স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় নোভেল করোনাভাইরাস ভয়াবহ আকারে ছড়াতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৩৫ করোনা রোগীকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে জেলার দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সরকারি হাসপাতালের একজন চিকিৎসক, বেশ কয়েকজন নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন।
শনিবার (১৬ মে) চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান বলেন, আজ শনিবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব থেকে ৮১টি নমুনা ফল পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ৩৫ জনের করোনা পজিটিভ। এর মধ্যে চিকিৎসক, নার্সসহ সাতজন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ‘কমিউনিটিতে ট্রান্সমিশন হয়েছে। কমিউনিটিতে যখন সংক্রমিত হয়ে যায় এবং নমুনা পরীক্ষার সুবিধা বাড়ানো হয়, তখন আক্রান্ত লোকের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই কন্ট্রাক্ট বেসিজ। মূলত করোনা পজিটিভ লোকের সংস্পর্শে এসে তাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন। এ ছাড়া ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে যাঁরা এসেছেন, তাঁরাও সংক্রমিত হচ্ছেন।’
চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে জেলা প্রশাসনের দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দুজন কর্মচারী, সদর হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের একজন চিকিৎসক, দুজন সিনিয়র স্টাফ নার্স রয়েছেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘সারা দেশের মতো চুয়াডাঙ্গাতেও রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন নার্স আক্রান্ত হয়েছেন। আজ শুনেছি এক চিকিৎসকের করোনা পজিটিভ।’ নতুন ৩৫ জনসহ জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৭৮ জনে। যার মধ্যে একজন করোনা শনাক্তের আগেই মারা গেছেন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন চারজন। ১৬ জন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ও ৫৭ জন হোম আইসোলেশনে রয়েছে