দিগড়ির হেলিপ্যাড পূর্ণঙ্গরূপে নির্মাণের অনুরোধ জানিয়ে স্মারকলিপি পেশ
১৯৮৯ সালের অধিগ্রহণকৃত জমির কিছু অংশ হয়েছে বেদখল : কিছু অংশে কাটা হচ্ছে মাটি
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা দিগড়ি গ্রাম সংলগ্ন হেলিপ্যাড নির্মাণের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমি বেদখল মুক্ত করে পূর্ণাঙ্গ আধুনিক হেলিপ্যাড নির্মাণের অনুরোধ জানিয়েছেন গ্রামবাসী। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি এ অনুরোধ জানিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে একটি স্মারকলিপিও দেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় শোভাযাত্রা সহকারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে এ স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
স্থানীয়রা বলেছেন, ১৯৮৯ সালে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের দিগড়ি গ্রাম সংলগ্ন জমিতে হেলিপ্যাড স্থাপনের নিমিত্তে ৪ দাগে মোট ১.৬৩২০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে হেলিপ্যাড নির্মাণ না করায় কিছু ব্যক্তি ওই জমির কিছু অংশ বেদখলই করে নেয়নি, কিছু অংশ থেকে বালুও উত্তোলন করে অধিগৃহণকৃত ক্ষতিসাধণ করছে। হেলিপ্যাড পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকার কারণে এর একাংশে এলাকার ছেলেরা খেলাধুলাও করে। অবাক হলেও সত্য যে, মাটি কেটে বিক্রিসহ জমিদখল করে বসবাস করার কারণে খেলার মাঠটিও সংকীর্ণ হয়ে খেলাধুলার অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। আর কিছুদিন অরক্ষিত থাকলে হেলিপ্যাডের জমি হারিয়ে যাবে। ফলে দিগড়িসহ পাশর্^বর্তী এলাকার সচেতন জনগণ সম্মিলিতভাবে হেলিপ্যাডের জমি রক্ষাসহ পূর্ণাঙ্গ হেলিপ্যাড নির্মাণের নিমিত্তে প্রধানমন্ত্রীর আশু পদক্ষেপ কামনা করেছেন। স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, সরকার প্রধানের কাছে অনেকে রাস্তা চায়, স্কুল চায়, কলেজ মাদরাসা চয়। আমরা এলাকাবাসী চেয়েছি অধিগ্রহণকৃত জমি রক্ষা করে পূর্ণাঙ্গ হেলিপ্যাড নির্মাণ। চুয়াডাঙ্গা দিগড়ির হেলিপ্যাডটি এমনভাবে নির্মাণ করা হোক যার মধ্যদিয়ে প্রথম অস্থায়ী রাজধানীর ঐতিহ্য ফুটে উঠবে। অধিগ্রহণকৃত জমির তফসিল পরিচয়ও স্মারকলিপিতে তুলে ধরা হয়েছে। মো. শরীফ উদ্দীন জোয়ার্দ্দর, রফিকুল আলম রতনসহ এলাকার বহু মানুষের স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি গ্রহণ করে জেলা প্রশাসক বলেছেন, যতো দ্রুত সম্ভব প্রধানমন্ত্রীর দফতরে প্রেরণ করা হবে। তাছাড়া অধিগ্রহণকৃত জমি রক্ষার জন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।