মেহেরপুরে তাগাদা শেষে ফেরার পথে চুয়াডাঙ্গার হাতিকাটায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন জুয়েলারি ব্যবসায়ী মোটরসাইকেল আরোহী তপন হালদার। নিহত তপন হালদার (৪২) জেলা শহরের মালোপাড়ার স্বর্গীয় রবীন্দ্রনাথ হালদারের ছেলে এবং চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারের মাতৃছায়া জুয়েলার্সের মালিক। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। তারা হলেন সদর উপজেলার দৌলাতদিয়াড় দক্ষিণপাড়ার আব্দুল বাতেনের ছেলে স্বর্ণপালিশ কারিগর গোলাম মোস্তফা (২৫) ও বাইসাইকেল আরোহী একই উপজেলার আকন্দবাড়িয়া গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে কলেজছাত্র তাহাজ্জেদ হোসেন (২২)। তাদেরকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সদর উপজেলার হাতিকাটা মোড়ের অদূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত তপন হালদারের ১০ বছর বয়সী এবং ৩ বয়সী দুই ছেলে রয়েছে।
স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা বড়বাজারের স্বর্ণকার পট্টিতে স্বর্ণালঙ্কারের পাইকারি ব্যবসা করতেন মাতৃছায়া জুয়েলার্সের মালিক তপন হালদার। গতকাল বুধবার মেহেরপুরের আমঝুপির কোলার মোড়ে এক জুয়েলার্সে হালখাতা অনুষ্ঠান ছিলো। বিকেলে সেখানে তাগাদার উদ্দেশে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হন তপন হালদার। সাথে ছিলেন পার্শ্ববর্তী ব্যবসায়ী স্বর্ণপালিশ কারিগর গোলাম মোস্তফা। তাগাদা শেষে সন্ধ্যার দিকে চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশে রওনা দিয়ে হাতিকাটা মোড় এলাকায় পৌঁছুলে বিপরীত দিক থেকে আসা কলেজছাত্র তাহাজ্জেদ হোসেনের বাইসাইকেলের সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেলের সাথে মেহেরপুর অভিমুখে আসা দ্রুতগামী একটি ট্রাকের ধাক্কা লাগে। এতে মোটরসাইকেল চালক গোলাম মোস্তফা ও তপন হালদার ছিটকে পড়েন সড়কে। চলন্ত ট্রাকের চাকা চলে যায় তপনের শরীরের ওপর দিয়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেন চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা।
চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুস সালাম জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয়া হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তপনকে মৃত ঘোষণা করেন।
জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাহাবুবুর রহমান জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তপনের মৃত্যু হয়েছে। আহত গোলাম মোস্তফা ও তাহাজ্জত হোসেনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। গোলাম মোস্তফার বাম পা ভেঙে গেছে এবং তাহাজ্জেদ হোসেনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত লেগেছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, কোনো অভিযোগ না থাকায় নিহত তপনের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়ায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে সদর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ