স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে দ্বিতীয় দিনে আরও ৭২ জন দেশে ফিরেছেন। তাদের মধ্যে ৪৬ জন পুরুষ ও ২৬ নারী রয়েছেন। এর আগে সোমবার প্রথমদিন ফিরেছিলেন মাত্র ১১ জন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা দর্শনা চেকপোস্টে পৌঁছুলে তাদের হেলথ স্ক্রিনিং ও করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম ও আসিফ ইকবালের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি মেডিকেল টিম তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। তাদের মধ্যে একজন নারীর শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান দর্শনা চেকপোস্ট পরিদর্শন করেন ও নারীকে আইসোলেশনে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে তাকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে নেয়া হয়েছে। ইমিগ্রেশনের সব প্রক্রিয়া শেষে সেখান থেকে অন্যদের নির্ধারিত মাইক্রোবাসে চুয়াডাঙ্গা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) নেয়া হয়। সেখানে তারা ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকবেন।
দর্শনা জয়নগর চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আলিম বলেন, বুধবার এই চেকপোস্ট দিয়ে আরও বেশিসংখ্যক বাংলাদেশি দেশে ফিরবেন। এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় এই চেকপোস্ট দিয়ে ১১ জন দেশে ফিরে আসেন। করোনা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংক্রান্ত উপকমিটির আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনিরা পারভীন জানান, করোনায় আক্রান্ত ওই নারীর শরীরে ভারতীয় ভেরিয়েন্ট আছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখা হবে।
দর্শনা ইমিগ্রেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে ভারতে আটকেপড়া বাংলাদেশিদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারি উদ্যোগের অংশ হিসেবে চুয়াডাঙ্গার দর্শনাসহ দেশের তিনটি স্থলবন্দর ১৬ মে থেকে খুলে দেয়া হয়। আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ১৬ মে এনওসি জটিলতায় দর্শনা বন্দর দিয়ে একজনও প্রবেশ করেননি। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার পর থেকে ভারত থেকে একজন-দুজন করে যাত্রী দর্শনা বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকতে শুরু করেন। বাংলাদেশে আসার পর বন্দরেই তাদের স্ক্রিনিংয়ের পর করোনার অ্যান্টিজেন পরীক্ষা, বিজিবি ও শুল্ক বিভাগের (কাস্টমস) তল্লাশি এবং পুলিশের অভিবাসন (ইমিগ্রেশন) শাখার আনুষ্ঠানিকতা শেষে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম সরকার জানান, দর্শনা আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে প্রায় সাড়ে তিনশ বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রী আসতে পারবে। তাদের জন্য দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও চুয়াডাঙ্গা নার্সিং ইনস্টিটিউটে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। চলতি মাসের ১২ মে তারিখ দুদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষে দর্শনা আন্তর্জাতিক চেকপোস্টসহ দেশের ৩ স্থলপথে বাংলাদেশিদের ফেরত নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ