চুয়াডাঙ্গায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর নগ্ন ছবি ও ভিডিও করে ব্ল্যাকমেইল; প্রধান অভিযুক্ত জীমসহ ৬ কিশোরকে জেল হাজতে প্রেরণ
স্টাফ রিপোর্টার : চুয়াডাঙ্গা শহরের মহিলা কলেজপাড়ায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর নগ্ন ছবি তুলে ও ভিডিও ধারণ করে অর্থ দাবির মামলায় গ্রেফতার ৬ কিশোরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে । স্কুলছাত্রীর পিতার দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
গ্রেফতারকৃত ৬ জন হলেন, জেলা শহরের কেদারগঞ্জ পাড়ার মৃত গোলাম হোসেনের ছেলে জুবায়ের হোসেন জীম (১৭), জীবননগর বাসস্ট্যান্ড পাড়ার মৃত আবু হোসেনের ছেলে শিমরান শেখ(১৭), কেদারগঞ্জ নতুনপাড়ার মনসুর আলী মনোর ছেলে আপন(১৭), পলাশপাড়ার আনোয়ারের ছেলে রাইহান উদ্দিন (১৬), মুন্সিপাড়ার কিতাব আলীর ছেলে রাকিব হোসেন(১৭), ও কেদারগঞ্জ মহিলা কলেজ রোডের আশরাফুলের ছেলে ইমরান (১৬)।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পরিদর্শক(অপারেশন) একরামুল হোসাইন জানান, স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে মোবাইলে নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে পরবর্তীতে টাকা দাবীর ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই স্কুল ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে সোমবার রাতে প্রধান অভিযুক্ত জীমসহ তার ১৩ সহযোগীর নাম উল্লেখ করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গতকাল মঙ্গলবার ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ৬ জনকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক জেল হাজতে নিরাপদ হেফাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, প্রায় ৮ মাস পূর্বে ফেসবুকের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা শহরের সাদেক আলী মল্লিকপাড়ার স্কুলপড়ুয়া এক কিশোরীর (১৪) সাথে কেদারগঞ্জ পাড়ার মৃত গোলাম হোসেনের ছেলে জুবায়ের হোসেন জীমের (১৭) বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সম্পর্কের সূত্র ধরে গত ২৫ মার্চ জীমসহ তার ১৩ সহযোগী ওই স্কুলছাত্রীকে মহিলা কলেজপাড়ার একটি বাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় ওই ১৩ জনের সহযোগীতায় জীম কিশোরীকে ধর্ষণ শেষে তার নগ্ন ছবি ও ভিডিও মোবাইলে ধারন করে। এরপর থেকেই ধারনকৃত ওইসব অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেখিয়ে ভুক্তভোগীর কাছে চাঁদা দাবী করে চক্রটি। ভুক্তভোগী ওই স্কুল ছাত্রীর কাছ থেকে বেশ কিছু টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারও হাতিয়ে নেয় অভিযুক্তরা। গত পরশু সোমবার নতুন করে আবারো ২৫ হাজার টাকা দাবী করে অভিযুক্তরা। পরে কোন উপায়ন্ত না পেয়ে স্কুলছাত্রী পুরো বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। পরে পরিবারের সদস্যরা পুলিশ সুপার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার রাতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে আটক করে পুলিশ।