স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বাড়াদী সীমান্তে ৬০০ ভরি ওজনের ভারতীয় দানাদার রুপাসহ ২ চোরাকারবারিকে আটক করেছে বিজিবি-৬। গতাকল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মাদ জাহিদুর রহমান সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এর আগে দুপুরে বাড়াদী বিওপির বাড়াদী সীমান্ত থেকে ভারতীয় দানাদার রুপাসহ তাদের আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিরা হলেন-চুয়াডাঙ্গা দর্শনা হৈবতপুর গ্রামের আবুল কাসেমের ছেলে আবু বক্কর (২২) ও একই গ্রামের হিসাব আলীর ছেলে আমির হামজা (২৩)। চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মাদ জাহিদুর রহমান জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, দর্শনা থানার বাড়াদী সীমান্ত দিয়ে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় রুপা চোরাচালান হবে। খবর পেয়ে বাড়াদী বিওপির টহল কমান্ডার হাবিলদার মনির হোসেন সঙ্গীয় টহল দল নিয়ে সীমান্ত মেইন পিলার ৮০ থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের ভেতরে হৈবতপুর মাঠের পাশে অবস্থান করেন। দুপুরে সন্দেহজনকভাবে তিনজন ব্যক্তিকে সীমান্ত এলাকা দিয়ে পায়ে হেঁটে বাংলাদেশের অভ্যন্তর হৈবতপুর মাঠের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় বিজিবি টহল দল তাদেরকে ধাওয়া করলে ওই তিনজন দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বিজিবি সশস্ত্র টহল দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে তাদেরকে ধাওয়া করে দু’জন ব্যক্তিকে আটক করতে সক্ষম হয় এবং একজন পালিয়ে যায়। আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কোনো চোরাচালানি পণ্য নেই বলে জানান। এরপর দেহ তল্লাশি করে কোমরে সাদা কাপড় দিয়ে বেঁধে স্কচটেপ মোড়ানো ৬টি পলিথিনের প্যাকেট থেকে ৬ কেজি ৯৯০ গ্রাম বা ৫৯৯ দশমিক ২৮ ভরি ওজনের দানাদার রুপা এবং তাদের কাছে থাকা একটি মোবাইল ফোন ও দুটি সিম কার্ড উদ্ধার করতে সক্ষম হন। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ১২ লাখ টাকা। তিনি আরও জানান, এ ব্যাপারে হাবিলদার মনির হোসেন বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মামলা এবং উদ্ধার ভারতীয় রুপাগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.