বাতাসে আগুনে হলকা : অতিপ্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হতে সর্তকতা

চুয়াডাঙ্গায় গত ৯ বছরের রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড : আরও বাড়ার পূর্বাভাস

স্টাফ রিপোর্টার: বাতাসে আগুনে হলকা। নাকেমুখে বাতাস লাগলেই মনে হয় যেন আগুনের ছিটা আঘাত হানছে। বাতাস নেই বলেই চলে। যেটুকু আছে তাও সহ্য করার মতো না। গত ২ এপ্রিলের পর থেকে প্রতিদিনই দেশে তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড হচ্ছে। গতকাল শনিবারও উচ্চ তাপমাত্রা নতুন শীর্ষ ছুঁয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। এখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকাতেও কম না। সেখানে গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ১০ দিন যাবৎ অনেক গরম থাকলেও তখন বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কম থাকায় ঘাম হতো না। গতকাল থেকে বাতাসে বেড়েছে আর্দ্রতার পরিমাণ। আকাশে কিছুটা মেঘও ছিলো। ফলে শরীরে দেখা যাচ্ছে ঘাম। ঘামের কারণে মানুষ আরো বেশি দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। কানাডার সাসকাচোয়ান ইউনিভার্সিটির আবহাওয়া গবেষক মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, আগামী এক সপ্তাহের আগে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। কারণ দক্ষিণ দিক থেকে অর্থাৎ বঙ্গোপসাগর থেকে আর্দ্রতাপূর্ণ বাতাস আসা বন্ধ রয়েছে। তবে ২২ এপ্রিলের দিকে সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলোতে সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। তবে সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের ওপারে ভারতের মেঘালয়ের পাহাড়ে কিছুটা বেশি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। সেখানে মেঘ সৃষ্টি হবে স্থানীয়ভাবে। তার কিছুটা আঁচ সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলোতে লাগতে পারে। এ কারণে দেশের সার্বিক তাপমাত্রার কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও জেলা তথ্য অফিসের পক্ষ থেকে অতিপ্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের না হওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। শেয় সাথে পর্যাপ্ত পানি পান করতে বলা হচ্ছে। লেবুর শরবত ও সেলাইন খাওয়ারও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া হিট স্ট্রোক ও ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করতে সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান।

এদিকে ধান, সবজি ও আম রক্ষায় বাড়তি সেচের পরামর্শ দিয়েছে কৃষি অধিদফতর। চুয়াডাঙ্গায় টানা ১৩দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। গরম যেন কমছেই না সীমান্তবর্তী এ জেলায়। তীব্র গরমে ও দাবদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ ও স্থবির হয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই ওপরের দিকে উঠছে তাপমাত্রার পারদ, প্রতিদিনই হচ্ছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড। বেড়ে চলছে রোগবালাই। ক্ষতির ঝুঁকিতে ধানসহ মাঠের অন্যান্য ফসল। কাজ কম থাকায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। অতিপ্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের না হওয়ার জন্য সতর্কতা করেছেন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চালানো হচ্ছে প্রচারণা।শনিবার বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ ছিল ১৬ শতাংশ। গত শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। গত ২ রবিবার এপ্রিল থেকে টানা ১৩ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আবহাওয়ার অফিসসূত্রে বলছে সহজে দেখা মিলছে না বৃষ্টির। এবারের গরমে ভিন্নমাত্রা রয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা স্বাভাবিকের চেয়ে কম। তাই তাপাদাহের মধ্যে ঠোট শুকিয়ে ও ফেটে যাচ্ছে। বাতাসের জ্বলীয়বাস্প কম থাকায় মূলত এমন হচ্ছে। সকালে সূর্য ওঠার সাথে-সাথে তীব্র রোদ। বেলা বাড়ার সাথে-সাথে এ রোদ যেন আগুনের ফুলকি হয়ে ঝরছে। বিশেষ করে দুপুরের পর আগুনঝরা রোদেও তেজে বাইরে বের হওয়া মুশকিল হয়ে পড়ছে। গত ১৩ দিন সর্বোচ্চ রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। গত শুক্রবার ছিলো ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

স্থানীয় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, শনিবার চুয়াডাঙ্গা জেলায় যে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, তা গত ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এছাড়া চলতি বছরে ২ এপ্রিল থেকে আজ ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ১৪ দিন ধরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ডও চুয়াডাঙ্গায়। ২ এপ্রিল জেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল, ৩৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর থেকে ৩ এপ্রিল ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৪ এপ্রিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৫ এপ্রিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৬ এপ্রিল ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৭ এপ্রিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৮ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৯ এপ্রিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১০ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১১ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১২ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৩ এপ্রিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৪ এপ্রিল ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজ ১৫ এপ্রিল ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আগামী বুধবার পর্যন্ত তাপমাত্রা প্রতিদিন এভাবে বাড়তে থাকবে জানিয়ে রাকিবুল হাসান আরও বলেন, চলতি মরসুমে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে যাবে। জেলার অন্তত ৩০ জন বাসিন্দার সঙ্গে কথা হয়েছে এই প্রতিবেদকের। তারা বলেন, তীব্র দাবদাহের কারণে জেলার জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না। মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর হাঁসফাঁস অবস্থা।

সাবেক শিক্ষক ও চুয়াডাঙ্গা শহরের মাঝেরপাড়ার বাসিন্দা শাহনেওয়াজ ফারুক বলেন, ‘১০ দিন ধইরে মনে হচ্ছে, সূর্য মাথার ওপর নেমে এসেছে। মুহূর্তেই ঘেমে একাকার। শুধু নামাজের সময় ছাতা মাথায় দিয়ে বাড়ি থেকে মসজিদ আর মসজিদ থেকে বাড়িতে যাই। খুব জরুরি না হলে বাইরে বের হচ্ছি না।’ ২০০২ সালে চুয়াডাঙ্গায় প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর থেকে সর্বশেষ রেকর্ড পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গত ৫২ বছরের মধ্যে জেলার সর্বোচ্চ। শনিবার জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গত ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হলেও পরের বছর ২০১৫ সালে তা বেশ নেমে যায়। ওই বছরের ২২ মে জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি। ২০১৬ সালে ১১ ও ২২ এপ্রিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি, ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি, ২০১৮ সালের ১৮ জুন ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি, ২০১৯ সালের ২৮ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি, ২০২০ সালের ৭ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি, ২০২১ সালের ২৫ এপ্রিল ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি, ২০২২ সালের ২৪ ও ২৫ এপ্রিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, টানা ১২দিন ধরে এ জেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে। তার সাথে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে একটানা ১১দিন ধরে। এধারা আরও কিছুদিন অব্যহত থাকতে পারে। শনিবার দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা বেড়ে  বেলা ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিলো ১৬ শতাংশ।

অতিরিক্ত গরম ও তীব্র তাপের কারণে সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, জ্বরসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে শত শত শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী রোগীরা বহির্বিভাগ ও ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছে। তীব্র গরমের ফলে বাড়ছে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি।

এদিকে, বিভিন্ন স্থানে রাস্তার পিচ গলে যেতে দেখা গেছে। তবে এতে যান চলাচলে বিঘœ ঘটবে না বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রকাশ চন্দ্র বিশ্বাস। অপরদিকে অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে।

এদিকে তীব্র তাপদাহে শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যানচালকরা অস্থির হয়ে পড়েছেন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। শহরের বেশ কিছু সড়কের পিচ গলে যেতে দেখা গেছে। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাইরে না যেতে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরের অলিগলি, গ্রাম-গঞ্জে মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে।

ইজিবাইক চালক আজগর আলী জানান, পেটের তাগিদে বের হচ্ছি। অনেক গরম আজকে। মানুষ না থাকায় ভাড়া নেই। আমাদের মতো মানুষ খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকা কঠিন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ আবুল হোসেন জানান, তীব্র গরমে হার্টের রোগীরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় আছেন, বাড়ছে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি। চিকিৎসা নিতে আসা এসব রোগীদের প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হতে বলা হচ্ছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান, খাওয়ার স্যালাইন, লেবুর শরবত ও তরলজাতীয় খাবার বেশি খাওয়া এবং রোদ থেকে বাঁচতে ছাতা ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু কনসালটেন্ট ডা. আসাদুর রহমান মালিক খোকন বলেন, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় শিশুরা গরমজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। শিশুদের ছায়াযুক্ত স্থানে রাখতে হবে। বিশুদ্ধ পানি ও টাটকা খাবার খাওয়া হবে। অসুস্থ হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. ফাতেহ আকরাম জানান, গরমজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছেন সব বয়সের মানুষ। ডায়রিয়া রোগী বেশি আসছে। স্বাভাবিকভাবে রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, অতি তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বোরো ধান চিটে হয়ে যাচ্ছে। আমের গুটিগুলো শুকিয়ে ঝড়ে পড়ছে। নিয়মিত মাঠে ও বাগানে পানি দেয়ার জন্য বলা হচ্ছে কৃষকদের।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। যার ফলে কৃষিতে প্রভাব পড়ছে। ধানের ফলনে বিপর্যয় ঘটতে পারে। আমের গুটি ঝড়ে যাচ্ছে ও আম পানি না পাওয়ায় কম বড় হচ্ছে। কৃষক ও বাগান মালিকদের নিয়মিত পরিচর্যা করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার সব স্থানে মাইকিং করে জনসাধারণকে সতর্ক করা হচ্ছে। তারা যেনো অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাহির না হয়। সন্ধ্যার পর শরবত, পানি ও ফলমূল বেশি বেশি খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। স্ট্রোক, ডায়রিয়াসহ গরমজনিত রোগীদের চিকিৎসায় বিশেষ ব্যবস্থা করার জন্য সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More