স্টাফ রিপোর্টার : চুয়াডাঙ্গায় পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের পর ব্যবসায়ীরা পুরোদমে আম রফতানি শুরু করেছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে শহরের বুজরুকগড়গড়ির মহিলা কলেজপাড়ার একটি আমবাগান থেকে আমভর্তি একটি ট্রাক চট্রগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। এদিকে, চুয়াডাঙ্গায় ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও টর্ণেডো ঝড়ে বাগান মালিকরা বেশ ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে বলে দাবি করেছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের হিসাব মতে চলতি মরসুমে ১ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে আম বাগানের চাষ হয়েছে। এ হিসেবে আম ধরার কথা ৩০ হাজার মে. টন । এর মধ্যে আম্পান ও টর্ণেডো ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০ হাজার ৫৮৪ মে. টন আম। ক্ষতির পরিমাণ ৩০ টাকা কেজি হিসেবে ৩১ কোটি ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকা।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আম ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি কুদ্দুস মহলদার জানান, তিনি এবছর প্রায় ৩০০ বিঘা জমিতে আমবাগানের চাষবাদ করেছেন। শতকরা ৭০ থেকে ৭৫ ভাগ আম ক্ষতির মুখে পড়েছে। তার ক্ষতির পরিমাণ ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকা। তিনি প্রধানমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রীর কাছে আম ব্যবসায়ীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রণোদনা দাবি করেছেন।
চট্রগামগামী ট্রাকের চালক জাহিরুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ দুই লকডাউনের পর প্রথম ট্রিপে আম নিয়ে চট্রগ্রাম যাচ্ছি। জেলা প্রশাসন ও বাজার কর্মকর্তা সার্বিক সহযোগিতা করছেন। পথে কোনো অসুবিধা না হয় সেজন্য ট্রাকের বডিতে স্টিকার লাগিয়ে দিয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি বিপণণ অধিদফতরের মার্কেটিং অফিসার শহিদুল ইসলাম জানান, আম ব্যবসায়ীদের যাতায়াতে সুবিধার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা এবং কৃষি প্রণোদনা পেতে সরকারকে অবগত করানো হবে।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সুফি মো. রফিকুজ্জামান বলেন, সাম্প্রতিক ঝড় ও ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে আমবাগান মালিকরা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের কিভাবে সহযোগিতা করা যায় কৃষি বিভাগ অবশ্যই দেখবে।
প্রসঙ্গত: চুয়াডাঙ্গায় গত ২০ মে থেকে আটি, গুটি, গোপালভোগ আম, ২৮ মে থেকে বোম্বাই ও হিমসাগর আম, ৫ জুন থেকে ল্যাংড়া আম, ১৫ জুন থেকে আ¤্রপালি (বারি-৩), ২০ জুন থেকে ফজলী আম এবং ১ জুলাই থেকে আশ্বিনা/বারি-৪ আম গাছ থেকে পাড়তে পারবেন বাগান মালিকরা।