ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে স্কুলশিক্ষিকা নিহত : স্বামী-সন্তান হাসপাতালে
গাংনীতে স্কুলশিক্ষক স্বামীর সাথে মোটরসাইকেলযোগে প্রশিক্ষণে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা
গাংনী প্রতিনিধি: গ্রাম ছেড়ে সম্প্রতি শহরে ভাড়া বাসায় উঠেছিলেন শামিমা ইসলাম (৫০)। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শামিমা প্রতিদিন সকালে স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে শহর থেকে গ্রামের বিদ্যালয়ে যেতেন। গতকাল সোমবারও যাচ্ছিলেন একসঙ্গে। তবে সে যাত্রা থেমে গেছে চিরতরে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মালশাদহ এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন তিনি। শামিমা আক্তার ছিলেন গাংনী উপজেলার করমদি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। তার স্বামী ফিরোজ ইসলাম করমদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ফিরোজ ইসলাম ও তাদের মেয়ে প্রাপ্তি ইসলাম গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, নিহত শামীমা তার স্বামী ফিরোজ আহমেদের সঙ্গে মোটরসাইকেলযোগে গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রুপকল্প ২০২১ প্রশিক্ষণের জন্য যাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিলো তাদের মেয়ে প্রাপ্তি। তখনো সড়কে হালকা কুয়াশা ছিলো। এর মধ্যে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কের মালশাহদহ এলাকায় পৌঁছুলে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামি ড্রাম ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। আশপাশের মানুষ সড়কে একটি মোটরসাইকেল ও তিনজনকে পড়ে থাকতে দেখে ছুটে যান। গিয়ে দেখেন ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে শামিমা সেখানেই মারা গেছে। খবর পেয়ে বামন্দী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি টিম নিহত শামীমা ইসলাম ও আহত ফিরোজ আহমেদকে উদ্ধার করেন। এরপর আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পরপরই ড্রাম ট্রাকসহ পালিয়ে যায় চালক ও তার সহকারী। গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পরই পালিয়ে যায় ড্রাম ট্রাকটি। এদিকে স্থানীয়রা জানান, ইটভাটার মাটিতে সড়ক যেমন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে, তেমনি বেপরোয়া গতির ড্রাম ট্রাকের চলাচলের কারণে সম্প্রতি দুর্ঘটনা বাড়ছে। ড্রাম ট্রাকগুলোর বিষয়ে প্রশাসনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান এলাকাবাসী।