ঝিনাইদহে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে : চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিসৎক
বেডে জায়গা না পেয়ে হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগী ও স্বজনরা
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিনদিন বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশম খাচ্ছে চিকিৎসকেরা। বেডে জায়গা না পেয়ে হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছে অনেকে। ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালসহ সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী। চলতি বছরের জানুয়ারি হতে গত ২৫ আগস্ট শুক্রবার পর্যন্ত ৪১৪ জন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। বর্তমান জেলা সদরে ২১ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। গড় হিসাবে এবার ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা গত বছরের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ বলছে সংশ্লিষ্টরা। বর্তমানে জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মধ্যে হরিণাকু-ুতে ৫ জন, মহেশপুরে ২ জনসহ ৬টি উপজেলায় সর্বমোট ৩৮ জন রোগী ভর্তি আছে। ছোট বড় সব বয়সী মানুষই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে। এ অবস্থায় জেলাজুড়ে ডেঙ্গু আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। চিকিৎসা সেবা ঠিকমতো পেলেও রোগী ও স্বজনরা জানান, হাসপাতালের ফ্যান নষ্ট। তাছাড়া হাসপাতালে সার্বক্ষণিক প্যাথলজিস্ট নেই। মশারি টানানোর ব্যবস্থা পর্যন্ত নেই। বাথরুমের অবস্থা খুবই খারাপ। যা ব্যাবহারের অনুপযোগী। সদর উপজেলার ফুরসন্দি ইউনিয়নের আলি হোসেন জানান, আমার গ্রামের ১৫ জন চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। যার মধ্যে একজন মারা গেছে। বর্তমানে আমি ও আমার মেয়ে গতকাল ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছি। হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় আমি বেডে সিট পাইনি। চিকিৎসা নিতে আসা অন্যান্য রোগীও নানা ধরনের সমস্যার কথা জানান। এ ব্যাপারে শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মকর্তা ডা. রাশেদ আল-মামুন জানান, বর্তমানে ঝিনাইদহ জেলা শহর থেকে সকল উপজেলাতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আগের থেকে অনেক খারাপ। সেজন্য আমরা ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আলাদা কর্ণার করেছি। নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি এবং ডেঙ্গু স্বাভাবিক রাখতে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা করছি। ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সৈয়দ রেজাউল ইসলাম না থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ জানান, বর্তমানে প্রতিদিন জেলা সদরে ২০-২২জন রোগী ভর্তি হচ্ছে। কোনো কোনো দিন ৩০ জন পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়। আর উপজেলাতে ৩-৪ জন করে রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। ঝিনাইদহে এখন পর্যন্ত কোন রোগী মারা যায়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জনসচেতনতা সৃষ্টি করছি।