আলমডাঙ্গার মাদারহুদার শিশু মরিয়মের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে দাফন
স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গার মাদারহুদা গ্রামের শিশু মরিয়ম খাতুনের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালমর্গে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। বিকেলে নিজ গ্রামে নিয়ে দাফন করা হয়। মরিয়ম খাতুন ছিল উপজেলার মাদারহুদা গ্রামের খাইরুল ইসলামের মেয়ে এবং প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। তার কানের দুল ছিনিয়ে নিয়ে তাকে হত্যার পর পানিতে ফেলে দেয়া হয়েছে বলে শিশুর পিতার অভিযোগ। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছে। কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, শিশু মরিয়ম খাতুন (৭) বৃহস্পতিবার সকালে নাস্তা করে প্রতিবেশী শিশুদের সঙ্গে খেলতে বের হয়। এরপর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। দিনভর বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন পরিবারের সদস্যরা। সন্ধ্যার পর গ্রামের আশপাশ পুকুরে নেমে খোঁজ করতে থাকে গ্রামের লোকজন। সন্ধ্যায় প্রতিবেশী আলাউদ্দিনের পুকুর থেকে শিশু মরিয়মের লাশ উদ্ধার করা হয়। শিশু মরিয়মের পিতা খাইরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার মেয়ের দুই কানে স্বর্ণের দুল ছিল। সে যদি পুকুরে ডুবে যেত তাহলে তার দুই কানের দুল থাকতো। নিশ্চয় তার কানের দুল ছিনিয়ে নিয়ে কেউ তাকে হত্যার পর পানিতে ফেলে দিয়েছে।’ এদিকে ঘটনা শোনার পর বৃহস্পতিবার রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিছুজ্জামান ও থানার ওসি সাইফুল ইসলাম। গ্রামবাসী জানায়, ‘শিশু মরিয়মের হত্যারহস্য উন্মোচন করতে পুলিশ ইতিমধ্যে গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে রানা ও মেয়ে রিয়াকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শুক্রবার দুপুরে মরিয়মের লাশ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। শিগগিরই হয়তো হত্যা রহস্য বেরিয়ে আসবে।’