বিনম্র শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ
চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরসহ সারাদেশে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিসব উদযাপন
মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষের কণ্ঠে ছিল উন্নত-সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে গভীর শোক-শ্রদ্ধা, ভালোবাসা আর ফুলেল শুভেচ্ছা জানানোর মধ্যদিয়ে জাতি স্মরণ করলো শহিদ বুদ্ধিজীবীদের। গতকাল বুধবার সকাল থেকেই রাজধানীর রায়েরবাজার বধ্যভূমিসহ চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহের বিভিন্ন স্থানে শহিদ বেদিতে ফুল দিয়ে বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করছে সর্বস্তরের মানুষ। একইসঙ্গে এবারও জাতির প্রত্যাশা, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের যারা হত্যা করেছে তাদের মধ্যে যারা বিচার প্রক্রিয়ার বাইরে আছে অথবা পলাতক আছে তাদের বিচারের রায় কার্যকর করা। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রান্তে নিশ্চিত পরাজয়ের মুখে পাকিস্তান বাহিনী ও তাদের সহযোগী রাজাকার, আল বদর, আল শামস সদস্যরা শিক্ষক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সংস্কৃতিকর্মীসহ বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের সকালে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ হাজির হন বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে। সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠনের কর্মী এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে এই অগ্রযাত্রাকে আরও অর্থবহ করতে দুর্নীতি, অনিয়ম প্রতিরোধ করে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার জন্য নীতি নির্ধারকদের তাগিদ দেন। ছিলো ইতিহাস বিকৃতকারীদের রুখে দেয়ার শপথ। সাম্প্রদায়িক শক্তির ধারক-বাহকদের প্রত্যাখ্যান করে নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগিয়ে তুলতে সঠিক ইতিহাসের চর্চার দাবিও ছিল শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষের। শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি সব শ্রেণী পেশার মানুষের পুষ্পমালা অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানোর পর তাদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে এ দিন সকালে কালো পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, শহিদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনাসভা, মোমবাতি প্রজ্বলন, শ্রদ্ধা নিবেদন, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, সাধারণ জ্ঞান ও হাতের লেখা প্রতিযোগিতা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়। পাকিস্তানি ঘাতকেরা চেয়েছিল বাঙালিকে মেধা-মননশূন্য করতে। সেজন্য তারা বেছে বেছে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, দার্শনিকসহ বিশিষ্টজনদের হত্যা করে। তাদের শরীরে নিষ্ঠুর নির্যাতনের চিহ্নসহ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের লাশ পাওয়া যায় মিরপুর ও রায়েরবাজার এলাকায়। পরে তা বধ্যভূমি হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে। প্রতি বছর ১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করা হয়। দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য টিভি চ্যানেল বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করছে। শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে সকালে মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ বেদীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহিদদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় বেজে ওঠে বিউগলের করুণ সুর। শহিদদের সম্মানে সশস্ত্রবাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে নিয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ বেদীতে আরেকবার পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
চুয়াডাঙ্গায় নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবি দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় শহীদ হাসান চত্বরের শহিদ স্মৃতি ফলকে পুস্পস্তবক অর্পণ, মোমবাতি প্রজ্বলন, শহিদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা অনষ্ঠিত হয়। প্রথমে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোমবাতি প্রজ্বলনে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাজিয়া আফরীন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভূইয়া প্রমুখ।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোমবাতি প্রজ্বলনের সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মঞ্জু, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল মালেক, চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার, জেলা যুবলীগের যুগ্মআহ্বায়ক জিল্লুর রহমান, সদর উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর মাফিজুর রহমান মাফি, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ, পৌর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সভাপতি আব্দুল হালিম ভুলন, সাধারণ সম্পাদক শেখ সামি তাপু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য গাজী ইমদাদুল হক সজল প্রমুখ।
অপরদিকে, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্মসম্পাদক সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটনের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোমবাতি প্রজ্বলনের সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সহসভাপতি নাসির উদ্দীন আহমেদ, সাবেক যুগ্মসম্পাদক অ্যাড. শামশুজ্জোহা, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, মাসুদ উজ জামান লিটু বিশ^াস, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দীন হেলা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের, জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরেফীন আলম রনজু, মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুন্নাহার কাকলী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহাজাদী মিলি, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান নাবিলা রুখসানা ছন্দা প্রমুখ।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজুর নেতৃত্বে জেলা পরিষদ কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। পৌরসভার পক্ষে পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকনের নেতৃত্বে পৌর পরিষদ। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষে সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিক, সাবেক কমান্ডার আবু হোসেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক শরীয়ত উল¬াহর নেতৃত্বে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে শ্রদ্ধা জানান।
সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহীদ হাসান চত্বরে মুক্তমঞ্চে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। সম্মানিত অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু ও পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিক, সাবেক কমান্ডার আবু হোসেন প্রমুখ।
বেগমপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গার হিজলগাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুর ১টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে উপস্থিত থেকে আলোচনা রাখেন সহকারী প্রধান শিক্ষক আলী হোসেন, সহকারী শিক্ষক সফিকুল ইসলাম, ওয়াজেদ আলী, সাজেদুর রহমান, মাসুদ রানা, আবুল হোসেন, আব্দুল কুদ্দুস, শেফালি খাতুন, শাহানাজ পারভীন প্রমুখ। দোয়ার অনুষ্ঠন পরিচালনা করেন ধর্মীয় শিক্ষক আজিজুল হক।
আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, আলমডাঙ্গায় যথাযথ মর্যাদায় নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবি দিবস পালন করেছে। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল ৮টায় আলমডাঙ্গা শহরের লালব্রিজ সংলগ্ন বধ্যভূমির বেদীতে শহীদ স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে উপজেলা প্রশাসন, আওয়ামী লীগ ও পৌর পরিষদসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। পরে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধসহ সকল শহিদদের জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেন হাফেজ মাওলানা ওমর আলী। এরপর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনাসভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন আলমডাঙ্গা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. খন্দকার সালমুন আহম্মেদ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি রেজওয়ানা নাহিদ, আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা অগ্নিসেনা মইনদ্দিন পারভেজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ শেখ নুর মোহাম্মদ জকু। কলেজিয়েট স্কুলের উপাধ্যক্ষ শামিম রেজার উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামসুজ্জোহা, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফজলুল হক, বিআরডিবি কর্মকর্তা শায়লা সারমিন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাকসুরা জান্নাত, মৎস্য কর্মকর্তা ফাতেমা কামরুন্নাহার আখি, ইউআরসি ইন্সটেক্টর জামাল হোসেন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা দেওয়ান জাহাঙ্গীর আলম, আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা আজিজুল হাকীম, পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খ.হামিদুল ইসলাম প্রমুখ। সন্ধ্যায় আলমডাঙ্গা বধ্যভূমিতে বুদ্ধিজীবী দিবসে শহিদদের স্মরণে প্রদীপ প্রজ্জলন করা হয়।
এদিকে, আলমডাঙ্গায় আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করেছে। দিনটি উপলক্ষে সকালে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন নেতাকর্মীরা। বিকেলে আলমডাঙ্গা বধ্যভূমির বেদীতে শহীদ স্মরণে উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এরপর বধ্যভূমির বেদিতে মোমবাতি প্রজ্জলন শেষে বধ্যভূমির সেডে শহিদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা ওমর আলী। দোয়া মাহফিল ও আলোচনাসভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মুছার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টারের উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান, জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন, সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, শাহ আলম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সম্পাদক মতিয়ার রহমান ফারুক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক সাইফুর রহমান পিন্টু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অ্যাড. সালমুন আহমেদ ডন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক মাসুদ রানা তুহিন, ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ পিন্টু, আশিকুজ্জামান ওল্টু, কাউন্সিলর খন্দকার মজিবুল হক, জহুরুল ইসলাম স্বপন, বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন প্রমুখ।
দর্শনা অফিস জানিয়েছে, দর্শনায় শ্রদ্ধার সাথে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে দর্শনা সরকারি কলেজের আয়োজনে কলেজ চত্বরে শহিদ শিক্ষক স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দর্শনা সরকারি কলেজের (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ ড. মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাফুজুর রহমান মনজু, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, সাবেক অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন, পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউপি চেয়ারম্যান এসএএম জাকারিয়া আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক জমশেদুর রহমান। দর্শনা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জেল হোসেন তপুর সঞ্চালনায় আরো আলোচনা করেন, অধ্যাপক আশরাফুল আলম, গণ উন্নয়ন গ্রন্থাগারের পরিচালক আবু সুফিয়ান, কলেজের প্রথম শিক্ষার্থী হুমায়ন কবীর জনি, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিদ পারভেজ। সাবেক ছাত্রনেতা সানুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলম, আ.লীগ নেতা সফিকুল আলম, এমএ ফয়সাল, দর্শনা পৌর যুবলীগের সভাপতি আশরাফুল আলম বাবু, দর্শনা বালিকা বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক হুমায়ন কবীর, শিক্ষক হারুন অর রশিদ, কাউন্সিলর সাবির হোসেন মিকা, খালেকুজ্জামান, বিল্লাল হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা রিপন, মিল্লাত, লোমান, রাসেল, প্রভাত, রায়হান, অপু সরকার প্রমুখ। সবশেষে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিলের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। সন্ধ্যায় দর্শনা রেল বাজার ফুলতলা থেকে মোমবাতি প্রজ্জলন র্যালি রেব হয়। কেরুজ শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে পৌঁছে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ নেন কমরেড অ্যাড. শহিদুল ইসলাম, দর্শনা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব গোলাম ফারুক আরিফ, দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আ. হান্নান ছোট, সহসভাপতি সোলায়মান কবির, আব্দুস সালাম ভুট্টো, দর্শনা পৌর প্যানেল মেয়র রবিউল হক সুমন প্রমুখ।
দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুড়হুদায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, আলোচনাসভা দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধুর মুরালের পদদেশে এই আলোচনা সভা শেষে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা বেগমের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস, দামুড়হুদা আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ কামাল উদ্দীন, দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ, দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফুল কবির, দামুড়হুদা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হোসনে জাহান ববি। দামুড়হুদা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাকি সালামের সঞ্চালনায় এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নতিপোতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোমিনুল হক মোমিন, উপজেলা নির্বাহী অফিসের সিএ ফয়জুল করিম, উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল মালেক, নির্বাহী অফিসের নাজির ওমর ফারুক, আ.লীগ নেতা আবুল হাশেম প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দামুড়হুদা বাসট্যান্ড জামে মসজিদের ইমাম এখলাছুর রহমান।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, আলোচনাসভা ও শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্যদিয়ে মেহেরপুরে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মো. রাফিউল আলম, মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) লিউজা-উল জান্নাহ, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক অ্যাডভোকেট এসএম ইব্রাহীম শাহীন, মেহেরপুর জেলা বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সভাপতি প্রফেসর হাসানুজ্জামান মালেক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী প্রমুখ।
এদিকে এর আগে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন চত্বরের গণকবরে শহীদ বৃদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পমালে অর্পণ করা হয়। মেহেরপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এ সময় সেখানে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়। পুলিশ সুপার মো. রাফিউল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লিংকন বিশ্বাস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) লিউজা-উল জান্নাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিরুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক অ্যাডভোকেট এসএম ইব্রাহীম শাহীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে এদিন সকালে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন চত্বরে অবস্থিত গণকবরে শহীদ বৃদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পমালে অর্পণ করা হয়। মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম উপজেলা পরিষদের অন্যান্য কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন চত্বরের গণকবরে শহীদ বৃদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পমালে অর্পণ করেন। এ সময় সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাসেম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
এদিকে বেলা সাড়ে দশটার দিকে মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র কার্যালয় থেকে সাবেক এমপি জেলা বিএনপি’র সভাপতি মাসুদ অরুনের নেতৃত্বে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন উপলক্ষ্যে একটি শোক র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি মেহেরপুর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা পরিষদের শহিদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এ সময় সেখানে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ১ মিনিট নিরবতা পালন শেষে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর পৌর বিএনপি’র সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ^াস, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদুল ইসলামসহ মেহেরপুর জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা।
মুজিবনগর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মুজিবনগরে নানা আয়োজনে মধ্যদিয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল বুধবার সকাল ৮টায় মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস। পরে মুজিবনগর থানার পক্ষে (ওসি) মো. মেহেদী রাসেল, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের পক্ষে মুক্তিযোদ্ধা আহসান আলী, উপজেলা আনসার ভিডিপি পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়। এ সময় সেখানে জাতির শ্রেষ্ঠ শহিদ সন্তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। পরে মুজিবনগর উপজেলা অডিটোরিয়াম হলরুমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর থানার (ওসি) মো. মেহেদী রাসেল, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা খাতুন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আলাউদ্দীন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস.এম মামুনুর রশিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান আলী প্রমুখ। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ।