স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় মৃত্যুর হার কমলেও প্রতিনিয়নত বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এবং উপসর্গ নিয়ে কারোর মৃত্যু হয়নি। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২০৯ জনে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় মারা গেছেন ১৮৯ জন এবং জেলার বাইরে ২০ জন। রোববার (৩০ জানুয়ারি) চুয়াডাঙ্গা জেলাজুড়ে নতুন করে ৩২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭ হাজার ৩৩৮ জনে। এর আগে শনিবার ২৩৩ জনের নমুনায় পরীক্ষা করে ৫১ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়।
চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার ২৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এরমধ্যে নতুন ৩২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭ হাজার ৩৩৮ জনে। এ দিন সুস্থতার সনদ পেলেন ৩ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট সুস্থতার সনদ পেলেন ৬ হাজার ৭৬৯ জন। বর্তমানে সক্রিয় রোগীর মধ্যে হাসপাতালে রয়েছেন ৯ জন। নতুন যে ৩২ জন শনাক্ত হয়েছেন তার মধ্যে সদর উপজেলার তিনজন, দামুড়হুদা উপজেলার সাতজন, আলমডাঙ্গায় ১০ জন এবং জীবননগরে ১২ রয়েছে।চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ডেডিকেটেড করোনা ইউনিটসূত্রে জানা যায়, চলতি মাস অর্থাৎ জানুয়ারির ১ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু না হলেও হলুদ জোনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় উপসর্গ নিয়ে এক নারীসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের বড় বাজারপাড়ার নিতা আগরওয়ালা (৬২), পৌর এলাকার তালতলাপাড়ার হরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস (৭৫), সদর উপজেলার মাখালডাঙ্গা ইউনিয়নের শুকুর আলী (৭৫), দামুড়হুদা উপজেলার কলাবাড়ি গ্রামের বজলুর রশিদ (৭২) ও আলমডাঙ্গা উপজেলার মোচাইনগর গ্রামের আবুল কালাম (৭৬)। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. এএসএম ফাতেহ আকরাম বলেন, সদর হাসপাতালের ডেডিকেটেড করোনা ইউনিটে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিনিয়নত বেড়েই চলেছে। চলতি মাসে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু নেই। বর্তমানে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৯ রোগী ভর্তি আছে। চলতি মাসে সদর হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে পাচজনের মৃত্যু হয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ