মহেশপুরে স্ত্রীকে কুপিয়ে পালানোর সময় গ্রামবাসীর হাতে ঘাতক আটক
মহেশপুর প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের মহেশপুরে মাদক সেবনের প্রতিবাদ করায় জুলেখা খাতুন ওরফে জুলি নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী বাবলু হোসেনের বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলা নেপা ইউনিয়নের সেজিয়া গ্রামের কালুনুতাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জুলেখার স্বামী বাবলু হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। ২৬ বছর বয়সী জুলেখা মহেশপুরের সামান্তা গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে। বাবলু হোসেন (৩০) সেজিয়া গ্রামের মৃত নিজাম উদ্দিনের ছেলে। তাদের ৩টি সন্তান আছে।
স্থানীয়রা জানান, বাবলু হোসেন মাদক সেবন করে এসে প্রায়ই স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন। দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন করায় ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে তিনি। এ নিয়ে মাঝে মধ্যে তাদের ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো। পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ গ্রামবাসী তার স্ত্রী জুলি খাতুনকে মাদকসেবী পাগলের বউ বলে ডাকে। শুক্রবার সন্ধ্যার ৭টার দিকে বাড়ির একটি চেয়ারে চুপ করে বসেছিলো বাবলু হোসেন। এ সময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে ঘরে থাকা গাছকাটা কুড়–ল দিয়ে স্ত্রীর মাথায় ও কোমরে স্বজোরে কোপ দেয়। তাৎক্ষণিকভাবে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোহাম্মদ রাকিবুর হোসেন তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ রাকিবুর হোসেন বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। তার মাথা ও পিঠে ধারালো অস্ত্রের কোপের জখম রয়েছে। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। এর আগে স্ত্রীকে কুপিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চৌকিদারসহ গ্রামবাসী ঘাতক বাবলু হোসেনকে আটক করে রাখে। এরপর পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহেশপুর থানার ওসি সেলিম মিয়া।
মহেশপুর থানার ওসি সেলিম মিয়া জানান, শুক্রবার বিকেলে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লাগে। এক পর্যায়ে স্বামী কুড়াল দিয়ে স্ত্রীর মাথায় কোপ দেয়। এতে স্ত্রী মারাত্মক জখম হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন জুলিকে। ওসি আরও বলেন, স্থানীয়দের সহযোগিতায় স্বামী বাবলু হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।