ডলার সঙ্কটে চুয়াডাঙ্গায় রেলপথে আমদানি নেমেছে অর্ধেকে
গত বছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আয়ও অর্ধেক কমেছে
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় ভারত থেকে রেলপথে বাংলাদেশে পণ্য আমদানি কমেছে। ডলার সঙ্কটের কারণে আমদানি নেমে এসেছে অর্ধেকে। এতে গত বছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আয়ও অর্ধেক কমেছে। ভারত থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলপথ দিয়ে মালবাহী ওয়াগনে করে পণ্য আমাদনি করেন দেশীয় ব্যবসায়ীরা। এ বন্দর দিয়ে দ্রুত সময়ে পণ্য আমদানি ও খালাসের পর নির্দিষ্ট স্থানে চাহিদামতো সরবরাহ সম্ভব হয়। তবে ডলার সঙ্কটের কারণে ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে এলসির মাধ্যমে তাদের চাহিদামতো পণ্য আমদানি করতে পারছেন না। কিছু ব্যবসায়ী অল্প পরিসরে পণ্য আমদানি করলেও রেল ইয়ার্ডে কর্মব্যস্ততা অনেকটাই কমেছে। মূলত এই পথে ভারত থেকে মালবাহী ওয়াগনে করে চাল, ভুট্টা, পাথর, পেঁয়াজ, চাইনা ক্লে, ফ্লাই অ্যাশ, জিপসামসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ১৭ হাজার ৭৩৬টি ওয়াগনে পণ্য আমদানি হয়েছে। আয় হয়েছে ৪৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। অথচ গত অর্থবছরে মোট ৩২ হাজার ৪৭৪ ওয়াগনে পণ্য আমদানি হয়েছে। আর আয় হয়েছিলো ৮৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এখন আমদানি কম হওয়ায় ব্যবসা ও কাজ কম বলে জানান ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও চালকরা। পরিবহনসংশ্লিষ্টরা বলেন, এলসি কম হওয়ায় ওয়াগনের মাধ্যমে খুব একটা পণ্য আমদানি হচ্ছে না। এতে পরিবহন ব্যবসা মন্দার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আর গত বছরের তুলনায় মালামাল অর্ধেক আমদানি হওয়ায় রাজস্ব কমেছে বলে জানান চুয়াডাঙ্গার দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট মির্জা কামরুল হক। তিনি বলেন, দর্শনা রেলপথে গত বছরের তুলনায় মালামাল আমদানি নেমে এসেছে অর্ধেকে। যার ফলে রাজস্বও অর্ধেকে নেমে এসেছে। তবে ডলার সঙ্কট নিরসন করতে পারলে আমদানি বাড়বে বলে মনে করেন চুয়াডাঙ্গা সিএন্ডএফের বন্দর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ডলার সঙ্কট নিরসন করে ১০ শতাংশ মার্জিনে এলসি খোলার সুবিধা দিতে হবে। এতে বাড়বে আমদানির পরিমাণ। উল্লেখ্য, দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলপথ দিয়ে গত ১০ মাসে পণ্য আমদানি হয়েছে ১০ লাখ ৬২ হাজার ৯৮৩ টন।