প্রতারণার শিকার নারী-পুরুষ ও ঘটনার সাথে জড়িতদের লিখিত এবং মৌখিক অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় ভুয়া আস্থা প্রকল্পে চাকরি দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। জেলার সাবেক সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসানসহ কতিপয় ব্যক্তি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। বুধবার তিন সদস্য বিশিষ্ট স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গঠিত তদন্ত কমিটি অভিযোগের তদন্ত শুরু করে। প্রতারণার শিকার নারী-পুরুষ, উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তারা ও ঘটনার সাথে জড়িতরা লিখিত এবং মৌখিকভাবে অভিযোগের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। বুধবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিস ও সদর হাসপাতাল চত্বরে তদন্ত কর্যক্রম চলে।
তদন্ত কমিটির সভাপতি ও খুলনা বিভাগের পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মনজুরুল মুরশিদের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি বুধবার দুপুর থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে। তদন্ত কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন, যশোর সিভিল সার্জন অফিসের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নাজমুস সাদিক ও খুলনা স্বাস্থ্য অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এমএম জাহাতাব হোসেন। তদন্ত কমিটির সদস্যরা জানান আস্থা প্রকল্পটি ভুয়া। শুনানির সময় ভুয়া প্রকল্পে চাকরি নিয়ে প্রতারিত হওয়া ৬০ জন ভুক্তভোগী মৌখিক ও লিখিতভাবে অভিযোগ জানান। সাবেক সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসানসহ অন্য যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তারাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
২০২১ সালের জুলাই মাসে গোল্ডেন সার্ভিস লিমিটেডের আস্থা প্রকল্পের আওতায় চুয়াডাঙ্গার সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কমিউনিটি ক্লিনিকে মোটা অঙ্কের বেতনের লোভ দেখিয়ে ২ শতাধিক নারী-পুরুষকে নিয়োগ দেন প্রকল্প পরিচালকের সহযোগিতায় সাবেক সিভিল সার্জন ও তার সহযোগীরা। নিয়োগের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন তারা। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ১ লাখ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা উৎকোচ নেয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
তদন্ত কমিটির সভাপতি ডা. মনজুরুল মুরশিদ বলেন, ‘ভুক্তভোগী ও যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের মৌখিক ও লিখিত বক্তব্য নিয়েছি। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করেছি। পর্যালোচনা করে ২ সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন তৈরি করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠাব। এখনই বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না। রিপোর্ট পাঠানোর পর কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।’
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ