সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ডিলারদের সাথে বৈঠক
স্টাফ রিপোর্টার: মজুদকৃত সার নিয়ে চলছে লুকোচুরি। কেউ বলছেন সারের সংকট, আবার কেউ বলছেন সারের মজুদ রয়েছে যথেষ্ট। জেলায় টিএসপি ও ডিএপি সারের সংকট তৈরি করে বাড়তি দামে বিক্রি করছে। কোনো কোনো সার ডিলার সংকটের দোহায় দিয়ে বলছেন সার বাইরে থেকে বেশি দামে কেনার কারণে বিক্রি করতে হচ্ছে বাড়তি দামে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সার ডিলারদের সাথে জরুরি বৈঠকে বসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। কোনোভাবেই সারের বাজারের লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে। সরকার নির্ধারিত মূল্যে সার বিক্রি কোনোভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। কৃষকরা সার ডিলারদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন। কারণ সার ছাড়া কৃষকদের চাষ অসম্ভব। বুধবার সকালে সদর উপজেলায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিকুর রহমান বলেন, সারের দাম বৃদ্ধি ও সংকট নিয়ে সার ডিলারদের সাথে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সার ডিলাররা বলেন, বরাদ্দকৃত সারের কোনো মজুদ নেই। বাইরে থেকে বেশি দামে সার কিনে আনার কারণে বাড়তি দামে কৃষকদের কাছে সার বিক্রি করতে হচ্ছে। সার যদি বাইরের জেলা থেকে নিয়ে না আসে তা হলে সংসট আরও বেড়ে যাবে। আমি যে কয়টি গুদাম ঘুরে দেখেছি সেখানে সরকারি কোনো সার মজুদ নেই। যে সারগুলো আছে তা বাইরে থেকে নিয়ে আসা। ডিলাররা বাইরে থেকে যে সার কিনে আনছেন সে গুলোর কোনো রসিদ দেখাতে পারছেন না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবৈধভাবে মজুদ রাখার কোনো সুযোগ নেই। চাহিদার অর্ধেক সার পায় ডিলাররা।
সার ডিলাররা জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনকে বোঝাতে সক্ষম হচ্ছে যে সারগুলো বাইরে থেকে নিয়ে আসে। বাইরে থেকে কেনা সারের রসিদ থাকার কথা। সে রসিদও দেখাতে পারছেন না ডিলাররা। সারের রসিদ না থাকলে সেগুলো ডিলারদের বরাদ্দকৃত সার। ডিলারদের গোডাউন বোঝাই সার আর সার। কৃষক সার কিনতে গেলে বলা হচ্ছে সার নেই। চাহিদার তুলনায় কম সার দেয়ার কারণে এ সংকট দেখা দিয়েছে। টিএসপি ও ডিএপি সারের সংকট দেখা দিয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। যার ফলে কৃষকদের পড়তে হচ্ছে চাষ নিয়ে বিড়ম্বনার মধ্যে। এ মরসুমে চাষ কার্য ব্যাহত হতে পারে সারের সংকট দেখিয়ে বেশি দামে বিক্রির কারণে। বাড়তি দামে সার কিনে কৃষকের চাষে খরচ বেড়ে যাচ্ছে অনেক বেশি।
টিএসপি সার প্রতি বস্তার দাম ১১শ টাকা ও ডিএপি সারের দাম প্রতি বস্তা ৮শ টাকা সরকার নির্ধারিত। কিন্তু বাড়তি দামে সার বিক্রি কোনোভাবেই বন্ধ করতে পারছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কৃষকরা ভুট্টা, সবজি, আলুসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষ করছেন মাঠে।
বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন চুয়াডাঙ্গা শাখার সভাপতি মীর মহিউদ্দিন বলেন, বাইরের সার এখনও আসেনি সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত সার বিক্রি হচ্ছে। আগামী মাসে নির্দিষ্ট সময়ে সার না পেলে বাইরে থেকে আনতে হবে সার। চাহিদার চেয়ে অর্ধেক সার সরবরাহ করে সরকার। যার কারণে বাধ্য হয়ে অন্য স্থান থেকে সার আনতে হয়। বাইরে থেকে সার জেলায় আনলে বিষয়টি প্রশাসনকে জানাতে হবে।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আলী হাসান বলেন, জেলায় সারের কোনো ঘাটতি নেই। এখনও পর্যন্ত বরাদ্দ পাওয়া সার মজুদ রয়েছে ডিলারদের কাছে। সারের সংকট থাকার কোনো সুযোগ নেই। আর বাড়তি দামে বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। নির্ধারিত দামেই সার বিক্রি করতে হবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ