মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুরের পুলিশ লাল টেপ দিয়ে মোড়ানো ৫টি বোমা সদৃশ বস্তু ও ১২টি দেশি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে। গতকাল রোববার বিকেলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপু সরোয়ারের নেতৃত্বে মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাকপুর গ্রামের আলিফ বিক্সের অফিস কক্ষের ছাদ থেকে এগুলো উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
আলিফ ব্রিক্সের মালিক চঞ্চল হোসেন জানান, ইটভাটার অফিসের ছাদে যাওয়ার কোনো সিঁড়ি নেই। রোববার বিকেলে পানির লাইনে কাজ করার জন্য এলাকার এক মেকানিক মই দিয়ে ছাদে উঠে বোমা ও দেশি অস্ত্রগুলো দেখতে পায়। পরে আমরা মেহেরপুর থানা পুলিশ ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে খবর দেয়া হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) অপু সরকারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পরে ছাদের ওপর থেকে লাল টেপে মোড়ানো বোমা সাদৃশ্য ৫টি বস্তু এবং বড় ধরনের ১২টি রামদা উদ্ধার করেন। এ সময় মেহেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহা দারা, ইন্সপেক্টর রাসুল সামদানীসহ থানা পুলিশের সদস্যরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
চঞ্চল হোসেন তিনি আরও জানান, গ্রামের কিছু কুচক্রীমহল রয়েছে তারা সবসময় মানুষের ক্ষতি করার চেষ্টা করে। এবার আমি ইউপি সদস্য প্রার্থী হওয়ার জন্য মত প্রকাশ করেছি। হয়তো বা এ কারণে আমার বদনাম দেয়ার জন্য আমার ইটভাটায় এ ধরনের অবৈধ জিনিস রেখে গেছে। তদন্ত করলে অবশ্যই বেরিয়ে আসবে কে বা কারা এগুলো রেখে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, ইটভাটা মালিক চঞ্চল গ্রামের একজন জনপ্রিয় মুখ। আগামী ইউপি নির্বাচনে তিনি এই ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তার সাথে এলাকার একটি গ্রুপের দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। বিরোধী গ্রুপের লোকজন চঞ্চল হোসেনকে ফাঁসানোর জন্য বোমা সাদৃশ্য বস্তু ও হেঁসো রেখে যেতে পারে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপু সরোয়ার জানান, কেউ এলাকায় আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য এগুলো এখানে রেখে যেতে পারে। আমরা তদন্ত করে দেখবো এগুলো কোথা থেকে এলো। তিনি আরো জানান ঘটনাস্থল থেকে ৫টি বোমা সাদৃশ বস্তু ও ১২টি হেঁসো উদ্ধার করা হয়। বোমা সাদৃশ বস্তুগুলো বর্তমানে আমরা বালি ও পানি ভর্তি বালতির মধ্যে রেখে দিয়েছি। এদিকে ইটভাটায় বোমা সাদৃশ্য বস্তু ও অস্ত্র রাখার বিষয়টি জানাজানি হলে বারাকপুর রাজাপুর সব আশপাশে গ্রাম থেকে উৎসুক জনতা সেখানে ভিড় জমান।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ