স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় মাঘের বিদায় বেলায় ঘন কুয়াশায় ঘিরে ধরেছে। গতকাল রোববার আধাবেলা কুয়াশায় ঢেকে ছিলো গোটা চুয়াডাঙ্গা। সকাল থেকে ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে যানবাহন চলেছে ধীর গতিতে। সব যানবাহনই হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করেছে। কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা ছিলো মাত্র ২০০ মিটার।
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার সৃজনী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আতিকুল হক জানান, খুবই কুয়াশা। কিছুই দেখা যাচ্ছিল না, তেমনি ঠা-াও ছিল। এ কারণে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি অন্যান্য দিনের তুলনায় কম ছিল। চুয়াডাঙ্গা হাজরাহাটি গ্রামের কৃষক বজলুর রহমান বলেন, মাঠ-ঘাট সব কুয়াশায় ছাওয়া ছিলো। পথচারীরা বলেন মোটরসাইকেলসহ সব ধরনের যানবাহনকে দিনভর হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা গেছে। তবে দুপুরের পর কুয়াশা কেটে যায়। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামাদুল হক জানান, ঘন কুয়াশার কারণে সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গার দৃষ্টিসীমা ছিলো ২০০ মিটার।
এদিকে, মেঘলা আকাশ, ঘন কুয়াশা এবং হিমেল বাতাসে শীতের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। নিম্নআয়ের মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। কৃষিকাজের সাথে জড়িত যারা তাদের দুঃচিন্তায় রয়েছে ধানের বীজতলা নিয়ে। কুয়াশার কারণে বীজতলা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও আম বাগান মালিকরা আমের মুকুল নিয়ে দুঃচিন্তায় রয়েছে। কুয়াশার কারণে আমের মুকুল পুড়ে নষ্ট হতে পারে। হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। তাপমাত্রা শনিবারের তুলনায় রোববার আরও অনেকটা বেড়েছে। তবে আগামী কয়েকদিন দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। এতে শীত বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ১৩ ডিগ্রি থাকলেও গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো শ্রীমঙ্গলে ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ২১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো যশোর ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বিহার এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে তিনি জানান, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এ সময়ে সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী তিনদিনে রাতের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। পূর্বাভাসে আরো বলা হয়, লঘুচাপের বাড়তি অংশ বিহার এবং এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। মরসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।