দামুড়হুদার বড়বলদিয়ায় ভিটেজমির সীমানা দখলকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশীর সাথে বিরোধ
দর্শনা অফিস: দামুড়হুদার বড়বলদিয়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে শফিকুল নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ভিটে জমির সীমানা দখলকে কেন্দ্র করে বাগবিত-ার একপর্যায়ে শফিকুলকে বেধড়ক মারধর শুরু করে প্রতিবেশী আবুল কালামসহ তার পরিবারের লোকজন। এসময় বাঁশের লাঠির আঘাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু শফিকুলের। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় দর্শনা থানাধীন বড়বলদিয়া গ্রামের মাঝপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে অভিযুক্তরা। এদিকে, নিহত শফিকুলের লাশ উদ্ধার করে হেফাজতে নিয়েছে দর্শনা থানা পুলিশ। আজ শনিবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে, জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান রয়েছে অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানাধীন পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের বড়বলদিয়া মাঝপাড়ার শুকুর আলীর ছেলে শফিকুল ইসলামের (৪০) ভিটে বাড়ির সীমানার একাংশ দখল করে রাখেন প্রতিবেশী ছামেদ আলীর ঘরজামাতা আবুল কালাম। এ নিয়ে তাদের মধ্যে একাধিকবার গ-গোলেরও সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি জমিজমা মাপজোকের একপর্যায়ে সীমানা নির্ধারণ করা হয়। দখলকৃত জমি ছেড়ে দেয়ার কথা বলে আজ নয় কাল বলে দিনের পর দিন ঘুরাতে থাকেন আবুল কালাম।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে কালামকে জমি ছেড়ে দেয়ার জন্য বলেন শফিকুল ইসলাম। জমি ছাড়ার কথা বলায় শফিকুলের উপর ক্ষিপ্ত হন কালাম। তাদের মধ্যে শুরু হয় বাগবিত-া। এসময় তেড়ে এসে শফিকুলের ওপর আকসি¥কভাবে হামলা চালায় কালাম, সুলতান, ওমিদুলের ছেলে সাগর, মিরাজ, কালামের স্ত্রী মেঘিরণ নেছা, মেয়ে শাহনাজ, তাজেরা বেগম ও সুলতানের মেয়ে তানিয়া। একপর্যায়ে শফিকুলকে টেনে হেচড়ে বাড়িতে নিয়ে বেধরক মারধর করে তারা। এরই মধ্যে বাঁশের লাঠি দিয়ে সজোরে মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই মারা যান শফিকুল। এ সময় প্রতিবেশীরা ছুটে আসলে পালিয়ে যায় কালামসহ তার পরিবারের লোকজন।
পরে দর্শনা থানা পুলিশকে খবর দেয় গ্রামবাসী। খবর পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছান থানার ওসি মাহব্বুর রহমান কাজল। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে শফিকুলের লাশ থানা হেফাজতে নেয় পুলিশ। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে দফায় দফায় অভিযান চালিয়েও শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে, সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম শফিকুলের মৃত্যুতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে পরিবারের সদস্যরা। কান্নায় ভেঙে পড়ে স্বজনেরা। গোটা গ্রামে নেমে আসে শোকের ছায়া।
দর্শনা থানার ওসি মাহব্বুর রহমান কাজল জানান, হত্যাকারীদের গ্রেফতারে পুলিশি জাল বিস্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত শফিকুল ইসলামের ছেলে আসাদুজ্জামান শান্ত মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার সকালে শফিকুলের লাশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে নেয়া হবে।