নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে সীমাহীন ভোগান্তি
স্টাফ রিপোর্টার: রাত পোয়লেই আগামীকাল বুধবার দেশব্যাপী উপযাপিত হবে ১৪৪২ হিজরির পবিত্র ঈদুল আজহা। বৈশ্বিক করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। করোনা সংক্রমণ রোধে এরই মধ্যে ঈদের জামাত নিয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। করোনাভাইরাস মহামারীতে এবারও ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সারা দেশের মসজিদগুলোতে ঈদ জামাত অনুঠিত হবে। এ ব্যাপারে সকল প্রস্তুতিসম্পন্ন করা হয়েছে। ঈদের জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করতে বলা হয়েছে। গতকাল সোমবার পবিত্র হজ পালিত হয়েছে। সৌদি আরবে আজ মঙ্গলবার পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে।
স্বজনদের সঙ্গে আনন্দের দিনটি উদযাপনের আকাঙ্ক্ষা ইট-পাথরের হৃদয়হীন শহরে আটকে থাকা মানুষগুলোর। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে, ঈদের পর টানা লকডাউনের আতঙ্ক। ফলে করোনার বাধাও এখানে তুচ্ছ। সবমিলিয়ে রাজধানী ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। তবে ঝুঁকিপূর্ণ এই যাত্রায় ভোগান্তি সীমাহীন। যানবাহনের চরম সংকট, অসহ্য গরম, আবার হঠাৎ বৃষ্টি এবং তীব্র যানজট। এক্ষেত্রে ঢাকা থেকেই শুরু হয় যানজট।
করোনাভাইরাস মহামারিতে মৃত্যুর হার দিন দিন বাড়ছে। গতকাল সোমবারও সারা দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৩১ জন নারী-পুরুষ মারা গেছেন। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গতবারের মতো এবারও রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দান এবং দেশের সর্ববৃহৎ ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানসহ দেশের কোনো ঈদগাহে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ করে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদের খতিব, ইমাম, ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ঈদুল আজহার জামাত মসজিদে নাকি ঈদগাহে কিংবা খোলা জায়গায় আয়োজন করা হবে তা জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা ও সমন্বয় করে স্থানীয় প্রশাসন নির্ধারণ করার কথা। জানা গেছে, স্থানীয় প্রশাসন করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় জননিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ঈদগাহে বা খোলা জায়গায় ঈদ জামাতের অনুমতি দেয়নি। প্রয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে মসজিদে একাধিক ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ