সংক্রমণ কিছুটা কমলেও সতর্কতা অবলম্বনের পুনঃপুনঃ তাগিদ আরএমও’র
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় করোনার প্রকোপ অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। কোভিড-১৯ এর উপসর্গ তথা সর্দি কাশি জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা যেমন কমছে তেমনই নমুনা দাতাদের মধ্যেও করোনা ভাইরাস শনাক্ত হচ্ছে কম। রোববার চুয়াডাঙ্গায় ২৭ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে ৬ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছে। এদিন চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ নতুন ৩৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করেছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলায় নতুন ৬ জন করোনা রোগীর মধ্যে সদর উপজেলার ৫ জন জেলা শহরের বাসিন্দা। একজন আলমডাঙ্গা উপজেলার গড়গড়ি গ্রামের। জেলা শহরের ৫ জনের মধ্যে সবুজপাড়ার ২জন, মুক্তিপাড়ার ৩ জন। রোববার চুয়াডাঙ্গার আরও ১১ জন সুস্থ হয়েছেন। এ দিয়ে মোট সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮শ ৮০ জন। এ পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের। মোট ১ হাজার ২শ ৯৮ জনের মধ্যে বর্তমানে চুয়াডাঙ্গায় চিকিৎসাধীন ৩শ ৮১ জন। এর মধ্যে হাসপাতাল তথা প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে ৩০ জন ও বাড়িতে ৩শ ৫১ জন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শামীম কবির বলেছেন, নমুনাদাতার সংখ্যা যেমন কমেছে, তেমনই নমুনা দাতাদের মধ্যেও কোভিড-১৯ পজিটিভ হচ্ছে কম। তাই বলে, মাস্ক ছেড়ে সামাজিক দূরুত্ব বজয় না রাখলে কিন্তু সমস্যা। মনে রাখতে হবে, নোভেল করোনা ভাইরাস ভয়ানক ছোঁয়াছে। সতকর্তার মাধ্যমেই নিজেকে সুস্থ রাখতে হবে। রক্ষা করতে হবে সমাজকে। ঘন ঘন ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান পানি দিয়ে যেমন হাত ধোয়া জরুরি, তেমনই বাইরে থেকে বাড়ি ফিরে পোশাক পরিষ্কার করাসহ ভালোভাবে সাবান মেখে গোসল করা প্রয়োজন। করোনা রোগীর সংখ্যা কমেছে মানে এই নয়, যে ভাইরাস মুক্ত হয়ে গেছে এলাকা।