গত দুদিনে মৃত্যুর সাথে কমেছে শনাক্তের হারও : ২৪ ঘন্টায় সুস্থতার ছাড়পত্র পেলেন ১৩৮ জন
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় প্রাণঘাতী করোনায় মৃত্যুর হার উদ্বেগজনক হারে বেড়েই চলছিলো। সেখান থেকে গত দুদিনে অনেকটা কমে এসেছে মৃত্যুর সংখ্যা। একইসাথে কমেছে শনাক্তের হারও। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও একজন। এদিন চুয়াডাঙ্গায় আরও নতুন ৭৯ জন করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এর আগে গত ১৬ জুলাই দশজন, ১৭ জুলাই আটজন, ১৮ জুলাই আটজন এবং ১৯ জুলাই পাঁচজন করোনা আক্রান্ত হয়ে এবং উপসর্গ নিয়ে রোগীর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৬৩ জনে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গাতে মারা গেছেন ১৪৬ জন এবং জেলার বাইরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন আরও ১৭ জন। গতকাল ৭৯ জনসহ জেলায় মোট শনাক্তের সংখ্যা দাড়াল ৫ হাজার ৫শ ১৪ জনে। এদিন সুস্থ হয়েছেন ১৩৮ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ২৯৫ জন।
গতকাল সোমবার রাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় শনাক্তকৃত সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৫৬ জন। এর মধ্যে নিজ বাড়িতে ১ হাজার ৯শ ৩৮ জন ও হাসপাতালে আছেন ১শ ১৮ জন। চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ সোমবার ২৯৬ জনসহ মোট ২০ হাজার ৮৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট ল্যাবে প্রেরণ করেছেন। এ দিন নতুন ৩৫৭ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফলসহ মোট ফলাফল পাওয়া গেছে ১৯ হাজার ৮শ ৮২ জনের। নতুন শনাক্তকৃত ৭৯ জনের মধ্যে সদর উপজেলার ৩৫ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলার ১২ জন, দামুড়হুদা উপজেলার ১৮ জন ও জীবননগদর উপজেলার ১৪ জন।
চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন চারজন। এদিন উপসর্গ নিয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তি সদর হাসপাতালের হলুদ জোনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের পরিচয় প্রকাশ করেনি স্বাস্থ্য বিভাগ।
আলমডাঙ্গা অফিস জানিয়েছে, আলমডাঙ্গায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় দুজন ও করোনা উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার বৈদ্যনাথপুরের মৃত কামের আলী মালিথার ছেলে সেটেলমেন্ট অফিসার মাহবুবুল ইসলাম বাবলু সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় নেয়া হয়। ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বেলা ৩টার দিকে মারা গেছেন।
গ্রামসূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভাংবাড়িয়া গ্রামের মিয়াপাড়ার মৃত লালু মিয়ার ছেলে ইকরামুল হক মিয়া সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৮ জুলাই গভীর রাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। একই গ্রামের মৃত বাছের আলীর ছেলে মওলা বক্স সম্প্রতি সর্দিজ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হন। গতকাল দুপুরে তিনি করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।