স্টাফ রিপোর্টার: পাথরে পাথর ঘষে যদি আগুন জ্বালানো যায়, তা হলে হৃদয়ের সাথে হৃদয়ের আলিঙ্গনে ভালোবাসার ফুল কেনো ফোঁটানো যাবে না? প্রশ্নকে সামনে নিয়ে যে পরিবার সমাজের পরতে পরতে সবার মাঝে ভালোবাসার সুবাস ছড়ানোর চেষ্টায় অবিরাম ব্রত, সেই পরিবারের আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাস। কেন? আজ ১০ জুন। দৈনিক মাথাভাঙ্গা’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। ৩১ পেরিয়ে ৩২ বছরে পদার্পণ। আজকের শুভক্ষণে সকলকে প্রাণঢালা ভালবাস।
১৯৯১ সালের ১০ জুন দৈনিক মাথাভাঙ্গা আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। সমাজ থেকে কুসংস্কার নামক অন্ধকার দূর করা, অপচিকিৎসা থেকে রক্ষা করাসহ অন্যায় রুখে ন্যায় প্রতিষ্ঠার প্রত্যায়ে যাত্রা শুরুর পর বহু চড়াই উৎরায় পেরিয়ে কতটা শক্ত অবস্থানে তা পাঠককূলই ভালো বলতে পারেন। কারণ, পাঠককুলই মাথাভাঙ্গা পত্রিকার অগ্রযাত্রায় পাথেয়, সহাস। এক সময় যে জনপদ ছিলো রক্তাক্ত নামে কলঙ্কিত, সেই জনপদ থেকে সন্ত্রাস সমূলে উৎপাটনে মদদদাতাসহ অস্ত্রবাজদের বিরুদ্ধে কলম ধরে মাথাভাঙ্গা পরিবার যে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে ওই সাহসের উৎসও অবশ্যই অসংখ্য পাঠক। প্রতিদিন প্রাতে সূর্য ওঠার সাথে সাথে পাঠকের হাতে মাথাভাঙ্গা পৌঁছে দেয়ার আগে মাথাভাঙ্গা পরিবারকে সর্বাত্মক সতর্ক থাকতে হয়। কারণ, পাঠকের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে পাঠকের প্রত্যাশা পূরণে ন্যূনতম ঘাটতি মানেই ব্যর্থতা। সেই সতর্কতা এখনও। আগামীতেও। তবে সময় কখনো কখনো কৌশলী হতে শেখায়। দৈনিক মাথাভাঙ্গা পরিবার কৌশলী নয়, সরল স্বীকারোক্তিতে বিশ^াস করে।
ছোট্ট একটি পত্রিকা প্রকাশ করে পাঠকের হাতে পৌঁছুতে কতোটা শ্রম, কতজনের মেধা প্রজ্ঞা প্রয়োজন তা ভাষায় বর্ণনা করা কঠিন। একটি সংবাদ সংগ্রহ, সেটা ছাপার উপযোগী করা, ছাপা, ছেপে পাঠের যোগ্য করে পাঠকের হাতে পৌঁছে দেয়ার মধ্যে থাকে অনেকের অক্লান্ত পরিশ্রম। এই শ্রম তখনই স্বার্থক হয় যখন যার বা যাদের উদ্দেশ্যে শ্রম দেয়া হয় তিনি বা তারা কিছুটা হলেও তুষ্ঠ হন। যে পত্রিকা চুয়াডাঙ্গার মত একটি ছোট্ট জেলা থেকে প্রকাশ পেয়ে আঞ্চলিক পত্রিকা হিসেবে উন্নীত হয়। পাশর্^বর্তী কয়েকটি জেলার পাঠককূলের প্রত্যাশা পূরণের সক্ষম হয়। তখন অতুষ্টি প্রসঙ্গই কি অবান্তর নয়? দৈনিক মাথাভাঙ্গার দীর্ঘ পথচলায় যেমন বেড়েছে বয়স, তেমনই অর্জিত হয়েছে অভিজ্ঞতা। ৩২ বছরের অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ যুবক আরও তারুণ্যের দ্বিপ্ত দেখাতে চায়। চায় সহযোগিতা। দৈনিক মাথাভাঙ্গার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভদিনে এ প্রত্যাশার পাশাপশি কষ্ট নিয়ে জানাচ্ছে উৎসবের আয়োজন করতে না পারার ব্যর্থতা। করোনার দু’বছর হলো না উৎসব। সেই করোনা আর ইউক্রেন যুদ্ধের কুপ্রভাব যেমন সকলকে রেখেছে চরম কষ্টে, তেমনই কষ্টের কষ্টিপাথরে পরীক্ষিত দৈনিক মাথাভাঙ্গা পাশে থাকতে চায় সকলের। এবারও উৎসব হলো না। হৃদয়ে সৃষ্টি সুখের উল্লাস নিয়ে হোক আরও একটি বছরের যাত্রা। আগামীতে অবশ্যই ভালো কিছু হবে আশায় আজকের শুভদিনে সকলকে আবারও শুভেচ্ছা। সকলের ভালোবাসা, অকৃত্তিম সহযোগিতা প্রত্যাশী আমরা। সম্পাদক সরদার আল আমিন সকলকে জানিয়েছেন ভালোবাসমাখা সালাম ও শুভেচ্ছা।
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ