নিখোঁজের চারদিন পর বস্তাবন্দী ইজিবাইক চালকের মরদেহ উদ্ধার

মুজিবনগরে হত্যা করে লাশ গুম করার চেষ্টা : নেপথ্য উন্মোচনে মাঠে পুলিশ

মুজিবনগর প্রতিনিধি: নিখোঁজের চারদিন পর মুজিবনগরের বিশ্বনাথপুর গ্রামের একটি বাঁশবাগান থেকে বিজন (২৬) নামের এক ইজিবাইক চালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্বনাথপুর গ্রামের একটি বাঁশবাগানে গর্তের মধ্যে বস্তাবন্দী অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে কি কারণে এই হত্যাকা- তা অচিরেই স্পষ্ট হবে বলে জানায় পুলিশ। নিহত বিজন মোনাখালী গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গেলো ২৬ অক্টোবর বিকেলে ইজিবাইক নিয়ে ভাড়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয় বিজন। সন্ধ্যা পর্যন্ত পরিবারের সাথে তার যোগাযোগ থাকলেও রাত থেকেই তার হদিস মিলছিলো না। তার কোনো সন্ধান পাচ্ছিলো না পরিবারের লোকজন। সন্ধান চেয়ে ২৭ অক্টোবর তার চাচা ইউনুস আলী মুজিবনগর থানায় একটি জিডি করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বনাথপুর গ্রামের ভাদু মল্লিক রোববারর দুপুরে তার বাঁশবাগানে গিয়েছিলেন কাজে। মোনাখালী আর বিশ্বনাথপুর গ্রামের মাঠের মধ্যেই এই বাঁশ বাগানের অবস্থান। বাগানের মধ্যে অস্বাভাবিক গন্ধ তার নাকে আসছিলো। বিষয়টি তিনি স্পষ্টভাবে আচ করতে না পেরে বাড়ি ফিরে আসেন। বাঁশ বাগানে অস্বাভাবিক গন্ধের বিষয়টি সন্ধ্যায় চায়ের দোকানে বসে থাকা গ্রামের লোকজনের সাথে শেয়ার করেন তিনি। বিজনের নিখোঁজের বিষয়টি চায়ের দোকানে বসা কয়েকজন অবগত ছিলেন। বিজনকে হত্যা করে সেখানে পুঁতে রাখা হতে পারে এমন সন্দেহে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। রাত সাড়ে ৮টার দিকে মুজিবনগর থানা পুলিশের একটি দল ওই গ্রামের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে ভাদু মল্লিকের বাঁশ বাগানে অনুসন্ধান চালায়। পুরো বাগান তল্লাশি করার এক পর্যায়ে বস্তাবন্দী লাশের খোঁজ মেলে। বাঁশ বাগানের মধ্যে কিছু অংশ গর্ত করে তার মধ্যে বস্তায় লাশ ছিলো। যা উপর থেকে বস্তার অবস্থান বোঝা যাচ্ছিলো। বস্তার ভেতর থেকে লাশ বের করার পর পরিবারের লোকজন বিজনের লাশ বলে শনাক্ত করে। মুজিবনগর থানার ওসি মেহেদী রাসেল ও ডিবির ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, বিজনকে হত্যা করে গুম করা হয়েছিলো বলে ধারণা করছে পুলিশ। এই ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে ইতিমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে। হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও রহস্য উন্মোচনে মাঠে নেমেছে পুলিশের কয়েকটি দল। বিজনের মামাতো ভাই বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে কয়েকজন লোক চুয়াডাঙ্গাতে যাবে বলে মেহেরপুর থেকে আমার ভাইয়ের অটো ভাড়া করে নিয়ে যায়। এরপর আমার ভাইসহ তারা ভালাইপুর মোড়ের একটা হোটেলে খাওয়া দাওয়া করে। চুয়াডাঙ্গাতে যাত্রী রেখে বাড়ি চলে আসবো বলে আমার ভাই পরিবারের লোকজনকে জানায়। কিন্তু রাতে বাড়ি ফিরে না আসায় আমি ও আমার পরিবারের লোকজন তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে আমরা তার মোবাইলফোনটা বন্ধ পায়। পরদিন সকালে গ্রামের পাশ থেকে তার ইজিবাইকটি উদ্ধার করা হয়েছিলো।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More