চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরে অশনির প্রভাবে ভারী বৃষ্টি : উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি
বৃষ্টির পানিতে ভাসছে পাকা ধান : কৃষকদের বুকফাটা কান্না
সুযোগমতো শ্রমিকরাও বাড়িয়েছে তাদের মজুরি : তবুও মিলছে না শ্রমিক
স্টাফ রিপোর্টার: সারাদেশেই অশনির প্রভাবে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কাটা-মাড়াইয়ের সমস্যা হওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বোরো চাষিদের। এতে চরম হতাশ হয়ে পড়েছেন জেলার কৃষকরা। একদিকে শ্রমিকসঙ্কট, অন্যদিকে বৈরী আবহাওয়া যেনো কৃষকের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাঠে কাটা ধান বৃষ্টির পানিতে ভাসছে। ধানের ফলন ও দাম ভালো হলেও কৃষকের মুখে হাসি নেই। জমিতে কেটে রাখা ধান ঘরে তোলা নিয়ে নাজেহাল অবস্থা কৃষকদের। বৃষ্টির কারণে মাঠে কাদা-পানি হওয়ায় বেড়েছে শ্রমিকের কদর। সুযোগমতো শ্রমিকরাও তাদের মজুরি বাড়িয়ে দিয়েছে। তবুও মিলছেনা শ্রমিক। একইসঙ্গে বেড়েছে পরিবহন খরচ। পানিতে তলিয়ে যাওয়া ধান ভেলায় ভাসিয়ে আনতে হচ্ছে রাস্তায় বা উঁচু জমিতে। বোরো আবাদে কৃষকদের দেখা স্বপ্ন এখন যেন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে।
জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে গত ৩ দিনের মুষল ধারের টানা বৃষ্টি আর বৈরী আবহাওয়াতে জীবননগর উপজেলার বিস্তৃর্ণ বোরো ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ক্ষেতে কেটে রাখা ধান পানিতে পচে বিনষ্ট হচ্ছে এবং সেই সাথে ডাঙ্গায় তোলার পর ধান হতে কল বেরিয়ে পড়ছে। এই দুর্যোগে সোনালী স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ হয়েছে এ উপজেলার কয়েক হাজার কৃষকের। চোখের সামনে এমন ক্ষতিতে এ উপজেলার মাঠ জুড়ে কেবল এখন কৃষকের বুকফাটা কান্না বিরাজ করছে।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে সরোজমিনে উপজেলায় রায়পুর, সীমান্ত ও হাসাদাহ ইউনিয়নের ফসলের মাঠ পরিদর্শনকালে দেখা যায়, কৃষকেরা প্রায় হাঁটু পানিতে নেমে ধান কাটছেন। আবার কেউ কেউ কাটা ধান হাঁটু পানির মধ্য থেকে নিয়ে উঁচু স্থানে রাখার চেষ্টা করছেন। অনেক কৃষক পানিতে ভাসমান কাটা ধানের বিচালি একত্র করছে। অনেকে আবার ভিজা ধান মাড়াই করছেন। রায়পুরের ধানচাষি আব্দুস সালাম বলেন, পাকা ধান পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে। ধান পঁচে যাচ্ছে অথবা ধান হতে কল বেরিয়ে পড়েছে। ওই ধান সংগ্রহ করে বাড়িতে আনার মজুর পাওয়া যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে তীব্র মজুর সংকট দেখা দিয়েছে। ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা পারিশ্রমিক দিয়েও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। একই কথা জানালেন হাসাদাহের কৃষক গোলাম হোসেন। তিনি কান্ন জড়িত কণ্ঠে বলেন, ধান কাটার পরে শুরু হয় বৃষ্টি। তিন বিঘা জমির ধান এখনো পর্যন্ত ঘরে তুলতে পারিনি। এমন পরিস্থিতিতে সামনের দিনে পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম খাদ্য সংকটের মধ্যে পড়তে হবে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, এ উপজেলায় এবার ৭ হজার ৫’শ হেক্টর জমিতে বোরের ধান চাষ হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে প্রভাবে টানা বৃষ্টির কারণে ধান ক্ষেত মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে। এখন পর্যন্ত এ উপজেলার কৃষকরা ৪০ ভাগ ধান ঘরে তুলতে সক্ষম হলেও ৬০ ভাগ ধান মাঠে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আমরা নিয়মিত পর্যেবক্ষণ করে যাচ্ছি এবং সেই সাথে ক্ষতি যতটা কমানো যায় এবং ধান দ্রুত ঘরে তুলতে পারা যায় সে ব্যাপারে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া অব্যাহত রাখা হয়েছে।
কুড়–লগাছি প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে ভারি বর্ষণে জেলায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে কৃষকদের। ফলে দামুড়হুদা উপজেলার কৃষকের স্বপ্ন এখন বৃষ্টির জলে ভাসছে। এখনো দামুড়হুদার বিভিন্ন গ্রামের মাঠে মাঠে ধান কেটে ও আটি বেধে এবং জলের পানিতে ভাসতে দেখা যায়। এজন্য ধানক্ষেতেই পচনের আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। দামুড়হুদার মাঠে মাঠে কৃষকের স্বপ্ন ভাসছে বৃষ্টির পানিতে। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে শত শত হেক্টর জমির কাটা ধান। আধা পাকা ধান কেটেও শেষ পর্যন্ত ক্ষতি ঠেকানো যায়নি। কাচা ধানও নুইয়ে পড়েছে জমিতে। এতো কষ্টের ধান শেষ মুহূর্তে এভাবে বৃষ্টিতে ক্ষতি যাওয়ায় কৃষকরা দিশেহারা। ক্ষেতে ভেজা ধান আর কৃষকের চোখের জল মিলেমিশে হয়ে গেছে একাকার। দামুড়হুদার কানাইডাঙ্গার কৃষক হামিদ বলেন, আমার ৩ বিঘা জমির ধান এখনো বৃষ্টির পানিতে ভাসছে আর দু একদিন থাকলে জমিতেই সব ধান গজিয়ে যাবে। আমার এ বছর পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। কুড়–লগাছির গ্রামের বুদো মল্লিক জানান, প্রতি বছরের মতো এ বছরো ৫ বিঘা ধান ছিলো আমি ধান কেটে বিচালি করার জন্য ধান কেটে জমিতে ফেলে রেখেছি আর সেই দিন থেকেই বৃষ্টি আমার ৫ বিঘা জমির ধান জমিতেই গজিয়ে গিয়েছে আমার মরণ ছাড়া আর কোন পথ নেই।
অন্যদিকে ৭০০ টাকা দিন মজুরিতেও মিলছে না ধান কাটার শ্রমিক। ফলে চোখে-মুুখে হতাশা আর চরম দুশ্চিন্তায় পড়তে হচ্ছে কৃৃষকদের। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে দামুড়হুদা উপজেলার চন্দ্রবাস, কানাইডাঙ্গা, কুড়–লগাছির চিৎলা বিলে, রায়সা বিলে, গবরার বিলে, কয়ার বিলে ঘুরে দেখা যায়, পানির নীচে ধান, কেউ কেউ ধান কেটে রাস্তার ওপরে রেখে দিয়েছে আবার কেউ কাটা ধানগুলো পানিতে ভাসমান অবস্থায় ছড়িয়ে থাকা একত্রে করছে আবার কেউ কেউ ধান মাড়াই করছে। এছাড়া ধান পানিতে ন্যুয়ে পড়ায় চারাও গজিয়েছে। অন্যদিকে, কাটা ধানগুলো মাড়াইয়ের পর ভেজা ধান শুকানো নিয়েও রয়েছে বেশ দুর্ভোগ। বৃষ্টির কারণে বাড়ির উঠুনেও কাঁদা হয়। সড়কেও ধান শুকাতে পারছেন না তারা। কৃৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর ১ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করতে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা। তার মধ্যে ধানের চারা রোপণ খরচ, ট্রাক্টর হাল চাষ খরচ, সার-কীটনাশক খরচ। এখন ধান কাটার মৌসুম। এই সময়ে প্রতিটি শ্রমিকের মজুরি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। স্বাভাবিক ছয়জন শ্রমিকে ১ বিঘার জমির ধান কাটতে পারলে পানি থাকায় ডাবল শ্রমিক লাগছে। এতে করে বর্তমান সময়ে ১ বিঘার জন্য শুধু কাটতেই খরচ হচ্ছে ৬ হাজার টাকা। এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ঘুর্ণিঝড় অশনির কারণে বোরো ধান নিচু জমিতে পানি জমে যাবার কারণে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, জেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, মেহেরপুরের তিন উপজেলায় এ বছর বোরো ধানের আবাদ হয়েছে ২০ হাজার হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে মুজিবনগর উপজেলায় ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো ৩ হাজার ৩৩০ হেক্টর। চাষ হয়েছে ৩ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৮৫ হেক্টর জমিতে বেশি ধান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৩০ থেকে ৪০ ভাগ ধান কেটে বাড়িতে আনতে সক্ষম হয়েছেন কৃষকরা। বাকি ৬০ থেকে ৭০ ভাগ ধান বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে আছে। উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামের চাষি রবিউল ইসলাম জানান, এ বছর আড়াই বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছেন। কষ্টার্জিত ফসল ঘরে তোলার আগেই বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে তার জমির কেটে রাখা পাকা ধান।
মদনাডাঙ্গা গ্রামের আরেক কৃষক বদরুল বলেন, আমার দেড় বিঘা জমির ধান পানিতে ভাসছে। এখনই কেটে না আনতে পারলে ধানে চারা গজিয়ে যাবে। দেড়গুণ খরচে শ্রমিক নিয়ে টিনের ভেলায় করে ধান রাস্তায় তুলতে হচ্ছে ধান। ধান ঘরে তুলতে না পারলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। তাই শ্রমিকদের সঙ্গে পরিবারের সবাই ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ করছে।
মুজিবনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিছুজ্জামান খান বলেন, উপজেলায় এ বছর বোরো ধানের লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি চাষ হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছিল। বৃষ্টির কারণে যেসব ধান তলিয়ে গেছে সেসব ধানের আইল কেটে দ্রুত পানি বের করে দেয়া হচ্ছে।
গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন জানান, উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার থেকে অনেক বেশি বোরো চাষ হয়েছে। ৭৩৪০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এখন বোরো ধান কাটা-মাড়াইয়ের মৌসুম। এ সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ হানা দিলে কিছুই করার নেই। তবে এখন ইন্টারনেটের যুগ। আবহাওয়া দেখে ধান কাটা শুরু করতে হবে।
মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. সামসুল আলম বলেন, বর্তমানে কৃষকরা বেশ সচেতন। প্রযুক্তির দিক দিয়েও মেহেরপুরের কৃষকরা পিছিয়ে নেই। অশনির আঘাতে অন্যান্য জেলার চেয়ে কম ক্ষতি হয়েছে মেহেপুরে। উঁচু জমিতে ধানের তেমন ক্ষতি না হলেও নিচু জমিতে চাষ করা বোরো নিয়ে কষ্টে পড়েছেন চাষিরা।
তিনি আরও বলেন, যারা সরকারি ভর্তুকি মূল্যে হার্ভেস্টার মেশিন নিয়েছেন তারা তাদের জেলার মধ্যে ব্যবহার করবেন এমন নির্দেশনা দিচ্ছি। শ্রমিক সংকট এড়িয়ে চাষিরা যাতে সময়মতো উৎপাদিত ফসল ঘরে তুলতে পারেন সে জন্যই সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে।
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ঝিনাইদহে বৈরী আবহাওয়ায় ইরি বোরো ধান নিয়ে মহাবিপাকে পড়েছে কৃষকরা। চলতি মৌসুমে ধানের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি এবং মাঠে পাকা ধান শ্রমিক সংকটে কাটতে না পারা এবং ধান কাটার পর প্রাকৃতিক দুর্যোগ অশনির বৃষ্টি পাতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ধান চাষিরা। জেলাতে উৎপাদিত ধানের ৪৭ শতাংশ কাটা শেষ হয়েছে। জমিতে কাটা ধান বৃষ্টির পানিতে ভেসে আছে। ধানে চারা গজানো শুরু হয়েছে। নি¤œাঞ্চল পানিতে প্লাবিত হয়ে গেছে। কৃষকরা বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে কৃষি শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। আর এই সুযোগে কিছু শ্রমিক পাওয়া গেলেও মজুরি দ্বিগুণ। জেলাতে এক সাথে ধান পেকে যাওয়া এবং দুর্যোগের খবরে এমনবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডেফলবাড়ি গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, গত মৌসুমের তুলনায় এবার বিঘা প্রতি জমিতে প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। গত মৌসুমের তুলনায় চলতি মৌসুমে (২০২১/২২) ডিজেল, বীজ, কীটনাশক, শ্রমিক সহ নানা ধরনের খরচ বৃদ্ধিতে এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। আবার বিদ্যুতের দাম না বাড়লেও বিদ্যুৎ মোটর সেচে মালিকগণ বিঘা প্রতি জমিতে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ বাড়িয়েছে। এখন ধান কাটতে শ্রমিক সংকটের পাশাপাশি অধিক দাম বৃদ্ধি। তিনি আরো বলেন, যে সকল কৃষক ধান কেটেছে বৃষ্টির কারণে জমিতে পানি জমে ধান ভেসে আছে। বাধ্য হয়ে তারা বেশি দামে শ্রমিক নিতে বাধ্য হচ্ছে। শ্রমিক সংকটের কারণে একজন শ্রমিক সাড়ে ৭শ’ থেকে ৮শ’ টাকাতে পাওয়া যাচ্ছে না। জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার শিবনগরের কৃষক মহিউদ্দিন বলেন, গত বছর প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ছিল ৬৫ টাকা। আর এবছর ৮০ টাকা। কিন্তু গ্রামের বাজার ও দোকান গুলোতে ১ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি হয়। একই অবস্থা সারসহ কীটনাশকের দামের বিষয়ে। সে হিসেবে গত বছর প্রায় ১৪ থেকে ১৬ হাজার টাকা খরচ হলেও এবছর প্রায় ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হবে। পাশে পাঁচলিয়ার কৃষক জাহিদুল ইসলাম বলেন, এখন ধান কাটা শুরু হয়েছে। কিন্তু শ্রমিক সংকট। যা পাওয়া যাচ্ছে বিঘা চুক্তি। যেখানে খরচ বেশি। প্রতি বিঘা জমির ধান কাটার জন্য প্রায় সাড়ে ৭ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। যেখানে প্রতি বিঘা ধান কাটার জন্য ২ হাজার ৪শ থেকে আড়াই হাজার টাকা। জমি থেকে আঁটি (ছোট) বাঁধতে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২শ টাকা। দূরত্ব হিসেবে গাড়িতে করে আনতে ১ হাজার টাকা দেড় হাজার এবং ঝাড়তে ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হচ্ছে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে জমিতে পানি জমে গেছে। যারা ধান কেটেছে বৃষ্টির পানি জমে ধান ভেসে আছে। জমিতে ধানের চারা গজিয়ে গেছে। ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আজগর আলী বলেন, জেলায় ৭৯ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রা থেকে ২৯৫ হেক্টর বেশি। এখন পর্যন্ত উৎপাদনের ৪৭ ভাগ জমির ধান কাটা হয়েছে। উৎপাদন খরচ কমাতে কৃষকদের প্রণোদনার আওতায় সহযোগিতা করা হয়েছে।