মানসম্মত মাংস ব্যবস্থার জন্য সর্বাধুনিক কসাইখানা নির্মাণ করা হবে
চুয়াডাঙ্গায় ব্ল্যাক বেঙ্গল গোট উন্নয়ন মেলায় জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার জেলা ব্র্যান্ডিং ব্ল্যাক বেঙ্গল গোট দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১০টায় সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে এ উন্নয়ন মেলা অনুষ্ঠিত হয়। উন্নয়ন মেলা উপলক্ষে শোভাযাত্রা, ব্ল্যাক বেঙ্গল গোটের প্রদর্শনী ও শ্রেষ্ঠ ব্ল্যাক বেঙ্গল গোট পালনকারী বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। উন্নয়ন মেলা চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেনারি হাসপাতাল বাস্তবায়ন করে। সহযোগিতায় করে ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগল উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. উজ্জ্বল হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উন্নয়ন মেলায় জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সভায় জেলা মৎস্য কর্মকর্তা দীপক কুমার পাল, অ্যাড. রফিকুল ইসলাম ও শাহ আলম সনি বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। চুয়াডাঙ্গা সরকারি ছাগল উন্নয়ন খামারের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আরমান আলীর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন খামারি মাহবুবুল আলম ও তানজিলা আক্তার শিউলী।
ব্ল্যাক বেঙ্গল গোট উন্নয়ন মেলায় শতাধিক খামারি অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে সরিষাডাঙ্গার সিরাজুল ইসলাম ও তালতলার নাসিমা খাতুন যৌথভাবে প্রথম পুরস্কার লাভ করেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা বলেন, ব্ল্যাক বেঙ্গল গোট চুয়াডাঙ্গা জেলার ব্র্যান্ডিং। এখানকার মানুষ পারিবারিকভাবে ছাগল পালন করছেন। আবহাওয়া ও পরিবেশ ছাগল পালনের উপযোগী। শীতকালে বৃষ্টি হলে ছাগলের অসুবিধা হয়। চুয়াডাঙ্গায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয় না বললেই চলে। প্রচুর ঘাস হয়। জেলায় ৫ লক্ষাধিক ছাগল আছে। বিভিন্ন জাতের প্রজণন করে ব্ল্যাক বেঙ্গল গোটের জাতকে নষ্ট করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ রোল মডেল হয়েছে। প্রত্যেকটি পরিবারকে খামার গড়ে তুলতে হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি বাস্তবায়ন করতে হবে। মাংস ও চামড়া বিশ্ব বিখ্যাত ব্ল্যাক বেঙ্গল গোটের। ১টি ছাগল থেকে সর্বোচ্চ ১২টি বাচ্চা হয়, সেখান থেকে পাঠা সংরক্ষণ করবেন। গরীবের বন্ধু ছাগল। খাদ্যের চাহিদা পূরণ, এসডিজি লক্ষ্য ও প্রাণিজ প্রোটিনের উৎপাদন বাড়াতে হবে। নারীর ক্ষমতায়ন বাড়াতে হবে। আপনারা এ জাতির গর্ব , দেশের গর্ব। ছাগল বিক্রি করে অনেকে জমি ও বাড়ি করেছেন। পাঠা ও মাচা উপজেলা পর্যায় থেকে দেয়া হবে। প্রতি ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে পাঠা প্রদান প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। অচিরেই কৃত্রিম প্রজণন কেন্দ্র করা হবে। ছাগল উন্নয়ন খামার থেকে এক হাজার ২০০ টাকা দিয়ে পাঠা কিনতে পারবেন। বিনামূল্যে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। ঘর ও মাচা তৈরী করে দিয়েছি। মানসম্মত মাংস ব্যবস্থার জন্য কসাইখানা নির্মাণের একটি প্রকল্প ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সর্বাধুনিক কসাইখানা হবে। কসাইদের প্রশিক্ষণ প্রতিবছর দেয়া হয়। আপনারা সততা ও নৈতিকতার সাথে কাজ করবেন।