সমাজকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে নিতে হলে সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন

চুয়াডাঙ্গায় সাংবাদিকদের সৌজন্যে প্রীতিভোজে পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমোন্নতির পাশাপাশি ইতিহাস ঐতিহ্য মেলে ধরে দেশপ্রেমে উদ্বুব্ধ করার লক্ষ্যে একের পর এক সৃজনশীল পদক্ষেপ নিয়ে চলেছেন পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন। পুলিশ লাইন্সে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ কক্ষ স্থাপনের পর নিজ কার্যালয়ের প্রবেশমুখের দেয়ালেও মহান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের অবদান এবং গৌরবগাঁথা চুয়াডাঙ্গার সচ্চিত্র তথ্য মেলে ধরে অনন্য নজির গড়েছেন। জাতির পিতার ঐতিহাসিক ভাষনও মেলে ধরা হয়েছে এখানে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ পার্কে আয়োজিত সাংবাদিকদের সৌজন্যে প্রীতিভোজে পুলিশ সুপারের এসব পদক্ষেপের প্রসঙ্গ ঘুরে ফিরে উঠে এসেছে আলোচকদের মুখে। পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রীতিভোজ শেষে বক্তব্যে বলেন, রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মনের তাগিদে তথা বিবেকের তাড়নায় সহকর্মীদের সাথে নিয়ে যে প্রয়াস চালিয়েছি, তাতে সর্বকালের সর্বশেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অবদান- পুলিশের অবাদনসহ স্থানীয় গৌরবগাঁথা তথ্য সচ্চিত আকারে তুলে ধরা হয়েছে। এ গ্যালারি পরিদর্শনে প্রজন্ম প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে বলে বিশ্বাস। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের প্রত্যাশা হৃদয় জুড়ে। সকলকে পুলিশ লাইন্সে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ গ্যালারী পরিদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছি।
‘প্রীতি ও প্রেমের পুণ্য বাঁধনে যবে মিলি পরস্পরে, স্বর্গ আসিয়া দাঁড়ায় তখন আমাদের কুঁড়ে ঘরে’ কবিতা পংতি স্লোগান আকারে মেলে ধরে সাংবাদিকবৃন্দের সৌজন্যে আয়োজিত প্রীতিভোজে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার বলেন, একটি সমাজকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে নিতে হলে সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন। আমরা একে অপরের হৃদয়ে ধারণ করে ভাল কাজ সম্পাদনের মাধ্যমে সমাজের জন্য কল্যাণকর কাজ করতে পারার মধ্য দিয়ে গড়ে তুলবো স্মার্ট চুয়াডাঙ্গা। অবশ্যই আমাদের সম্প্রীতির সমাজে সম্প্রীতি-শান্তি অক্ষুন্ন রাখতে সর্বক্ষেত্রে সজাগ থাকার প্রয়োজন রয়েছে।
প্রীতিভোজে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) রিয়াজুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিছুজ্জামান লালন, সহকারী পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীন আল আজাদ, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি সরদার আল আমিন, সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান কচি, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির চুয়াডাঙ্গা সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ, প্রবীণ সাংবাদিক মানিক আকবর, জান্নাতুল আওলিয়া নিশি প্রমুখ উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন। বক্তারা সাংবাদিকদের সৌজন্যে প্রীতিভোজের আয়োজনের মাধ্যমে পুলিশ-সাংবাদিকদের মধ্যে সম্পর্ক দৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই সৃষ্টিশীলতার পরিচয় দিয়ে নতুনত্বের নজির গড়েন। প্রীতিভোজ শেষে বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত বিশেষ উপহার প্রদানের পাশাপপাশি ইংরেজিতে চুয়াডাঙ্গা লিখে অক্ষরগুলোর মাধ্যমে ভাগ্যবান ৯ জনকে নির্বাচিত করে বিশেষ পুরস্কার প্রদানের মধ্যেও দেখিয়েছেন অভিনবত্ব। পুরস্কার প্রদানে সৃষ্টিশীলতার ছোঁয়া স্পষ্ট। প্রীতিভোজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ডিআই-১ আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More