নিদের্শনা না মেনেইে চলছে জীবননগরে ভৈরব নদী পুনঃখনন কাজ
ব্যক্তি মালিকানা জমির ফসলাদিতে মাটি ফেলে নদীগর্ভ খনন : বালু ও মাটি বিক্রির মহোৎসব
নারায়ণ ভৌমিক: সিএস ম্যাপ ও রের্কড অনুয়ায়ী নদী খননের নিদের্শনা না মেনেইে চলছে চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ভৈরব নদী পুনঃখনন কাজ। অভিযোগ রয়েছে, অনেকের বাড়ি-ঘর, গাছপালা, ধান, ভুট্টা, আলু, পেয়াজ, পেয়ারাসহ উঠতি ফসলের তছরূপ করে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির ফসলাদিতে মাটি ফেলে নদীগর্ভ খনন করা হচ্ছে। অপরদিকে, দিনে বালু ও রাতে মাটি বিক্রির উৎসব চলছে। উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায় দিনের বেলায় বালু ও রাতে মাটি নিতে কুলতলা, নিশ্চিন্তপুর ও আন্দুলবাড়িয়া এলাকার সড়কগুলো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অসংখ্য ট্রাক্টর। প্রতি ট্রাক্টর বালু ১২শ ও মাটি ৮শ টাকা। ভৈরব নদ খননকে কেন্দ্র করে এলাকায় গড়ে উঠেছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এদিকে সিএস ম্যাপ ও রের্কড অনুয়ায়ী কোন সীমানা খুঁটি না দিয়ে নদী খনন কাজ করা হচ্ছে। শুরু হয়েছে সিএস, এসএ ও আর এস খতিয়ানভুক্ত দখলদারদের ঠেলাঠেলি। রক্ষা করা হচ্ছে আরএস, এসএ খতিয়ানভুক্ত ও অবৈধ দখলদারদের জমি, বাড়িঘর, দালান কোঠা, স্থাপনা ও পুকুর। সাব ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এসব স্থাপনা ও জমি রক্ষায় অর্থ বাণিজ্যর অভিযোগ উঠেছে। দরকষাকষির মাধ্যমে চলছে অবৈধ দখলদারদের দখল রক্ষায় জমি, বাড়িঘর, দালান কোঠা, স্থাপনা ও পুকুর।
জীবননগরের কাশিপুর, কুলতলা, দেহাটি, আন্দুলবাড়িয়া, নিশ্চিন্তপুর, অনন্তপুর, বিদ্যাধরপুর ও কর্চাডাঙ্গা মৌজায় ভৈরব নদী খনন কাজ শুরু হয়েছে। যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে নাসির উদ্দিন মোল্লা নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দরপত্রের নীতিমালা ও শর্ত অনুয়ায়ী সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে কাজটি পেয়েছেন। চুক্তিভিত্তিক সাব ঠিকাদার হিসেবে খনন কাজ করছেন ঝিনাইদহ জেলার মোসাব্বির এন্টারপ্রইজ। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কপোতক্ষ নদের জলবদ্ধতা দূরীকরণ (২য় পর্যায়ে) শরিয়তপুর আপার প্রকল্পের আওতায় প্যাকেজ প্রকল্পের ৬ কি.মি. পুনঃখনন কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের শর্ত ও নীতিমালা অনুয়ায়ী সিএস ম্যাপ ও রেকর্ড অনুয়ায়ী সীমানা খুঁটি দিয়ে খনন কাজ করা হবে।
তথ্য ও অনুসন্ধান নিয়ে জানা গেছে, সিএস ম্যাপ ও রেকর্ড অনুযায়ী ভৈরব নদীর সর্বনিম্ন ৯৬ ফুট ও সর্বোচ্চ ১৬০ ফুট জমি রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের শর্ত অনুয়ায়ী খনন কাজ শেষে যার জলমহাল হবে ৮২ ফুট ও উভয়প্রান্তে পাড় বাঁধা হবে ২০-২০ ফুট ও গভীরতা হবে গড় ৮ ফুট। খনন কাজে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি জনসাধারণের জ্ঞাতার্থে সিডিউলের কোনো বিল বোর্ড দেয়নি। তবে এলাকায় মাইকিং করে অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা ও জেলা প্রশাসনকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে খনন প্রকল্প সর্ম্পকে কোন অফিসিয়ালি পত্র প্রেরণ করা হয়নি। নদী খনন সর্ম্পকে স্থানীয়রা কোন তথ্য জানতে চাইলে বলতে পারছেন না স্থানীয় সরকার, উপজেলা ও জেলা প্রশাসন। এ সর্ম্পকে জনসাধারণ তথ্য অধিকার আইন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয়হীনতা অভাব দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ডিসি সম্মেলনে এ বিষয়ে অভিযোগ উঠেছে। নদী খননের শুরুতেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুনীতি, অর্থবাণিজ্য, মাটি ও বালু বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। কুলতলা গ্রামের গোলাম রসুল, ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম খোকা, বাপ্পী ও নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মমিনুল হক মমিনসহ অনেকে যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী, জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক বরাবার অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, সিএস ম্যাপ ও রের্কড অনুয়ায়ী নদী খনন করার নিদের্শনা দেয়া হলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি কোন সীমানা খুঁটি না দিয়ে নিজ ইচ্ছে ও খেয়াল খুশিমতো খনন প্রকল্পের কাজ শুরু করছে। অনেকের বাড়ি ঘর, গাছপালা, ধান, ভুট্টা, আলু, পেয়াজ, পেয়ারাসহ উঠতি ফসলের তছরূপ করে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির ফসলাদিতে মাটি ফেলে নদীগর্ভ খনন করা হচ্ছে। কুলতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মাটির স্তুপ করা হয়েছে। যা স্কুল খুললে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ব্যহত হবে বলে এলাকার সচেতন মহল মনে করছে। কাশিপুর গ্রামের বদরুদ্দিন ম-লের ছেলে মুকুল হোসেন, আকুল ও আব্বাস আলী ম-লের ছেলে সাইফুল ইসলাম অভিন্ন ভাষায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, নদীতে বাঁধ দেয়ায় ধান তলিয়ে গেছে, গাছপালা ও উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি ও তছরূপ করছে। প্রতিবাদ করলে তারা কোন কর্নপাত করছে না।
নামপ্রকাশে অনাইচ্ছুক এক শিক্ষক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, টাকার বিনিময় অবৈধভাবে দেহাটি গ্রামের আনিছুর রহমানের দুটি পুকুর বালু উত্তোলন করে ভরাট করা হচ্ছে। দিনে বালু ও রাতে মাটি বিক্রির উৎসব চলছে। উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায় দিনের বেলায় বালু ও রাতে মাটি নিতে কুলতলা, নিশ্চিন্তপুর ও আন্দুলবাড়িয়া এলাকার সড়ক গুলো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অসংখ্য ট্রাক্টর। প্রতি ট্রাক্টর বালু ১২শ ও মাটি ৮শ টাকা। ভৈরব নদ খননকে কেন্দ্র করে এলাকায় গড়ে উঠেছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। সম্প্রতি ভ্রাম্যমাণ আদালত কুলতলা গ্রামে বালু ভর্তি একটি ট্রাক্টর আটক করে অবৈধ বালু কেনার অপরাধে এক ইটভাট মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এসব নানা অনিয়ম ও দুনীতির অভিযোগ ওঠায় সরেজমিনে ভৈরব নদী খনন প্রকল্পে গিয়ে দেখা গেছে, সিএস ম্যাপ ও রের্কড অনুয়ায়ী কোন সীমানা খুঁটি না দিয়ে নদী খনন কাজ করা হচ্ছে। শুরু হয়েছে সিএস, এসএ ও আরএস খতিয়ানভুক্ত দখলদারদের ঠেলাঠেলি। এ ঠেলাঠেলি নিয়ে সংঘাত সংঘর্ষের আশষ্কা দেখা দিয়েছে। রক্ষা করা হচ্ছে আরএস, এসএ খতিয়ানভুক্ত ও অবৈধ দখলদারদের জমি, বাড়িঘর, দালান কোঠা, স্থাপনা ও পুকুর। সাব ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এসব স্থাপনা ও জমি রক্ষায় অর্থবাণিজ্যর অভিযোগ উঠেছে। সূত্র জানান, অবৈধ দখলদারদের দখল রক্ষা, মাটি ও বালু বিক্রির জন্য গভীর রাতে সাব ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দেখ ভালোর দায়িত্বে নিয়েজিত মাখন নামের এক ব্যক্তির সাথে চলছে অর্থ বাণিজ্যর তুঘলকি কারবার। দর কষাকষির মাধ্যমে চলছে অবৈধ দখলদারদের দখল রক্ষায় জমি, বাড়িঘর, দালান কোঠা, স্থাপনা ও পুকুর।
আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মইদুল ইসলাম মধু প্রশ্ন তুলে বলেন, ২০ বছর আগে যেখানে ১৫ ফুট পানি ছিল, নৌকা চলত, জেলেরা ও সৌখিন মাছ শিকারীরা মাছ ধরতো, সেখানে কিভাবে বাড়িঘর, দালান কোঠা, স্থাপনা ও পুকুর খনন করে ব্যক্তি মালিকানা জমি বলে দাবি করছেন। নদীর গতিধারা পরিবর্তন হয়েছে। একসময় যেখানে নদী প্রবাহ ছিল সেখানে এখন চাষাবাদ হচ্ছে। এখন পানি প্রবাহর ধারা পরিবর্তন হয়ে পানি প্রবাহ হচ্ছে স্থান পরিবর্তন করে। পাড়ে মাটি ফেলে ও নদীতে বাঁধ দিয়ে খনন করায় তলিয়ে যাচ্ছে ধান, ভুট্টা, আলু, পিয়াজ ও পেয়ারাসহ অর্থকারী ফসল। তছরূপ করা হচ্ছে অর্থকারী ফসলের। অনেক হতদরিদ্র কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। নদীতে এখনও কোথায় কোথায় ৪ থেকে ১০ ফুট পানি রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সাব ঠিকাদার স্যালো মেশিন দিয়ে পানি সেচ দিচ্ছেন। সম্পূর্ণ পানি না সেচে নদী খনন করায় ঝোল কাদা পাড়ে ফেলার পর আবারো নদী গর্ভে এসে পড়ায় শুভঙ্করের ফাঁকি দেয়ায় প্রকল্পের বাস্তবায়ন নিয়ে জনমনে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। অনেকে এ দৃশ্য দেখে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, নদী খননের নামে খাল খনন করা হচ্ছে। খনন কাজে পুকুর চুরির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। পানি থাকায় খনন কাজের গভীরতা নির্ণয় করা সম্ভব হবে না বলে এলাকার সচেতন মহল মনে করছেন। উত্তোলনকৃত মাটি বিক্রি করার কোনো অনুমোদন না থাকলেও সাব ঠিকাদার মাখন হোসেন জনৈক একজন প্রতিনিধির সাথে অলিখিত চুক্তির বিনিময় মাটি বিক্রি করা কালে স্থানীয় গ্রামবাসী প্রতিরোধ গড়ে তুলে মাটিভর্তি ১২টি ট্রাক্টর আটক করে। সম্প্রতি কয়েক দিনে আগে গভীর রাতে ১২ ট্রাক্টর মাটি আটক করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুলতলা গ্রামবাসী ও মাটি ক্রয়কারীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। অবশেষে গ্রামবাসীর প্রতিরোধের মুখে মাটি দস্যুরা পিছু হটে। আটক ১২ ট্রাক্টর মাটি কুলতলা কবরস্থানে নামিয়ে নেয়া হয়েছে। চুক্তি অনুয়ায়ী আবারো শুরু হয়েছে উত্তোলনকৃত বালু ও মাটি বিক্রি। সাব ঠিকাদার মাখন হোসেনের নিকট এ প্রতিবেদক অভিযোগের সত্যতা জানতে চাইলে তিনি প্রশ্নে উত্তর না দিয়ে নিজেকে ব্যস্ত দেখিয়ে মোটর সাইকেল নিয়ে সটকে পড়েন। অভিযোগ পেয়ে যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী তাওহীদুল ইসলামের নির্দেশে উপসহকারী প্রকৌশলী ইনজামূল হক রোহান সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনকালে তিনি অভিযোগকারীদের জমি পরিমাপ করে সত্যতা পেয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে এ সব মালিকানাধীন জমি ছেড়ে খনন কাজ করা ও কৃষকের ফসলহানি যাতে না ঘটে সে বিষয়ে সর্তক করেন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মাটি বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান। তবে ঠিকাদার নাসির উদ্দিন মোল্লার ভাইপো সবুজ হোসেন এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।
চুয়াডাঙ্গা মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সি নদী খনন সম্পর্কে মাথাভাঙ্গাকে বলেন, জনগণের ধারণা জুবুথুবু করে নদী খননের পেছনে থাকে ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের মধ্যে টাকা ভাগাভাগির গোপন বোঝপড়া। এই চক্র ভাঙার জন্য সরকারি দলের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা কেন কঠোর হন না, সে রহস্য জনগণের না বোঝার কথা নয়। ভৈরব নদ খননে কোন প্রকার অনিয়ম ও দুর্নীতি হলে সচেতন জনগণের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তোলা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ইউনুছ আলীর নিকট ভৈরব নদী এলাকার জমি সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি মাথাভাঙ্গাকে বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা নদী এলাকার জমির পরিমাণ ও কাগজপত্র নিয়ে গেছে। নদী খনন প্রকল্প চালু করায় আরএস খতিয়ানভুক্ত ও ডিসি আর ভুক্ত জমির ভূমি উন্নয়ন কর সরকারি নির্দেশনায় বন্ধ রাখা হয়েছে।
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম রাসেলের সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করে ভৈরব নদী খনন প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকগণের অভিযোগ ও নদী খননের নীতিমালা সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, কয়েকজনের লিখিত অভিযোগপত্র পেয়েছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর নিকট প্রেরণ করা হয়েছে। তবে নদী খনন প্রকল্প সর্ম্পকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে উপজেলা পরিষদকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অফিসিয়ালি পত্র প্রেরণ করা হয়নি।
এ ব্যাপারে মোবাইলফোনে ভৈরব নদী খনন প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের অভিযোগ সর্ম্পকে জানতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের যশোর পওর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তাওহীদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি অসুস্থ, হাসপাতালে আছি। পরে যোগাযোগ করেন।