চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় ট্রাক ও করিমন (শ্যালোইঞ্জিন চালিত যান) মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা-ছেলে নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৩ জন।
আজ রোববার সকাল ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-দর্শনা আঞ্চলিক মহাসড়কের লোকনাথপুর তালবাগান এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- করিমন চালক আশানুর রহমান (৩৮) ও তার ছেলে আজম আলী (১১)। তাদের বাড়ি দামুড়হুদা উপজেলার ডুগডুগি গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকালে করিমনে সিমেন্ট বোঝাই করে দর্শনার দিকে যাচ্ছিলেন চালক আশানুর রহমান। এসময় দর্শনা দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের (ঝিনাইদহ ট-১১-১৮৭৬) সাথে তার করিমনের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। পরে ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুলিশ বক্সে গিয়ে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান করিমনে থাকা চালক আশানুরের ছেলে আজম আলী। আহত হন করিমন যাত্রী ডুগডুগি গ্রামের জামাত আলীর ছেলে জীবন আলী (১০), ট্রাক চালক ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার মাইলবাড়ি গ্রামের ইয়াসিন আলী (২৫) ও ট্রাক শ্রমিক একই উপজেলার ঝিষ্টিপোতা গ্রামের নওশের আলম ছেলে মনিরুল ইসলাম (৩০)। খবর পেয়ে দর্শনা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে করিমন চালক আশানুর রহমানকে মৃত ঘোষনা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফারহানা ওয়াহিদ জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় হাসপাতালে নেয়ার আগেই মারা যান করিমন চালক আশানুর। দুর্ঘটনায় আহত বাকীদের হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক জানান, দুর্ঘটনার পর সহকারী পালিয়ে গেলেও ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। নিহতের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, ট্রাকটি ইট নিতে কুষ্টিয়ার দিকে যাচ্ছিল। ওই ঘটনায় আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে বলে জানান দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান।