শীতার্তদের দুর্ভোগ লাগবে যারা মানবিকতা দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়ান তারা সামাজের শ্রেষ্ঠ সন্তান
চুয়াডাঙ্গায় তীব্র শীত : শীতার্তদের পাশে দানশীল মানুষগুলোকে আরও হৃদয়বান হওয়ার আহ্বান
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় গতকাল সোমবারের সকালটা ছিলো গত কয়েক দিনের চেয়ে ভিন্ন। ভোরে উঠলো সূর্য। সাথে ঝলমলে রোদ। তবে তাপমাত্রা বাড়লেও কমেনি শীতের দাপট। সকাল থেকে সূর্য উঁকি দিলেও নেই তেমন উত্তাপ। টানা তিনদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পর রোদটুকুই আর্শীবাদ হলো চুয়াডাঙ্গার মানুষের। গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১০ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলে ২৫ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে রোববার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগীর সংখ্যা। প্রকৃতির এমন বৈরী আচরণে কষ্ট ও দুর্ভোগ বেড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের। ভোর থেকে কাজের জন্য অপেক্ষা করেও মিলছে না কাজ। ফিরে যেতে হচ্ছে বাড়িতে। সরকারি সহযোগীতার আশায় চেয়ে আছেন তারা। একেবারে স্থবির হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের জনজীবন।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান জানান, গত চারদিন ধরে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছ। এছাড়া বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিলো বেশি। দিনের বেলায় সূর্যের উত্তাপ মিলছে না। এতে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। সামনের দুই-তিনদিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। তারপর আবার তাপমাত্রা কমতে পারে। এ মাসে আরও দুটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মঙ্গলবারও পরিস্থিতি এমন থাকতে পারে। তাপমাত্রা কিছু বেড়ে যাওয়ায় শীতের প্রকোপ খানিকটা কমে আসবে। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। গতকাল সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো তেঁতুলিয়ায়, ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১০ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলে ২৫ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় এক দিনের ব্যবধানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে হয়েছে ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ছিলো ২৮ দশমিক ৫ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দেশের অন্য অঞ্চলে তাপমাত্রা বাড়লেও রাজশাহী ও রংপুরে কমছে কেন-এমন প্রশ্নে আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ বলেন, হিমালয় থেকে আসা বায়ুর একটি অংশ কাশ্মীর, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের একাংশ হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। গরমের দিনে দিল্লির তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বাড়তে বাড়তে বাংলাদেশে আসতে থাকে। আবার শীতকালে দিল্লির অতি শীত ধীরে ধীরে কমতে কমতে বাংলাদেশে আসে। শীতের সময় এই উত্তরে হাওয়া বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম অংশ চুয়াডাঙ্গা দিয়ে ঢোকে। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার শীতের কারণ, হিমালয়ের কাছাকাছি অবস্থান বলে মনে করেন তিনি।
এদিকে, শীতার্ত মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে শীতবস্ত্র বিতরণের নানা মুখি উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে। গতকালও মিনিস্টার মাইওয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক খানের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে ক্লাব সদস্যদের মাধ্যমে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। অপরদিকে তারাদেবী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান দিলীপ কুমার আগরওয়ালার পান্না সিনেমাহল প্রাঙ্গণে দুস্থ শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার এমপির পক্ষে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান তার বক্তব্যে বলেন, চুয়াডাঙ্গায় যেমন শীতের তীব্রতা বেশি তেমনই দানশীল হৃদয়বান মানুষের সংখ্যা কম নয়। এর মধ্যে মিনিস্টার হাইটেক মাইওয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান চুয়াডাঙ্গার কৃতিসন্তান আব্দুর রাজ্জাক খান তুলনাহীন একজন মানুষ। তিনি পর পর কয়েকদিন ধরেই শীতবস্ত্র বিতরণ করছেন। শুধু চুয়াডাঙ্গায় নয়, তিনি গোপালগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শীতবস্ত্র বিতরণ করে ইতোমধ্যেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এভাবে সকলে শীতার্তদের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়ালে সমাজের দুস্থ অবহেলিত তথা পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোর দুর্ভোগ লাঘব হবে। আয়োজনের আয়োজক দেশের স্বনামধন্য তরুণ শিল্পপতি এফবিসিসিআই’র সহসভাপতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্র অর্থ ও পরিকল্পনা উপ-কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক খান তার বক্তব্যে বলেন, সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ভারতসহ বিভিন্ন দেশে সফর সঙ্গী হয়ে খুব নিকট থেকে দেখেছি তিনি নিজের জন্য নয়, দেশের জন্য তথা দেশের মানুষের কল্যাণে বিভোর। দেশের মানুষের কল্যাণ ছাড়া প্রধামন্ত্রীর ভাবনায় আর কিছুই থাকে না। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
বক্তব্যে আব্দুর রাজ্জাক খান রাজ বলেন সাংবাদিকদের সাথে সব সময় রয়েছি। সাংবাদিকবন্ধুদের মাধ্যমে সমাজের প্রকৃত চিত্রই শুধু দেখি না, দেশের দশের কল্যাণে কি কি করা উচিৎ তা উপলব্ধি করে নিজেকেও সাধ্যমত সম্পৃক্ত করি। করোনা সংকটের মধ্যে নিজের বাড়িটি চিকিৎসা কাজে দিয়েছি। চিকিৎসক নিযুক্ত করেছি। ওষুধের ব্যবস্থা করতেও কমতি করিনি। ওই কার্যক্রম এখনও অব্যাহত রয়েছে। আগামীতেও চুয়াডাঙ্গার যে কোন সংকটে পাশে থাকার যেমন স্বপ্ন দেখি, তেমনই চুয়াডাঙ্গাকে দেশের মধ্যে অন্যতম উন্নত জেলা হিসেবেও গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। সকলে পাশে থাকলে সকলের দোয়া থাকলে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা অসম্ভব নয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক সফল মেয়র জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, চুয়াডাঙ্গা আমাদের পরিবার। এই চুয়াডাঙ্গার সার্বিক দিক সম্মিলিতভাবে উন্নয়ন করতে হবে। চুয়াডাঙ্গায় প্রতিবছর শীতের সময় তীব্র শীত অনুভুত হয়। এতে সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী দুর্ভোগের মধ্যে পড়ার ঝুঁকিতে ভোগেন। মিনিস্টার মাইওয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক খান রাজ সবসময়ই সাধারণ মানুষের পাশে থেকে দুর্ভোগ লাঘবের সর্বাত্ম চেষ্টা করেন। এবারও তিনি শীতার্তদের মাঝে সহযোগিতার মানসিকতা নিয়ে নিজ এলাকায় এসে শীতার্তদের পাশে যেভাব দাঁড়িয়েছেন তা এলাকাবাসী কৃতজ্ঞচিত্তে মনে রাখবে। দেশের অন্যতম প্রতিষ্ঠান মিনিস্টার মাইওয়ান দেশেই শুধু নয়, বিশ্বে প্রসার ঘটাক এটা আমরা চাই।
চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি সরদার আল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাজাবী হাসান কচি, গড়ব বাংলাদেশ ও এই আমার দেশে’র ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আলী কদর পলাশ, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই এমপির পুত্র ব্যারিস্টার তানভীর হাসান জিসান হাই, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম রায়হান, মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তুহিন অরণ্য প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন সাংবাদিক শেখ সেলিম।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে ডিঙ্গেদহের সোহ্রাওয়ার্দ্দী স্বরণী বিদ্যাপীঠ প্রাঙ্গণে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান, এফবিসিসিআই’র ভাইস চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য এম.এ রাজ্জাক খান রাজের আয়োজনে শংকরচন্দ্র, মাখালডাঙ্গা, কুতুবপুর, মোমিনপুর, পদ্মবিলা ইউনিয়নে ও দুপুর সাড়ে ১২টার সময় কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে কুতুবপুর ও গড়াইটুপি ইউনিয়নে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহাম্মেদ হাসানুজ্জামান মানিক, তিতুদহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান শুকুর আলী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মোমিনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান নিপুল, মোমিনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ-আল মামুন রতন, পদ্মবিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি খাজা উদ্দিন, মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিক ডাক্তার, গড়াইটুপি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদৎ হোসেন প্রমুখ।
অন্যদিকে, চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন এতিমখানা মাদরাসা ও হরিজন সম্প্রদায়ের শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। গতকাল সোমবার বিকেলে তারাদেবী ফাউন্ডেশনের কার্যালয় প্রাঙ্গণে ‘উষ্ণ ভালোবাসা, শীতার্ত মানুষের জন্য’ সেøাগানে হিন্দু সম্প্রদায়ের হরিজন সম্প্রদায়ের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। এছাড়াও সরকারি শিশু পরিবার ও মহিলা মাদরাসায় তারাদেবী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হয়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিঙ্গাপুরস্থ বাংলাদেশ বিজনেস অব চেম্বারের (বিডিচ্যাম) প্রেসিডেন্ট, সাহিদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ সাহিদুজ্জামান টরিক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কাজী হাসান জাকির, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সভাপতি নাজমুল হক স্বপন, ব্যাংকার জমির উদ্দীন, বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ী আকবর ইসলাম, মুকুল শাহ, রাকিবুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা সরকারি শিশু পরিবারের উপ-তত্ত্বাবধায়ক রুম্মানা বিলকিস, তারাদেবী ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা আলমগীর কবির শিপলু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য গাজী ইমদাদুল হক সজল। এসব অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গার গণমাধ্যমকর্মী ও সুধী সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের পক্ষ থেকে আলমডাঙ্গা পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়নে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে পৌরসভা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদকের হাতে ১শ করে কম্বল তুলে দেয়া হয়। কম্বল বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মুছা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান পিন্টু, যুগ্মসম্পাদক সাইফুর রহমান পিন্টু, দপ্তর সম্পাদক মাসুদ সালেহীন উৎপল, ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান চঞ্চল, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশিকুজ্জামান স্বপন, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশরাফুল হক, ছাত্রলীগ নেতা হাসানুজ্জামান, আব্দুল্লাহ আল হোসাইন বাদশা, সজিব হোসেন, টিটন, মিয়াদ, নাহিয়ান ও জিম। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সম্পাদকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জয়নাল আবেদীন, খন্দকার আব্দুল বাতেন, সমীর দে, মোল্লা কামরুজ্জামান শামীম, বীর মুক্তিযোদ্ধা দিদার আলী, বাহার আলী, আব্দুল হান্নান মাস্টার, আব্দুর রাজ্জাক, শহিদুল ইসলাম লাল্টু, সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহের, সাজিবার রহমান, খাইরুল ইসলাম, বিল্লাল গণি, আব্দুল খালেক, তোফাজ্জেল হোসেন, বাদল প্রমুখ।