মুজিবনগরে ভাংগারির দোকানে ভয়াবহ আগুন : সেনাবাহিনীর পদক্ষেপে রক্ষা পেলো গোটা এলাকা

স্টাফ রিপোর্টার: মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার পুরন্দরপুর গ্রামের আলমগীর হোসেনের ভাংগারির দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গেল মধ্যরাতে আকস্মিক ভয়াবহ অগ্নিকা-ে দোকানের সব মালামাল পুড়ে যায়। এতে আলমগীর হোসেনের ৩০ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বৈদ্যুতিক শক সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস। এদিকে সেনাবাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপে বড় ধরনের অগ্নিকা-ের ঘটনা রক্ষা পেয়েছে গোটা এলাকা। তবে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এর অবস্থান হলেও দেরিতে আসায় খুব প্রকাশ করেছেন এলাকার লোকজন।
জানা গেছে, পুরন্দরপুর গ্রামে এক বিঘা জমির ওপর আলমগীর হোসেনের ভাংগারির দোকান ছিল। গেল মধ্যরাতে আকস্মিক তার দোকানে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তেই তা পুরো দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও মুজিবনগর থানা পুলিশের একাধিক দল আগুন নেভানোর কাজে সহায়তা করেন। তবে মুহূর্তেই দোকানের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগুনের সূত্রপাত হলে মুজিবনগর উপজেলা ফায়ার সার্ভিস এবং মেহেরপুর সেনাবাহিনী ক্যাম্পে খবর দেয় স্থানীয়রা। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা। সেনাবাহিনীর মেজর ফারহান এবং ক্যাপ্টেন রিফাতসহ সেনাসদস্যরা আপ্রাণ চেষ্টা করেন আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য। স্থানীয়ভাবে পানি সংগ্রহ করে তারা আগুন নেভান এবং গুরুত্বপূর্ণ মলামাল সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। পার্শ্ববর্তী একটি দোকান থেকে বেশ কিছু গ্যাস সিলিন্ডার সরিয়ে দেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। যা রক্ষা করা না গেলে বড় ধরনের অগ্নিকা-ের ঘটনায় গোটা এলাকা ছারখার হয়ে যেত বলে জানায় এলাকাবাসী। আগুন নিয়ন্ত্রণের ঘটনায় আপ্রাণ চেষ্টা করে প্রশংসিত হচ্ছেন সেরা সদস্যরা।
তবে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মুজিবনগর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে ফায়ার ফাইটাররা এসে পৌঁছেন সেনাবাহিনীর সদস্যদের অনেক পরে। তারা আগুন নেভাতে সক্ষম হলেও দেরিতে পৌঁছুনোর কারণে পুড়ে যাই ভাংগারির দোকানের সবকিছু। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তবে সেরা সদস্যরা বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করে এলাকাবাসীর ক্ষোভ প্রশমিত করেন।
মুজিবনগর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, শক সার্কিট থেকে আগুন ধরতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করেছে ফায়ার সার্ভিস। তবে এর পেছনে অন্য কোন রহস্য আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More