ৬০ লক্ষ মামলার আসামি বিএনপি তাদের নামে কয়টা আছে? বিএনপির নেতাকর্মীরা বনে বাঁদড়ে লুকিয়ে থেকেছে। বাঁচার জন্য রিক্সা চালিয়েছে। তারপরও আপোষ করেনি। এমনি এমনি বাংলাদেশ মুক্ত হয়ে গেল? এতই যখন ক্ষমতা তাহলে নির্বাচনে বাধা দিচ্ছেন কেন? পার্টি গুছাবেন। সরকার থেকে ঘোষণা করবেন। তারপরে চিন্তা ভাবনা করবেন নির্বাচন দিবেন কিনা। জনসমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি পল্লী বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার মো. নওশাদ জমির, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.