বদলে যাচ্ছে আলমডাঙ্গা রেলস্টেশন এলাকার চিত্র : রেলকলোনীর মাদকের আস্তানা এখন কাপড়ের পাইকারি বাজারে পরিণত
আলমডাঙ্গা ব্যুরো: বদলে যাচ্ছে আলমডাঙ্গা রেলস্টেশন এলাকার চিরচেনা চিত্র। জেলার সবচে বড় মাদকব্যবসাস্থল রেলকলোনীর মাদকের আস্তানা এখন কাপড়ের পাইকারি বাজারে পরিণত হচ্ছে। ৯ হাজার বর্গফুটের জমিতে কাপড়ের পাইকারি ব্যবসায়ীদের জন্য ৬৬টি দোকান নির্মিত হচ্ছে। কুষ্টিয়ার পোড়াদহের মতো আলমডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনকে কেন্দ্র করে এখানে দেশের বৃহত্তম কাপড়ের পাইকারি বাজার প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে।
কয়েক বছর আগেও এখানে ছিলো জেলার সবচে বড় ও প্রভাবশালী মাদকের আস্তানা। মাদকসম্রাজ্ঞী মিনির ডেরা। মিনি, মিনির স্বামী আলাউদ্দীন, মিনির মা ফাহিমা, মিনির বোন কুটি ও কুটির স্বামী সামাদ, ক্রফায়ারে নিহত ওল্টু, মিনির মেয়ে আলো, আলোর স্বামী রুবেল, মিনির আরেক মেয়ে মায়া, মুন্নি, মুন্নির স্বামী রেজাউলসহ ১৭-১৮ জন মাদকব্যবসায়ীর এক ভয়ঙ্কর সিন্ডিকেটের আস্তানা ছিলো এ রেলওয়ে কলোনী। এ রেলওয়ে কলোনীকে ঘিরে এখানে তৈরি হয়ে উঠে আরেক অপরাধ জগতের।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিম জোন ২০১৪ সালের ১৮ জানুয়ারি এ জমিটি বাণিজ্যিক ভূমি হিসেবে লীজ প্রদানের জন্য দরপত্র আহ্বান করে। বাংলাদেশ রেলওয়ের পাকশীর বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা ওই দরপত্র আহ্বান করেন। শর্ত মোতাবেক সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে লীজ পান হারদীর নূরুল ইসলাম। একই বছরের ২ সেপ্টেম্বর নূরুল ইসলামের অনুকূলে শর্ত সাপেক্ষে এ লীজ প্রদান করা হয়। রেলওয়ের নিজস্ব ডিজাইনের মোট ৬৬টি দোকানের মধ্যে প্রথমে নূরুল ইসলামকে ৪৯টি দোকান বরাদ্দ দেয়া হয়। পরে রিটেন্ডারে তিনি আরও ৫টি দোকানের জমি বরাদ্দ পান। পরে অন্যের নামের বরাদ্দকৃত আরও ১২টি দোকানের জমি তিনি ক্রয় করে নেন। এরপর ওই বছরই ৩১ ডিসেম্বর ওই সম্পত্তির পজিশন সরেজমিনে মাপজোক করে পোড়াদহ রেলওয়ের ফিল্ড কানুনগো জিয়াউল হক নূরুল ইসলামের অনুকূলে হস্তান্তর করেন।
বর্তমানে ওই ৯ হাজার বর্গ ফুটের সম্পত্তিতে দুটি বড় সেড নির্মিত হচ্ছে। প্রতি সেডে ৩৩টি কওে দোকান থাকবে। নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে। দোকানগুলো ভাড়া দেয়া শেষ হলে এখানে অচিরেই প্রতিষ্ঠিত হবে দেশের অন্যতম বৃহৎ পাইকারি কাপড়ের মার্কেট।