জনসাধারণের মাস্ক পরিধানে অনিহা : ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা
দর্শনা/দামুড়হুদা অফিস: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা জুড়ে চলেছে ২য় দিনের মতো চলমান লকডাউন। তবে ১ম দিনের মতোই চলছে ছোটখাটো যানবাহন। চলমান লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি ও ৬দফা বিধিনিষেধ মানাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানাও অব্যাহত রয়েছে। সেই সাথে গতকাল বুধবার দামুড়হুদা উপজেলা সদরে সাপ্তাহিক হাট থাকায় ওই স্থানে জনসমাগম ছিলো চোখে পড়ার মতো। দামুড়হুদা উপজেলা সদর বাদে উপজেলার গ্রাম অঞ্চলগুলোতে প্রায় শতভাগ লকডাউন বাস্তবায়নের চিত্র দেখা গেছে। অথচ দামুড়হুদা উপজেলা সদর, জুড়ানপুর মোড়, জয়রামপুর কাঁঠালতলা-স্টেশন বাজার, চিৎলা ও কার্পাসডাঙ্গা বাজারের বেশ কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা লকডাউনের বিধিনিষেধ অমান্য করে সুচতুরে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে গেছে। এতে করে যে সকল ব্যবসায়ীরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে দোকানপাট বন্ধ রেখেছেন তাদের মাঝে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তবে সরেজমিনে উপজেলার বেশ কিছুগ্রাম ঘুরে দেখা গেছে চলমান লকডাউনে দোকানপাট বন্ধ থাকলেও গ্রাম্য মানুষের মাঝে মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধির একেবারেই বালায় ছিলো না।
দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলি মুনছুর বাবু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুদীপ্ত কুমার সিংহ, দর্শনা পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান। এছাড়াও দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাব্বুর রহমান কাজলের নেতৃত্বে পুলিশের ভূমিকা ছিলো চোখে পড়ার মতো। এছাড়াও মহল্লাবাসীর উদ্যোগে উপজেলার বিভিন্ন পাড়ামহল্লায় বাশের বেরিকেড দেয়া হয়েছে।
এদিকে দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুদীপ্ত কুমার সিংহ লকডাউন বাস্তবায়নে বিধিনিষেধ অমান্য করার আপরাধে সড়ক পরিবহন আইন ও দ-বিধি আইনে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচলনা করেন। এ সয়ম ১০টি মামলায় ২২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহায়তা করেছেন দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ, আনসার সদস্য ও সেচ্ছাসেবীরা।
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান বলেন, ২য় দিনের মতো লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশে ম্যাজিস্ট্রেট ফিরোজ আহমেদ, সজীব, সুদীপ্ত এবং আমি নিয়মিত মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করেছি। পুরো উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে পর্যায়ক্রমে মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। আর এ লকডাউন বাস্তবায়নে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ, দর্শনা থানা পুলিশ, দর্শনা পৌরসভা, সকল ইউপি চেয়ারম্যানগণ, আনসার সদস্যরা ও সেচ্ছাসেবীরা বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। চলমান লকডাউনে উপজেলার প্রতিটি গ্রামের মোড়ে মোড়ে বাঁশের বেঁড়া দিয়ে যানচলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। সেই সাথে সবাইকে সরকারি বিধি নিষেধ মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এছাড়াও লকডাউনের প্রথম দিনে কার্পাসডাঙ্গায় চুলের কারখানায় কর্মরত (কর্মহীন) ৪৩৪জন শ্রমিকদের মাঝে ও দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের ৩৩০জন চা দোকানিদের (কর্মহীন) মাঝে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়া হয়েছে। সেই সাথে প্রতিটি ইউনিয়নে মাইকিং করে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রচার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কয়েকদিন ধরে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলায় করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় দামুড়হুদা উপজেলাকে ১৪ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম সরকার।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ