দেশে ফিরেই খুন হলেন ব্যাঙ্গালুরের মুদি ব্যবসায়ী
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মারামারি
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার দুধসর ইউনিয়নের ভাটই গ্রামে দু’পক্ষের মারামারিতে বিল্লাল হোসেন (৪৫) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। গত পরশু রোববার রাত দেড়টার দিকে ফরিদপুরে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। মৃত বিল্লাল হোসেন ভাটই আদর্শপাড়ার মৃত নুর ইসলামের ছেলে। সে ভারতের ব্যাঙ্গালুরে মুদি ব্যবসা করতেন। রোববার দুপুর ১২টার দিকে তিনি দেশে আসেন। বিল্লাল হোসেনের ছেলে জিহাদ জানান, শনিবার দুপুরে ঝিনাইদহ শহরে তাদের প্রতিবেশী শাকিল হোসেনকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারধর করে তার ফুপাতো ভাই সাগরের বন্ধুরা। এ নিয়ে ওইদিন বিকেলে শাকিল গ্রামে ফিরে পরিবারকে জানালে জিহাদের পরিবারের সাথে বাকবিত-া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরই জের ধরে রোববার বিকেলে উভয় পক্ষের লোকজন মারামারিতে লিপ্ত হয়। এতে আহত হয় জিহাদের পিতা বিল্লাল হোসেন। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে রাত দেড়টার দিকে ফরিদপুরে গিয়ে মারা যায় বিল্লাল। তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ভাটই পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বলেন, প্রতিবেশীদের সাথে বাকবিত-া হয়। পরে মারামারি হয়। বিল্লাল হোসেনের মৃত্যু আঘাতজনিত নাকি হার্টঅ্যাটাক তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। উল্লেখ্য শৈলকুপার গোলকনগর গ্রামে গত শুক্রবার বিকেলে আওয়ামী লীগ কর্মী সাইদ বিশ্বাস প্রতিপক্ষের হাতে খুন হন। রোববার সকালে কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার এলাকা থেকে গোকুল চন্দ্র কর্মকারের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। একই দিন ঝিনাইদহ শহরের ধোপাঘাটা গোবিন্দপুর এলাকা থেকে অমিতাভ শাহা নামে এক ব্যক্তির বস্তাবন্দি লাশ পাওয়া যায়। সর্বশেষ রোববার মধ্যরাতে শৈলকুপার ভাটাই এলাকার বিল্লাল হোসেন মারধরের কারণে ঢাকা যাওয়ার পথে মারা যান। এই নিয়ে গত ৬০ ঘণ্টায় ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ, শৈলকুপা ও ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় লাশ উদ্ধারসহ ৪ জন খুনের শিকার হলেন। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার আজিম উল আহসান জানান, আমি ঝিনাইদহে যোগদানের পর এখানে কোন বড় ধরনের ঘটনা ঘটেনি। তবে আকস্মিক ভাবে ৪টি লাশ উদ্ধারসহ দুইটি খুনের ঘটনা ঘটে গেছে। ইতিমেধ্য দুইটি খুনের ঘটনা ঘটলেও আসামি গ্রেফতারসহ তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। বাকি দুইটি লাশ উদ্ধারের ঘটনা ময়না তদন্তের ওপর নির্ভর করছে, এটা আসলে খুন না অন্য কিছু।