চুয়াডাঙ্গায় চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্র জুবাইর হত্যা মামলায় ২ আসামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড : পিয়াসহ বাকিরা খালাস
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা সাভার বিপিএটিসি কলেজের বাণিজ্য বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র চাঞ্চল্যকর জুবাইর মাহামুদ হত্যা মামলায় চুয়াডাঙ্গায় মুন্তাজ আলী ও মো. হাসান নামে দুই ব্যক্তির যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও চার আসামীকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত । রোববার দুপুরে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোহা: বজলুর রহমান আসামীদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষনা করেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলো, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের মৃত হারান মন্ডলের ছেলে মুন্তাজ আলী ও পিতম্বরপুর গ্রামের গোলাম নবী শেখের ছেলে মো. হাসান। দন্ডপ্রাপ্তদের কড়া নিরাপত্তায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ১৩ এপ্রিল ঢাকা সাভারের কলেজ ছাত্র জুবাইর মাহামুদ স্কুল ছাত্রী পিয়ার প্রেমের টানে সদর উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামে এলে তাকে অপহরণ করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি এবং পরে জুবাইরকে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়। এঘটনায় জুবাইর মাহামুদের পিতা নুরুল হক চৌধুরী বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সদর থানার এসআই সেকেন্দার আলী তদন্ত শেষে ৮ জন আসামীর নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এ মামলায় নজির আহমদ ও হারুন অর রশিদ পলাশ নামে দুই আসামী মামলা চলাকালীন সময়ে মারা যায়। বাকী ছয় আসামীর মধ্যে মুন্তাজ আলী ও মো. হাসানের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। বাকী চার আসামী সদর উপজেলার মনিরামপুরের আনোয়ার হোসেনের ছেলে আমীর হোসেন, পিতম্বপেুর গ্রামের মৃত মকবুল সরদারের ছেলে ইমান আলী, মনিরামপুরের মৃত নজির আহমদের মেয়ে নুসরাত জাহান পিয়া ও মনিরামপুরের আনোয়ার হোসেনের ছেলে কবির হোসেনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। এ মামলায় ১৮ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য পরীক্ষা করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. গিয়াসউদ্দিন জানান, চাঞ্চল্যকর এ মামলায় ২ আসামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৪ আসামী বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। মামলায় আপীল করা হবে কিনা রায়ের কপি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।