বৃদ্ধকে ঘুশি মেরে হত্যা মামলার প্রধান আসামি ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম মোল্লা গ্রেফতার
স্টাফ রিপোর্টারঃ জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে বৃদ্ধ ইস্রাফির মোল্লা হত্যা মামলার প্রধান আসামি দামুড়হুদা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহিদল ইসলাম মোল্লাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। দামুড়হুদা মডেল থানার সামনে কিল ঘুশি ধাক্কা ধাক্কিতে রোজদার ইসরাফিল মোল্লা (৮০) নিহত হন। তিনি দামুড়হুদা উপজেলার পীরপুরকুল্লা গ্রামের মৃত জোনাব আলীর বড় ছেলে। মৃত্যু ইসরাফিল মোল্লা ৫ ছেলে ও ৩ মেয়ের পিতা ছিলেন।
শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পর দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ভাইস চেয়ারম্যান ও দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম দামুড়হুদা উপজেলা সদরের পুরাতন বাজার পাড়ার আশর আলীর ছেলে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে দামুড়হুদা মডেল থানায় জমিজমা সংক্রান্ত একটি বিষয়ে আপোষ মিমাংসায় বসে ইসরাফিল মোল্লা গ্রুপ এবং অপর পক্ষের নজু মোল্লা গ্রুপ। আপোষ মিমাংসার এক পর্যায়ে ইসরাফিল মোল্লা গ্রুপের লোকজন থানা থেকে বের হয়ে দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলামকে গালমন্দ করতে থাকে। এ সময় ভাইস চেয়ারম্যান উত্তেজিত হয়ে ইসরাফিল মোল্লাকে ধাক্কা মারে। এতে ইসরাফিল মোল্লা গুরুতর আহত হন। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
হত্যা মামলার বাদী নিহত ইসরাফিল মোল্লার বড় ছেলে আতারুল মোল্লার বড় ছেলে আলামিন মোল্লা জানান, শুক্রবার দুপুরে আমাদের ভিটা জমি সংক্রান্ত বিষয়ে থানায় আপোষ মিমাংসায় বসি। আপোষ মিমাংসা শেষে আমরা বাহিরে চলে আসার সময়ে আমার চাচাতো দাদা নস্কর মোল্লাকে পিছন থেকে ডাক চিৎকার দিয়ে তেড়ে মারতে আসে ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম। এসময় নস্কর মোল্লা কে একটা ঘুষি মারে শহিদুল ইসলাম।
নিহত ইসরাফিল মোল্লার ভাই নস্কর মোল্লা জানান, আমরা জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে থানায় আপোষ মিমাংসায় বসি। আপোষ মিমাংসা শেষে আমরা থানা থেকে বাহির হয়ে আসার সময় ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম আমার মুখে একটা ঘুষি মারে। আমরা থানা থেকে বাহিরে থানার সামনে আসার পর শহিদুল ইসলাম আবারও আমার বড় ভাই ইসরাফিল মোল্লাকে ঘুষি মেরে ধাক্কা দেয়। এসময় আমার বড় ভাই গুরুতর আহত হয়। আমরা তাকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা.তানভির মোহাম্মদ আসিফ তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ মীমাংসার জন্য থানায় আসেন ইসরাফিল মোল্লা গং ও নজু মোল্লা গং । বিরোধ মিমাংশা শেষে উভয় পক্ষই বাহিরে চলে যায়। এসময় থানার বাহিরে দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বৃদ্ধকে ঘুষি মারেন এবং তাকে ধাক্কা দেন। এতে তার মৃত্যু হয়। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর পরই থানা পুলিশ ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এবিষয়ে নিহতের নাতী আলামিন বাদি হয়ে ৬জন কে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার প্রধান আসামী দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের শহিদুল ইসলাম কে গ্রেফতার করেছে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ। শনিবার তাকে আদালতে সোর্পদ করা হতে পারে।