স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুরসহ পাশ্ববর্তী এলাকায় তীব্র খরায় জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। মঙ্গল ও বুধবার লুহাওয়া বয়ে গেছে। সর্বাত্মক লকডাউন পহেলা বৈশাখ ও পবিত্র রমজানের প্রথম দিন জেলা শহরে সকল থেকে দুপুর পর্যন্ত সাধারণ মানুষের তেমন আনাগনা লক্ষ করা না গেলেও ইফতারির আগে কিছুটা ভিড় লক্ষ্য করা যায়। রেলওয়ে স্টেশন এলাকা প্রায় জনশূন্য থাকলেও বড় বাজার ও রেলবাজার এলাকায় বিকেলে ইফতার ক্রেতাদের ঘোরাফেরা পরিলক্ষিত হয়।
বুধবারও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রাজশাহীতে ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় মঙ্গলবারের তুলনায় বুধবার কিছুটা বেড়ে ৩৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়িয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। কিশোরগঞ্জ, কুমিল্লা জেলাসহ ময়মনসিংহ, রংপুর, সিলেট বিভাগের দু এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পরে এবং লাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। রাঙ্গামাটি, নোয়াখালী, ফেনী, শ্রীমঙ্গল, রাজশাহী ও পাবনা অঞ্জলসহ খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদ থেকে মাঝারী ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি কিছু এলাকা প্রশামিত হতে পারে। ৪৮ ঘণ্টার পূর্বাভাসে সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। ৫ দিনের পূর্বাভাসে বৃষ্টি বজ্রবৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। বুধবার দেশের সর্বোচ্চ রাজশাহীতে ৩৯ দশমিক ৭ ও সর্বনিম্ন তেতঁলিয়ায় ২১ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৩৮ দশমিক ৭ ও সর্বনিম্ন ২৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
বেশ কিছুদিন ধরে চুয়াডাঙ্গাসহ পাশ্ববর্তি এলাকায় বৃষ্টি না হওয়ায় এবং সূর্য্যের প্রখরতা বেড়ে যাওয়ায় জনজীবন বিষিয়ে উঠেছে। বিদ্যুতের তেমন আসা যাওয়া না থাকলেও লোভোল্টেজের কারণে বৈদ্যুতিন পাখাও যেনো প্রত্যাশিত গতিতে ঘুরছে না। সন্ধ্যায় ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। রাত সাড়ে ৯টার পর থেকে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হচ্ছে। অপরদিকে চুয়াডাঙ্গায় ডাবের দাম বেড়ে গেছে। যে ডাব দুদিন আগেও ৪০ টাকায় পাওয়া যেতো, তা ৫০ টাকার কমে মিলছে না। দুপুরে চুয়াডাঙ্গায় যেনো লু হাওয়া বয়েছে। বাইরে বের হলে রোদে চোখ মুখ ঝলসে যাওয়ার মত অবস্থা হয়েছে বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ