চিকিৎসক লাঞ্ছনাকারী লতিফসহ দুজনের জেল : সনোল্যাবে জরিমানা
মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুর ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে চিকিৎসক লাঞ্ছিতকারী আব্দুল লতিফসহ দুজনকে কারাদ- এবং আরও একজনকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল রোববার দুপুরে হাসপাতাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে মেডিকেল প্রাক্টিস ও বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরি নিয়ন্ত্রণ আইনে তাদের এ দ-াদেশ প্রদান করা হয়। এ সময় রাবেয়া মেডিকেল সার্ভিসের মালিক আব্দুল লতিফ ও তার ব্যবসায়িক অংশীদার এ্যাপোলো ক্লিনিকের মালিক মুকুল বাশারকে ১০ দিনের কারাদ- এবং সনোল্যাবের মালিক জেপি আগওয়ালাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবু সাঈদ।
তিনি জানান, ১৯৮২ সালের মেডিকেল প্রাক্টিস ও বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরি নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশের ১৩ এর ২ ধারায় দোষী সাব্যস্থ করে রাবেয়া মেডিকেল সার্ভিসেস এর মালিক আব্দুল লতিফ ও তার পার্টনার মুকুল বাশারকে ১০ দিন করে বিনাশ্রম কারাদ- দেয়া হয়েছে এবং একই আইনের ৫২ ধারায় সনো ল্যাবের ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান হিসেবে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
উল্লেখ্য, মেহেরপুর রাবেয়া ডায়াগণস্টিক সেন্টারের মালিকের কাছে লাঞ্ছিত হয়েছেন মেহেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে সদ্য যোগদান করা মেডিকেল অফিসার ডা. আবু হাসান মোহাম্মদ ওয়াহেদ রানা। কর্তব্যরত অবস্থায় হাসপাতালের ইমার্জেন্সী চিকিৎসকের রুমে ঢুকে ডাক্তারকে লাঞ্ছিত করে রাবেয়া মেডিকেল সার্ভিসেস এর মালিক আব্দুল লতিফ। লাঞ্ছিত করার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, রাবেয়া মেডিকেল সার্ভিসের মালিক আব্দুল লতিফ তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজসহ হুমকি প্রদান করছেন ডা. আবু হাসান মোহাম্মদ ওয়াহেদকে। এরপর থেকে তিনি ভীত সন্ত্রস্ত্র হয়ে পড়েছেন। ভিডিও প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে মেহেরপুরের বিভিন্ন মহলে। পরে ডা. আবু হাসান মোহাম্মদ ওয়াহেদ মেহেরপুর সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগন দায়ের করেন।